শেল কোম্পানির আড়ালে গড়ে তোলা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস ‘নগদ’ এর প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারের ওপর হামলা করেছে একদল দুর্বৃত্ত।বুধবার বিকেলে বনানীর ১২ নম্বর রোডে তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এদিন সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তাদের কাছে নগদে ঘটে যাওয়া অনিয়ম-দুর্নীতির বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন তিনি। এতে ক্ষুব্ধ কোনো পক্ষ এ হামলা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শেল কোম্পানির আড়ালে ২০১৮ সালে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় যাত্রা শুরু করে নগদ। এটিকে ডাক বিভাগের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান প্রচার করা হলেও পরে জানা যায় প্রতিষ্ঠানটির প্রকৃত মালিক আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন ব্যক্তি। প্রতিষ্ঠানটি অন্তত ৬৪৫ কোটি টাকার জাল ই-মানি তৈরি করে। এ ঘটনায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি নগদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল ও সাবেক এমডি তানভীর এ মিশুকসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লাইসেন্স ছাড়াই কেবল অনাপত্তির ভিত্তিতে নগদ পরিচালিত হচ্ছিল। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর নগদের মালিকানা ও পরিচালনায় যুক্ত বেশির ভাগই পালিয়েছেন। গত ২১ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদারকে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। গত সেপ্টেম্বরে অর্থনীতিবিদ ড.

কেএএস মুর্শিদের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি ব্যবস্থাপনা পর্ষদ গঠন করে দেওয়া হয়েছে।

বদিউজ্জামান দিদার সমকালকে বলেন, নগদে অনিয়মের বিষয়ে বুধবার দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়। এতে কোনো পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে এ হামলা করতে পারে। তিনি জানান, বনানী ১২ নম্বর রোডে পৌঁছাতেই চার যুবক তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা করে। কিছুদিন আগেও কয়েকজন একইভাবে হামলা করেছে। নগদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বনানী থানাকে জানানো হবে।

নগদের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নাম রয়েছে– যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত কোম্পানি ব্লু হেভেন ভেঞ্চারস, অসিরিস ক্যাপিটাল পার্টনারস, জেন ফিনটেক, ফিনক্লুশন ভেঞ্জারস এবং ট্রুপে টেকনোলজিস। এসব বাংলাদেশিদের শেল কোম্পানি (নামমাত্র কোম্পানি) বলে জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মালিকানা বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে গত ১৯ আগস্ট বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম রধর নগদ নগদ র

এছাড়াও পড়ুন:

জিমেইল আর্কাইভ যে কারণে জরুরি

নিয়মিত জিমেইল ইনবক্স পরিষ্কার রাখা জরুরি। তা না হলে কিছুটা সময় পরেই স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে প্রয়োজনীয় ইমেইল প্রবেশ করবে না। তাই অপ্রয়োজনীয় ই-মেইল ডিলিট করাই শ্রেয়। স্টোরেজ ভর্তি হয়ে যাওয়ার সমস্যা ছাড়া আরও কিছু সমস্যা অনেকের হয়। চাইলে জিমেইল আর্কাইভ করা যায় সহজেই।

জিমেইলে অগণিত ই-মেইলের মধ্যে জরুরি ই-মেইল খুঁজে বের করা দুরূহ। যার যথার্থ সমাধান দেবে জিমেইল আর্কাইভ ফিচার। যেখানে ই-মেইল আলাদা করে সংরক্ষণ করা সম্ভব। সবচেয়ে বড় সুবিধা যতদিন ইচ্ছা ই-মেইল আর্কাইভ করে রাখা সম্ভব।

প্রথমে জিমেইল ইনবক্স খুলে যেসব ই-মেইল আর্কাইভ করতে চান, সেসব নির্বাচন করতে হবে। প্রতিটি ই-মেইলের পাশের বক্সে ক্লিক করে বা ওপরের দিকে সিলেক্ট অল বক্সে ক্লিক করে সব ই-মেইল নির্বাচন করতে হবে। মনে রাখতে হবে, যখনই সিলেক্ট অল অপশন ক্লিক করবেন, তখন ইনবক্সের ই-মেইল সিলেক্ট হয়ে যাবে। তখন সবই আর্কাইভ হয়ে যাবে। আর্কাইভ অপশনে ক্লিক করে কোনো ফোল্ডার লুকিয়ে রাখতে চান, তাহলে ফোল্ডারে ক্লিক করে আর্কাইভে ক্লিক করলেই কাজ হয়ে যাবে।

ডিভাইস যখন অ্যান্ড্রয়েড

প্রথমে স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে জিমেইল অ্যাপ খুলতে হবে। প্রয়োজনীয় ই-মেইলটি আর্কাইভ করতে তা আগে খুলে নিতে হবে। স্ক্রিনের ওপরের ডানদিকে থ্রি-ডট আইকনে ক্লিক করে তারপর মেন্যু থেকে আর্কাইভ নির্বাচন করতে হবে।

আর্কাইভ ইন আইফোন 

আইফোন বা আইপ্যাড জিমেইলে অ্যাপ খুলতে হবে। জরুরি ই-মেইলটি আর্কাইভ করতে তার ডানদিকে সোয়াইপ করতে হবে। তখন আর্কাইভ আইকনটি দৃশ্যমান হবে। ওই অপশনে ক্লিক করলেই আর্কাইভ হয়ে যাবে নির্বাচিত সব ই-মেইল। কাজের প্রয়োজনে বাড়তি স্টোরেজ এখন সময়ের দাবি। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ