ভোটে নির্বাচিত হলেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি-সম্পাদক
Published: 12th, February 2025 GMT
কাউন্সিলে কর্মী শিক্ষার্থীদের ভোটের মাধ্যমে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার বেলা ১১টা থেকে জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে কলেজটির মুক্তমঞ্চে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বেলা দুইটা পর্যন্ত। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
ভোট গ্রহণ শেষে বিকেল চারটার দিকে ফল ঘোষণা করা হয়। এ সময় কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদ, সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকারসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কলেজ ছাত্রদলের কর্মী শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে ২৩৯ ভোট পেয়ে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন জামির আহম্মেদ (মসনদ)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নয়ন পেয়েছেন ১১৯ ভোট। ১৫৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শিমুল হোসেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সজীব পেয়েছেন ১০৫ ভোট।
কাউন্সিলে সভাপতি পদে জামির আহম্মেদ, নয়ন আলী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে শিমুল হাসান, সজীব আলী ও সামি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মেয়ে ও ছেলেশিক্ষার্থীরা আলাদা বুথে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। মোট ভোটারসংখ্যা ছিল ৪৬২।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব খন্দকার তসলিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় কাউন্সিলের সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোজাক্কির রহমান। এ সময় কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তৌহিদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহম্মেদ ও মোকছেদুল মোমিন উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে একটি ইতিবাচক রাজনীতির শুভসূচনা হয়েছে। সাড়ে ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশে অগণতান্ত্রিক সরকার ছিল। আমরা চাইলেও কাউন্সিল করতে পারিনি। পছন্দমতো পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারিনি।’
নাছির উদ্দীন আরও বলেন, ‘খুনি হাসিনা সরকারের দোসররা প্রতিটি ক্যাম্পাসে নিকৃষ্টতম মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছিল। তার বিপরীতে এখন একটি ভালো সময় উপনীত হয়েছে। আমরা নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করতে চাই। তারই ধারাবাহিকতায় ছাত্রদলের ৩৮টি সাংগঠনিক টিম প্রথম পর্বের কাজ শেষ করে দ্বিতীয় পর্বের কাজ শুরু করেছে। যেটি দুই দিন ধরে সারা দেশে চলছে। এই পর্বে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ প্রথম।’
দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভোট নিয়ে বেশ উৎসাহ দেখা গেল। মুক্তমঞ্চের সামনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিচ্ছিলেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের ভোটার নম্বর খুঁজে পেতে সহযোগিতা করছেন প্রার্থীদের প্রতিনিধিরা। সবাই নতুন ভোটার এবং প্রথমবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করায় বেশ আনন্দিত।
ভোটার শিক্ষার্থীরা বলেন, তাঁদের জীবনের প্রথম ভোট এটা। এর আগে কখনো তাঁরা ভোট দেননি। আগে দেখেছেন, নেতার পেছনে একজন দৌড়াদোড়ি করছেন, তখন তিনি পদ পেয়ে যাচ্ছেন। এবার সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করেছেন।
সম্মান তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘২৩ বছর বয়স হলেও কোথাও ভোট দিতে পারিনি। জাতীয় নির্বাচনে তো ভোট দেওয়ার চান্সই নেই। কারণ, স্বৈরাচার হাসিনার জন্য ভোট দিতে পারিনি। কেন্দ্রে গেলে ভোট হয়ে গেছে কিংবা সামনে ভোট দিতে হবে বলে। তাই নিজের মতো করে ভোট দেওয়ার অপশন পাইনি। আমার নিজের কলেজে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারছি। এটা আমার কাছে ভালো লাগছে।’
কাউন্সিল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোজাক্কির রহমান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে প্রশাসনের কাঁধে পা রেখে ক্ষমতায় টিকে ছিলেন। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম, যাদের জন্ম ২০০০ সালের পর, তারা কখনো ভোট দিতে পারেনি।
বাংলাদেশের মানুষের অনুভূতির জায়গা ভোটাধিকার। সারা বাংলাদেশের ক্যাম্পাসে নির্বাচনের মাধ্যমে সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন করার মাধ্যমে তাঁদের দেখাতে চাইছেন যে ছাত্রদল গণতন্ত্র ও সঠিক নির্বাচনে বিশ্বাস করে।
এই ভোটের নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক হাসিবুর শহীদ বলেন, অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা গেছে। যাঁরা প্রার্থী হয়েছিলেন, তাঁরা এখানকার নিয়মিত ছাত্র।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র স সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ভোটে নির্বাচিত হলেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি-সম্পাদক
কাউন্সিলে কর্মী শিক্ষার্থীদের ভোটের মাধ্যমে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার বেলা ১১টা থেকে জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে কলেজটির মুক্তমঞ্চে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বেলা দুইটা পর্যন্ত। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
ভোট গ্রহণ শেষে বিকেল চারটার দিকে ফল ঘোষণা করা হয়। এ সময় কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদ, সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকারসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কলেজ ছাত্রদলের কর্মী শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে ২৩৯ ভোট পেয়ে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন জামির আহম্মেদ (মসনদ)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নয়ন পেয়েছেন ১১৯ ভোট। ১৫৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শিমুল হোসেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সজীব পেয়েছেন ১০৫ ভোট।
কাউন্সিলে সভাপতি পদে জামির আহম্মেদ, নয়ন আলী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে শিমুল হাসান, সজীব আলী ও সামি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মেয়ে ও ছেলেশিক্ষার্থীরা আলাদা বুথে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। মোট ভোটারসংখ্যা ছিল ৪৬২।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব খন্দকার তসলিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় কাউন্সিলের সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোজাক্কির রহমান। এ সময় কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তৌহিদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহম্মেদ ও মোকছেদুল মোমিন উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে একটি ইতিবাচক রাজনীতির শুভসূচনা হয়েছে। সাড়ে ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশে অগণতান্ত্রিক সরকার ছিল। আমরা চাইলেও কাউন্সিল করতে পারিনি। পছন্দমতো পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারিনি।’
নাছির উদ্দীন আরও বলেন, ‘খুনি হাসিনা সরকারের দোসররা প্রতিটি ক্যাম্পাসে নিকৃষ্টতম মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছিল। তার বিপরীতে এখন একটি ভালো সময় উপনীত হয়েছে। আমরা নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করতে চাই। তারই ধারাবাহিকতায় ছাত্রদলের ৩৮টি সাংগঠনিক টিম প্রথম পর্বের কাজ শেষ করে দ্বিতীয় পর্বের কাজ শুরু করেছে। যেটি দুই দিন ধরে সারা দেশে চলছে। এই পর্বে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ প্রথম।’
দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভোট নিয়ে বেশ উৎসাহ দেখা গেল। মুক্তমঞ্চের সামনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিচ্ছিলেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের ভোটার নম্বর খুঁজে পেতে সহযোগিতা করছেন প্রার্থীদের প্রতিনিধিরা। সবাই নতুন ভোটার এবং প্রথমবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করায় বেশ আনন্দিত।
ভোটার শিক্ষার্থীরা বলেন, তাঁদের জীবনের প্রথম ভোট এটা। এর আগে কখনো তাঁরা ভোট দেননি। আগে দেখেছেন, নেতার পেছনে একজন দৌড়াদোড়ি করছেন, তখন তিনি পদ পেয়ে যাচ্ছেন। এবার সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করেছেন।
সম্মান তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম বলেন, ‘২৩ বছর বয়স হলেও কোথাও ভোট দিতে পারিনি। জাতীয় নির্বাচনে তো ভোট দেওয়ার চান্সই নেই। কারণ, স্বৈরাচার হাসিনার জন্য ভোট দিতে পারিনি। কেন্দ্রে গেলে ভোট হয়ে গেছে কিংবা সামনে ভোট দিতে হবে বলে। তাই নিজের মতো করে ভোট দেওয়ার অপশন পাইনি। আমার নিজের কলেজে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারছি। এটা আমার কাছে ভালো লাগছে।’
কাউন্সিল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোজাক্কির রহমান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে প্রশাসনের কাঁধে পা রেখে ক্ষমতায় টিকে ছিলেন। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম, যাদের জন্ম ২০০০ সালের পর, তারা কখনো ভোট দিতে পারেনি।
বাংলাদেশের মানুষের অনুভূতির জায়গা ভোটাধিকার। সারা বাংলাদেশের ক্যাম্পাসে নির্বাচনের মাধ্যমে সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন করার মাধ্যমে তাঁদের দেখাতে চাইছেন যে ছাত্রদল গণতন্ত্র ও সঠিক নির্বাচনে বিশ্বাস করে।
এই ভোটের নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক হাসিবুর শহীদ বলেন, অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা গেছে। যাঁরা প্রার্থী হয়েছিলেন, তাঁরা এখানকার নিয়মিত ছাত্র।