সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। পাথরবাহী ট্রাকের ধাক্কায় তার ডান হাত থেতলে যায়। আহত অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তির পর আজ বুধবার রাত ৮টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

এর আগে বুধবার বিকেল ৩টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের টুকের বাজার এলাকায় সড়ক পাড় হওয়ার সময় দুর্ঘটনায় আহত হয় সে। ওই স্কুলছাত্রের নাম মাহদি। তার বয়স সাড়ে ৫ বছর। লক্ষীপুর সদর উপজেলার জয়রামপুরের মামুনের ছেলে ও স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষার্থী মাহদী।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্কুল শিক্ষার্থীসহ বাবা-মার সঙ্গে বুধবার সাদা পাথর বেড়াতে আসে মাহদি। ফেরার পথে টুকের বাজারে একটি রেস্টুরেন্টে তারা খাওয়া-দাওয়া করে। এ সময় মাহদি রাস্তার পাশের দোকান থেকে কোমল পানীয় কিনে পারাপারের সময় সিলেটগামী একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার পর ট্রাকের চাকার নিচে মাহদির একটি হাত পড়ে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ মাহদির বাবা-মা তাকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ইয়াহইয়া জাকারিয়া বুধবার সন্ধার দিকে জানিয়েছেন, মাহদির হাতের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। তার রক্তের প্রয়োজন। রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু আজ বুধবার রাত ৮টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

মাহদির বাবা মামুন জানান, স্কুল ভ্রমনে তারা সাদা পাথর বেড়াতে এসেছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবস থ য়

এছাড়াও পড়ুন:

আলাদীনস পার্কে ঢাকার স্কুলের পিকনিকে রক্তাক্ত সংঘাত

ঢাকার ধামরাইয়ে আলাদীনস পার্ক নামে বিনোদনকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের পিকনিকের আনন্দ শেষ হলো সেখানকার কর্মচারীদের সঙ্গে রক্তাক্ত সংঘাতের মধ্য দিয়ে।

পিকনিকে আসা শিক্ষার্থীদের মোবাইল হারানোকে কেন্দ্র করে পার্ক কর্মচারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত লোকজন আহত হয়েছে। 

ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ঘটনা সম্পর্কে অবহিত। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আহতদের নাম ও বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। তবে ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

কাশেমের মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে গাজীপুর, রাতেই মশাল মিছিল

ধামরাইয়ের সড়কে ঝরল প্রাণ

সংঘর্ষের মধ্যে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিনোদনকেন্দ্রের বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর চালান। আর শিক্ষার্থীদের বহনকারী কয়েকটি বাস ভাঙচুর করেন পার্কের কর্মচারীরা।

ঢাকার মিরপুরের বনফুল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আলাদীনস পার্কে পিকনিক করতে আসেন। 

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের সিতি এলাকায় আলাদীনস পার্কে এই সংঘাত হয়েছে। 

সকাল ১০টার দিকে ঢাকার মিরপুরের বনফুল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আলাদীনস পার্কে পিকনিক করতে আসেন।

সকাল ১০টার দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৬৫০ জন ১২টি বাসে আলাদীনস পার্কে আসেন। দুপুরের দিকে শিক্ষার্থীরা তাদের মোবাইল ও অন্যান্য জিনসপত্র লকারে রেখে ওয়াটার পার্কে নামেন। তবে পানি থেকে উঠে কয়েকজন শিক্ষার্থী লকার খোলা ও সেখানে মোবাইল খুঁজে পাননি। 

শিক্ষার্থীরা এ জন্য পার্ক কর্মচারীদের দায়ী করলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের মধ্যস্ততায় মীমাংসা হয়, তবে মোবাইল ফোন খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিকেল ৫টার দিকে বিনোদনকেন্দ্র ছেড়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন না নিয়ে সেখান থেকে যেতে রাজি হন না। 

একপর্যায়ে তারা বিনোদনকেন্দ্রের কয়েকটি স্থাপনায় ভাঙচুর করেন। এ সময় বিনোদনকেন্দ্রের কর্মচারীরা তাদের ওপর চড়াও হন। এ সময় সংঘর্ষ বেঁধে যায। 

সংঘর্ষে আহত পার্কের পক্ষের এক তরুণ। ছবি: রাইজিংবিডি

পার্কের কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের অন্তত আটটি বাসে ভাঙচুর চালিয়েছেন। সংঘর্ষে ২৫-৩০ শিক্ষার্থী ও ১০-১৫ জন পার্কের কর্মচারী রক্তাক্ত হন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

আহতদের উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বনফুল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক নাসির আফজাল বলেন, “আমাদের ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আমরা মামলা করব। ক্ষতিপূরণের বিষয় রয়েছে।”

আলাদীনস পার্কের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা নকিবুল হাসান রনি বলেন, “আমাদের ১৫-১৬ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সবারই শরীরে রক্তাক্ত জখম। আহত সবাই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

ঢাকা/সাব্বির/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ