ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে মোহাম্মদ এজাজকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছর তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

আজ বুধবার বিকেলে স্থানীয় সরকার বিভাগ এ–সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। মোহাম্মদ এজাজ বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান রিভার অ্যান্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) চেয়ারম্যান।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মাহবুবা আইরিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৪–এর ধারা ২৫(ক)–এর উপধারা (১) প্রয়োগ করে নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিকে (মোহাম্মদ এজাজকে) পরবর্তী এক বছরের জন্য পূর্ণকালীন প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হলো। তিনি প্রশাসক হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়রের ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁকে বিধি মোতাবেক মাসিক সম্মানী ভাতা ও অন্যান্য ভাতা প্রদান করা হবে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৯ আগস্ট ঢাকা উত্তর সিটিসহ দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। ওই দিনই আরেকটি অফিস আদেশে এসব সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এর পর থেকে এত দিন ঢাকা উত্তর সিটিতে প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিকল্পনা, পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও পরিদর্শন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাহমুদুল হাসান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

আলাদীনস পার্কে ঢাকার স্কুলের পিকনিকে রক্তাক্ত সংঘাত

ঢাকার ধামরাইয়ে আলাদীনস পার্ক নামে বিনোদনকেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের পিকনিকের আনন্দ শেষ হলো সেখানকার কর্মচারীদের সঙ্গে রক্তাক্ত সংঘাতের মধ্য দিয়ে।

পিকনিকে আসা শিক্ষার্থীদের মোবাইল হারানোকে কেন্দ্র করে পার্ক কর্মচারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত লোকজন আহত হয়েছে। 

ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ঘটনা সম্পর্কে অবহিত। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আহতদের নাম ও বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। তবে ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

কাশেমের মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে গাজীপুর, রাতেই মশাল মিছিল

ধামরাইয়ের সড়কে ঝরল প্রাণ

সংঘর্ষের মধ্যে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিনোদনকেন্দ্রের বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর চালান। আর শিক্ষার্থীদের বহনকারী কয়েকটি বাস ভাঙচুর করেন পার্কের কর্মচারীরা।

ঢাকার মিরপুরের বনফুল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আলাদীনস পার্কে পিকনিক করতে আসেন। 

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের সিতি এলাকায় আলাদীনস পার্কে এই সংঘাত হয়েছে। 

সকাল ১০টার দিকে ঢাকার মিরপুরের বনফুল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আলাদীনস পার্কে পিকনিক করতে আসেন।

সকাল ১০টার দিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৬৫০ জন ১২টি বাসে আলাদীনস পার্কে আসেন। দুপুরের দিকে শিক্ষার্থীরা তাদের মোবাইল ও অন্যান্য জিনসপত্র লকারে রেখে ওয়াটার পার্কে নামেন। তবে পানি থেকে উঠে কয়েকজন শিক্ষার্থী লকার খোলা ও সেখানে মোবাইল খুঁজে পাননি। 

শিক্ষার্থীরা এ জন্য পার্ক কর্মচারীদের দায়ী করলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের মধ্যস্ততায় মীমাংসা হয়, তবে মোবাইল ফোন খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিকেল ৫টার দিকে বিনোদনকেন্দ্র ছেড়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন না নিয়ে সেখান থেকে যেতে রাজি হন না। 

একপর্যায়ে তারা বিনোদনকেন্দ্রের কয়েকটি স্থাপনায় ভাঙচুর করেন। এ সময় বিনোদনকেন্দ্রের কর্মচারীরা তাদের ওপর চড়াও হন। এ সময় সংঘর্ষ বেঁধে যায। 

সংঘর্ষে আহত পার্কের পক্ষের এক তরুণ। ছবি: রাইজিংবিডি

পার্কের কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের অন্তত আটটি বাসে ভাঙচুর চালিয়েছেন। সংঘর্ষে ২৫-৩০ শিক্ষার্থী ও ১০-১৫ জন পার্কের কর্মচারী রক্তাক্ত হন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

আহতদের উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বনফুল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক নাসির আফজাল বলেন, “আমাদের ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আমরা মামলা করব। ক্ষতিপূরণের বিষয় রয়েছে।”

আলাদীনস পার্কের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা নকিবুল হাসান রনি বলেন, “আমাদের ১৫-১৬ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সবারই শরীরে রক্তাক্ত জখম। আহত সবাই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

ঢাকা/সাব্বির/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ