বাড্ডার সাবেক এসি রাজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের
Published: 12th, February 2025 GMT
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বাড্ডা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর রামপুরা এলাকায় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে করা একটি মামলায় আজ বুধবার এ আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ রাজন সাহাকে গ্রেপ্তারের পর ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো.
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজন সাহাকে র্যাবে বদলি করা হয়। সর্বশেষ তিনি র্যাব-৫–এ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসকের পদায়ন নিয়ে হট্টগোল, বিভিন্ন সেবা বন্ধ
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও চিকিৎসকদের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে। চার মাস আগে বদলি হওয়া চিকিৎসক অধ্যাপক গুরুদাস মণ্ডলকে একই পদে পদায়নকে কেন্দ্র করে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
ওই চিকিৎসককে আওয়ামী লীগপন্থি চিহ্নিত করে হাসপাতালের অন্য চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেন এবং পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ ও যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলমের পদত্যাগের দাবি জানান। এ সময় আন্দোলনরত চিকিৎসকদের ওপর চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা হামলা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে বুধবার সকাল থেকে হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। জরুরি বিভাগ এবং বহির্বিভাগ ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে সেবা বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালে কর্মরত একাধিক চিকিৎসক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক চিকিৎসক সমকালকে বলেন, আওয়ামীপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাচিপ নেতা অধ্যাপক গুরুদাস মণ্ডলকে প্রায় চার মাসে আগে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি করা হয়। সম্প্রতি তাঁকে ফের নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হলে বৈষম্যবিরোধী হিসেবে পরিচয় দেওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
ডা. গুরুদাসকে কেন ফিরিয়ে আনা হলো জানতে বুধবার সকালে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে যান। সেখানে বিষয়টি নিয়ে কিছুটা হট্টগোল হয়। পরে চিকিৎসকরা বের হয়ে ৪০২ নম্বর কক্ষে এসে বৈঠক করার সময় চতুর্থ শ্রেণির এবং আউটসোর্সিংয়ের কিছু কর্মচারী তাদের ওপর হামলা করেন বলে চিকিৎসকদের অভিযোগ।
কর্মবিরতিতে থাকা একজন চিকিৎসক বলেন, হাসপাতালের পরিচালক কর্মচারীদের লেলিয়ে দিয়েছেন। আউটসোর্সিংয়ের কর্মচারীরা বহির্বিভাগ বন্ধ করে দেন। পরে দুপুরের দিকে আউটডোর এবং জরুরি বিভাগের কার্যক্রম শুরু করেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচার বন্ধ আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপপরিচালক ডা. বদরুল আলম মণ্ডল বলেন, চিকিৎসকরা আপত্তি করায় গুরুদাস মণ্ডল এ হাসপাতালে যোগদান করতে পারবেন না।