টাঙ্গাইলে ‘হেফাজতের আপত্তিতে’ লালন স্মরণোৎসব বন্ধ
Published: 12th, February 2025 GMT
হেফাজতে ইসলামের আপত্তির মুখে টাঙ্গাইলের মধুপুরে লালন স্মরণোৎসব বন্ধ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফকির লালন সাঁইজির ১৩৪তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে মধুপুর উপজেলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লালন স্মরণোৎসব-২০২৫ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত উৎসবটি করা যায়নি।
মধুপুর লালন সংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফকির লালন সাঁইজির ১৩৪তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে মধুপুর লালন সংঘ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উৎসব আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সবুজ মিয়া বলেন, ‘‘উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম আমরা। কিন্তু, হেফাজতে ইসলামের আপত্তির মুখে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি করতে পারিনি।’’
এর আগে, বিকেলে ফেসবুক পোস্টে লালন স্মরণোৎসব বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে সবুজ মিয়া লিখেছেন, ‘হঠাৎ করেই খবর পাই, মধুপুরে হেফাজতে ইসলাম আমাদের অনুষ্ঠান নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার আলোচনা হয়েছে। এতে অংশ নেন উপজেলা হেফাজতের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল্লাহ, কওমি উলামা পরিষদের সভাপতি সোলায়মান কাসেমীসহ ১০-১৫ জন। লালন সংঘের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি ফরহাদ হোসেন তরফদার ও সবুজ মিয়া। দুপক্ষের মধ্যস্থতা করেন মধুপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন সরকার।’
‘আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আমরা এখানে মতাদর্শ প্রচারের জন্য এই আয়োজন করিনি। এখানে লালনের মতাদর্শ নিয়ে কোনো আলোচনা ইতোপূর্বে হয়নি, এবারো হবে না। আমরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করি শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য। এ ছাড়া যে গানগুলো নিয়ে তাদের আপত্তি, সেই গানগুলো অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হবে না।’ ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন সবুজ।
তিনি আরো লিখেন, ‘লালন বাদ দিয়ে সাধারণ কনসার্ট করলে আপত্তি থাকবে না—শুরুতে হেফাজত নেতারা এমন কথা জানালেও পরবর্তীতে বলেন, কিছুতেই অনুষ্ঠান করতে দেবেন না।’
এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘‘ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় আমরা ভ্রান্ত লালন মতাদর্শ প্রচারে আপত্তি জানিয়েছি।’’
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘‘অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে, মঙ্গলবার রাতে আয়োজকরা জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। মধুপুর লালন সংঘ প্রশাসনকে না জানিয়ে এই আয়োজন করেছিল। তবে, শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি করা হয়নি।’’
ঢাকা/কাওছার/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র আপত ত ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
‘একটা বাক্স ঘিরে হাজারটা প্রশ্ন, উত্তর মিলবে ২৮ মার্চ’
প্রথমবারের মতো নির্মাতা আশফাক নিপুণের পরিচালনায় অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। সেটিও আবার একটি ওয়েব সিরিজে। জয়ার জন্য ‘জিম্মি’ ওয়েব সিরিজটি বিশেষ। কেননা এই প্রথম জয়া আহসান কোনও ওয়েব সিরিজের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
জয়া আহসান বহু বছর ধরে নাটক-সিনেমার মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করেছেন দেশ-বিদেশের দর্শকদের কাছে। তবে ওয়েব সিরিজে তার কাজ করা হয়নি তেমন। আশাফাক নিপুণের হাত ধরে সেটিও হয়ে গেলো।
জয়া বলেন, ‘আমি নতুন কোনো কাজ করার আগে তিনটা বিষয় সবসময় খেয়াল করি। সেটা হলো গল্প, চরিত্র ও পরিচালক। জিম্মি-র ক্ষেত্রে এগুলো সব মন মতো মিলে গিয়েছিল। সেই সাথে আমার ওয়েব সিরিজের শুরুটা করছি হইচই-এর সাথে। মুক্তি পাবে ঈদে, সব মিলিয়ে আমার জন্য বিষয়টা বেশ রোমাঞ্চের।’
এছাড়া ‘জিম্মি’ মুক্তির তারিখ ঘোষণা উপলক্ষে একটি প্রমোশনাল ভিডিও বানিয়েছে টিম হইচই। সেখানে বলা হয়েছে একটি বক্সের কথা। ভিডিওটি শেয়ার করে সমাজিক মাধ্যমে জয়া লিখেছেন, ‘একটা বাক্সকে ঘিরে হাজারটা প্রশ্ন! উত্তর কেবল এক জনের কাছে। কে এই রুনা লায়লা? প্রশ্নের উত্তর মিলবে ২৮ই মার্চ।’
‘মহানগর’, ‘সাবরিনা’র পর দর্শকদের জিম্মি করতে আবার আসছেন আশফাক নিপুণ। নতুন সিরিজ নিয়ে তিনি বলেন, “আমি ‘জিম্মি’ নির্মাণের মাধ্যমে নতুন রকমের গল্প বলার চেষ্টা করেছি। এইটুক বলতে পারি, দর্শক অবশ্যই নতুন কিছু উপভোগ করবে। এছাড়া জয়া আহসান দারুণ ও পরীক্ষিত একজন অভিনেত্রী। গল্পের প্রয়োজনে আমরা এমন একজন অভিনয়শিল্পী চেয়েছিলাম, যার অভিব্যক্তি ও অভিনয়গুণে চরিত্রটি জীবন্ত হয়ে উঠবে। তিনি আমদের সেই প্রত্যাশা পূরণ করেছেন।”
এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৮ মার্চ ‘জিম্মি’ আসছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইতে।