রাজধানীর মুগদায় বিশেষ চেকপোস্ট বসিয়ে দুই অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও ৫০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। 

বুধবার রাত দেড়টার দিকে মুগ্ধা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দুইজন হলেন- মো. আব্দুল খালেক ও মো. ইব্রাহিম।

মুগদা থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল প্রবেশ গেটের সামনের সড়কে বিশেষ চেকপোস্ট পরিচালনা করেন থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো.

শরিফুল ইসলামসহ অন্য সদস্যরা। এ সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে বিদেশি পিস্তল, দুটি খালি ম্যাগাজিন ও ৫০ রাউন্ড গুলিসহ দুই অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মুগদা থানায় মামলা করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প স তলসহ গ র প ত র

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানের সঙ্গে ইপিএর শেষ পর্যায়ের আলোচনা এপ্রিলে

আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বর নাগাদ জাপানের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) করতে চায় বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দুই দেশের মধ্যে চার দফা নেগোসিয়েশন বা আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। পঞ্চম তথা শেষ পর্যায়ের আলোচনা আগামী ২১ থেকে ২৫ এপ্রিল জাপানে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে তিনবার ঢাকায় এবং একবার টোকিওতে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ, সম্প্রসারণ ও বিভিন্ন দেশের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাওয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ), মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পাদনের নীতি গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১৪টি দেশ ও ট্রেড ব্লকের সঙ্গে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি (আরটিএ) সম্পাদনে নোগোসিয়েশন বা আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু করছে। এর মধ্যে জাপান অন্যতম।

জাপান-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরকে সামনে রেখে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দুই দেশের যৌথ স্টাডি গ্রুপের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাণিজ্য, শুল্ক পদ্ধতি, বাণিজ্য সহজীকরণ, বিনিয়োগ, ইলেকট্রনিক বাণিজ্যসহ ১৭টি খাতের রূপরেখা চূড়ান্ত হয়েছে। প্রতিবেদনে চিহ্নিত খাতগুলো হচ্ছে– পণ্যের বাণিজ্য, বাণিজ্য সহজীকরণ, বাণিজ্যে বাধা দূর করার ব্যবস্থা, শুল্ক পদ্ধতি এবং বাণিজ্য সুবিধা (সিপিটিএফ), বাণিজ্যে প্রযুক্তিগত বাধা (টিবিটি), পরিষেবা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, ইলেকট্রনিক বাণিজ্য, সরকারি কেনাকাটা, মেধাস্বত্ব, প্রতিযোগিতা/ভর্তুকি/রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগ, ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি, শ্রম, পরিবেশ, স্বচ্ছতা, সহযোগিতা এবং বিরোধ নিষ্পত্তি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ