তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো ইংল্যান্ড। আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে সফরকারীরা হেরেছে ১৪২ রানের বড় ব্যবধানে।
এদিন ভারত আগে ব্যাট করতে নেমে শুভমান গিলের সেঞ্চুরি এবং বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আয়ারের ব্যাটে ভর করে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৫৬ রান করে ভারত। জবাব দিতে নেমে ৩৪.
ইংল্যান্ডের ইনিংসে কেউ-ই ফিফটি রানের ইনিংস খেলতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩৮টি করে রান করেন টম ব্যান্টন ও গাস অ্যাটকিনসন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন বেন ডাকেট। এছাড়া জো রুট ২৪, ফিল সল্ট ২৩ ও হ্যারি ব্রুক করেন ১৯ রান।
আরো পড়ুন:
গিল-আয়ার-কোহলির ব্যাটে তৃতীয় ওয়ানডেতে ভারতের রান পাহাড়
বিরুদ্ধ সময় কাটিয়ে সেঞ্চুরিতে রোহিতের আনন্দাশ্রু
বল হাতে ভারতের আরশদীপ সিং, হরষিত রানা, অক্ষর প্যাটেল ও হার্দিক পান্ডিয়া সবাই দুটি করে উইকেট নেন।
তার আগে ভারত ব্যাট করতে নামে। সেখানে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রোহিত শর্মা এই ম্যাচে অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই আউট হন তিনি ব্যক্তিগত ১ রানে। সেখান থেকে গিল ও কোহলি ১১৬ রানের জুটি গড়েন দ্বিতীয় উইকেটে। তাতে ১৮.৫ ওভারেই ভারতের রান হয়ে যায় ১২২।
এই রানের মাথায় কোহলি ফিরেন ৫৫ বলে ৭টি চার ও ১ ছক্কায় ৫২ রানের ইনিংস খেলে। সেখান থেকে গিল ও আয়ার তৃতীয় উইকেট জুটিতে তোলেন আরও ১০৪ রান। দলীয় ২২৬ রানের মাথায় গিল ফেরেন। তার আগে ১০২ বল খেলে ১৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ১১২ রানের ইনিংস খেলে যান। যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি।
এরপর আয়ারের ৮ চার ও ২ ছক্কায় করা ৭৮ এবং ৩টি চার ও ১ ছক্কায় লোকেশ রাহুলের ৪০ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত ৩৫৬ রান পর্যন্ত যায়।
বল হাতে ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ ১০ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। মার্ক উড ৯ ওভারে ১ মেডেনসহ ৪৫ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
১১২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গিল। আর সিরিজে ২৫৯ রান করে সিরিজ সেরাও হন তিনি।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন র ইন র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
নববর্ষের ঐতিহ্যকে একটি গোষ্ঠী কুক্ষিগত করে রেখেছিল: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
প্রধান উপদেষ্টার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, দেশে এবার স্বৈরাচারমুক্ত পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। হাজার বছরের এই ঐতিহ্যকে একটি পরিবার, একটি বিশেষ গোষ্ঠী কুক্ষিগত করে রেখেছিল। বহু বছর পর এবার প্রাণের উৎসব হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা নানাভাবে অপচেষ্টা করছে। কিন্তু সরকার তৎপর আছে।
আজ সোমবার সকালে চুনারুঘাটে সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ আয়োজিত বাংলা নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক ও চুনারুঘাট সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি সালেহ উদ্দিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় ঐক্যমত্য গঠনের বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, গত ১৬-১৭ বছর অবরুদ্ধ পরিবেশে নববর্ষ এসেছে, আবার চলে গেছে। কিন্তু বছরগুলো আমাদের জন্য নতুন কিছু আনতে পারেনি। যারা পরাজিত হয়েছে, তারা অঢেল টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। ফলে এখনকার মুক্ত পরিবেশ ঝুঁকির মধ্যে আছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এই পরিবেশকে যেন আমাদের অসচেতনতার কারণে হারিয়ে না ফেলি।
তিনি আরও বলেন, সংস্কার ও ঐক্যমত্য দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই একটা জায়গায় পৌঁছে যাওয়া যাবে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবি ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, গত ১৬ বছর মুক্তভাবে কথা বলা যেত না। এখন অনেকেই মিলেমিশে চলার কথা বলছেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে সব অপরাধের ক্ষমা হয় না।
এদিকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রায় লাঠিখেলাসহ নানা প্রতিকৃতি ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়। এদিকে সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে জাতীয় সঙ্গীত এবং এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে শহরে সার্বজনীন আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে লাঠি খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া, হবিগঞ্জ জজকোর্টের পিপি আব্দুল হাই চৌধুরী, সহকারী কমিশনার ভূমি মাহবুব আলম সাবেক মেয়র নাজিম উদ্দিন সামছু, ওসি নুর আলম, ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহনেওয়াজসহ অনেকেই। এর বাইরেও উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়।