দেশ পরিচালনা-নির্বাচনের দিকে খেয়াল নেই, ব্যস্ত সংস্কার নিয়ে: গয়েশ্বর
Published: 12th, February 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এই সরকারের দায়িত্ব একটি নির্বাচন করা। তারা নির্বাচনের ব্যাপারেও নাই, সরকার পরিচালনার দিকেও খেয়াল নেই- সকাল বিকাল শুধু সংস্কার আর সংস্কার বলছেন। দেশে কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন, তারা রাজনীতিবিদদের সম্মান করতে জানেন না; তারা শুধু বুদ্ধি দিবেন তাদের জন্য কয়েকটা কমিশন গঠন করার জন্য।
বুধবার বিকালে লালমনিরহাট শহরের রেলওয়ে মুক্তমঞ্চ মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা বলছে, মুক্তিযুদ্ধ নয়, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে ১৯৭১ সালে জনযুদ্ধ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বলতে লজ্জা পায়- এটা কিসের আলামত? তারা ৭ নভেম্বর জানে না, তারা জানে ৫ আগস্ট দেশ স্বাধীন হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার সেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে না পারলে তাঁর দায় এ দেশের রাজনীতিবিদদের।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে তিনি আরও বলেন, আপনারা প্রশাসনে ও সরকারে থেকে উপদেষ্টামন্ডলীদের নিয়ে রাতে গোপন বৈঠক করবেন। আর নতুন বাচ্চা প্রসব করবেন। রাজনীতি করার অধিকার সবার রয়েছে। পতাকা খুলে বাড়িতে চলে আসেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকার এই কাজ করলে তাদেরকে আর নিরপেক্ষ বলা যাবে না। এই সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে বলে তিনি আরও জানান।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনশীল ও নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবিতে অনুষ্ঠিত এই জনসমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম ও আব্দুল খালেকসহ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাংক লুটকারী-অর্থ পাচারকারীদের সম্পদ বাজেয়াপ্তে বিশেষ অর্থনৈতিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি
বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে এনে দেশের সাধারণ জনগণের কল্যাণে ব্যয় করার দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। একই সঙ্গে ব্যাংক লুটকারী ও অর্থ পাচারকারীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন আয়োজিত জনসমাবেশে এই দাবি জানানো হয়।
জনসমাবেশে আরও কয়েকটি দাবি জানানো হয়। এগুলো হলো রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের স্বৈরতান্ত্রিক আইনের সংস্কার, কৃষিপণ্যের ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ, ধর্ষণ ও মব-সন্ত্রাস বন্ধ, সংবিধান সংস্কার সভা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একই সঙ্গে করা।
জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর তাঁরা জানতে পেরেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ২৮ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এই টাকা ফেরত আনার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। এই অর্থ ফিরিয়ে এনে জনগণের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন শর্তের তীব্র সমালোচনা করেন হাসনাত কাইয়ূম। তিনি বলেন, দল নিবন্ধিত হতে হলে কমপক্ষে ২১ জেলা ও ১০০ উপজেলায় কমিটিসহ দপ্তর থাকার বিধানটি লুটেরাদের জন্য। এর ফলে সাধারণ মানুষ দল গঠনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। তাদের কোনো রাজনৈতিক দল গড়ে ওঠে না। তাঁরা আইনটি বাতিল বা সংস্কারের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছেন।
হাসনাত কাইয়ূম বলেন, দেশে সব পণ্যের দাম উৎপাদনকারী নির্ধারণ করতে পারলেও কৃষকেরা নিজেদের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করতে পারে না। ফলে ফড়িয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীরা সিন্ডিকেট করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। আর কৃষকেরা না খেয়ে মরেন। সে জন্য কৃষকদের ফসলের দাম নির্ধারণের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
জনসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয় কমিটির সদস্য জাকিয়া বেগম। বক্তব্য দেন সংগঠনটির অর্থ সম্পাদক দিদারুল ভূঁইয়া, গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাসিব উদ্দিন হোসেন, প্রধান সমন্বয়ক মাশকুর রাতুল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের শ্রমিক আন্দোলনের সমন্বয়ক মিন্টু মিয়া।