বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে তেলবাহী জাহাজের ট্যাংকার বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডে ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর ত্রিশ গোডাউন এলাকায় যমুনা অয়েলের ডিপোতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধদের মধ্যে তাৎক্ষণিক তিনজনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- রুবেল, সম্পা ও মান্নান। এর মধ্যে, দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ট্রলারে থাকা আমজাদ হোসেন নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘‘নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে তেল নেওয়ার জন্য বরিশাল এসেছিলাম। বিকেলে ত্রিশ গোডাউন এলাকায় যমুনা অয়েলের ডিপোতে ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন নেওয়ার জন্য জাহাজ নোঙর করা হয়। সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ ট্যাংকার বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এ সময় জাহাজে থাকা বাকিরা সাঁতরে তীরে উঠলেও দগ্ধ হন ৪ জন।’’

বরিশাল সদর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসর সুমন বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।’’

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা জানান, অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসা চলছে। তবে, দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঢাকা/পলাশ/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসকের পদায়ন নিয়ে হট্টগোল, বিভিন্ন সেবা বন্ধ

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও চিকিৎসকদের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে। চার মাস আগে বদলি হওয়া চিকিৎসক অধ্যাপক গুরুদাস মণ্ডলকে একই পদে পদায়নকে কেন্দ্র করে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়। 

ওই চিকিৎসককে আওয়ামী লীগপন্থি চিহ্নিত করে হাসপাতালের অন্য চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেন এবং পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ ও যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলমের পদত্যাগের দাবি জানান। এ সময় আন্দোলনরত চিকিৎসকদের ওপর চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা হামলা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে বুধবার সকাল থেকে হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। জরুরি বিভাগ এবং বহির্বিভাগ ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে সেবা বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালে কর্মরত একাধিক চিকিৎসক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক চিকিৎসক সমকালকে বলেন, আওয়ামীপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাচিপ নেতা অধ্যাপক গুরুদাস মণ্ডলকে প্রায় চার মাসে আগে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি করা হয়। সম্প্রতি তাঁকে ফের নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হলে বৈষম্যবিরোধী হিসেবে পরিচয় দেওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।

ডা. গুরুদাসকে কেন ফিরিয়ে আনা হলো জানতে বুধবার সকালে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে যান। সেখানে বিষয়টি নিয়ে কিছুটা হট্টগোল হয়। পরে চিকিৎসকরা বের হয়ে ৪০২ নম্বর কক্ষে এসে বৈঠক করার সময় চতুর্থ শ্রেণির এবং আউটসোর্সিংয়ের কিছু কর্মচারী তাদের ওপর হামলা করেন বলে চিকিৎসকদের অভিযোগ।

কর্মবিরতিতে থাকা একজন চিকিৎসক বলেন, হাসপাতালের পরিচালক কর্মচারীদের লেলিয়ে দিয়েছেন। আউটসোর্সিংয়ের কর্মচারীরা বহির্বিভাগ বন্ধ করে দেন। পরে দুপুরের দিকে আউটডোর এবং জরুরি বিভাগের কার্যক্রম শুরু করেন চিকিৎসকরা।  অস্ত্রোপচার বন্ধ আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপপরিচালক ডা. বদরুল আলম মণ্ডল বলেন, চিকিৎসকরা আপত্তি করায় গুরুদাস মণ্ডল এ হাসপাতালে যোগদান করতে পারবেন না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ