চার বছর পর এবার বগুড়ার পোড়াদহ মাছের মেলায় প্রকাশ্যে মহাবিপন্ন প্রজাতির বাঘাইড় মাছ আস্ত এবং কেটে বিক্রি করা হয়েছে।

চারশ’ বছরের পুরনো মেলার মূল আকর্ষণ বাঘাইড় মাছ। তাই পাল্লা দিয়ে প্রতি বছর মাছ ব্যবসায়ীরা মেলায় দুই মণ, আড়াই মণ ওজনের বাঘাইড় মাছ উঠাতেন।  তবে বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন ইউনিট বাঘাইড় মাছকে মহাবিপন্ন ঘোষণা করায় গত তিন বছর এই মাছ এভাবে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এবার মেলায় অন্তত ৫টি দোকানে বাঘাইড় মাছ বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখতে দেখা গেছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই মাছ বিক্রি বন্ধে প্রশাসনকে পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

মেলায় ৬৫টি বাঘাইড় মাছ নিয়ে এসেছেন জমির উদ্দিন। বাঘাইড় ছাড়াও তিনি তার দোকানে উঠিয়েছেন আইড়, বোয়াল, চিতল, কাতল মাছ। তিনি জানান, ২০ বছর ধরে তিনি এই মেলায় মাছ নিয়ে আসেন। তিনি যে মাছগুলো নিয়ে এসেছেন, সবগুলোয় যমুনা নদীর মাছ। সব মিলিয়ে তিনি  পাঁচ লাখ টাকার মাছ মেলায় নিয়ে এসেছেন। তবে এবার মেলায় মাছ কম।

আরো পড়ুন:

মেঘনায় ধরা পড়ল ৮ মণের শাপলাপাতা মাছ

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
হাওর পাড়ের জমিতে কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে

তিনি জানান, ঝুঁকি নিয়ে বাঘাইড় মাছ মেলায় এনেছেন। বিষয়টি তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, তিনি ধারণা করেছিলেন বাঘাইড় মাছ মেলায় বিক্রি করতে দেবেন কিন্তু নিয়ে আসার পর শুনছেন, বিক্রি করতে দেবেন না। তাই আপাতত দুটি মাছ উঠিয়েছেন। ৬৫টি বাঘাইড় মাছের মধ্যে সবচেয়ে বড়টির ওজন ৩০ কেজি। সব চেয়ে ছোটটির ওজন ৫ কেজি। বেশির ভাগ বাঘাইড়ের ওজন ২০ কেজির কাছাকাছি। এই মাছগুলোর আকার ভেদে দাম ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি।

বাঘাইড় মাছ নিয়ে আসা আরেক ব্যবসায়ী লাল মিয়া বলেন, যমুনার জেলেদের কাছ থেকে তিনি তিনটি বাঘাইড় মাছ নিয়ে আসেন। এর মধ্যে একটি ৩৫ কেজি ওজনের। সেটি বিক্রি করে ফেলেছেন। আরও দুটি আছে। দুটিই টাটকা মাছ। একটি তো এখনো জীবিত আছে। এটি ২০ কেজি ওজনের। যেটি বিক্রি করেছেন, সেটি ১৬০০ টাকা কেজি দরে ৫৬ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। বাকি দুটিরও দরদাম চলছে। ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি ধরে ছেড়ে দেবেন।

প্রথা অনুযায়ী মাঘের শেষ বুধবারে ইছামতী নদীর পাড়ে এ মেলা বসে। মেলাটি সন্যাস মেলা, মাছের মেলা নামেও পরিচিত। তবে হাল আমলে এসে মেলাটি জামাই মেলা নামে বেশি পরিচিত। যে কারণে প্রথা অনুযায়ী শ্বশুরবাড়িতে সবচেয়ে বড় মাছ কিনে নিয়ে যেতে জামাইদের নীরব প্রতিযোগিতা চলে। 

মেলায় মহাবিপন্ন বাঘাইড় মাছ বিক্রি এবার শিথিল করা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহমান বলেন, ‘‘আমাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ তো কাজ করছে। আর বিক্রি শিথিল বা কঠিন, এটা আসলে কার এখতিয়ার বা কে করবে এটা আমি জানি না। তবে আমি আইন মোতাবেক কাজ করছি।’’

ঢাকা/এনাম/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভেঙে যাচ্ছে তারকা দম্পতির বিয়ে?

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে স্বামীর সঙ্গে ইতালি বেড়াতে গিয়ে ১০ লাখ রুপির জিনিসপত্র চুরি হয় ভারতীয় হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠির। পাসপোর্টসহ মানিব্যাগও চুরি হয় দিব্যাঙ্কা-বিবেক দম্পতির। এতে দেশটিতে আটকে পড়েন তারা।

এ নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছিলেন দিব্যাঙ্কা-বিবেক। এ ঘটনার প্রায় এক বছর পর ৯ বছরের সংসার ভাঙার গুঞ্জনে খবরের শিরোনাম হলেন এই তারকা দম্পতি। বিষয়টি জোর চর্চা চলছিল। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন বিবেক।

মুম্বাইয়ের একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বিবেক। সেখানে বিয়েবিচ্ছেদের গুঞ্জন নিয়ে নীরবতা ভাঙেন। বিবেক বলেন, “আমরা এটাকে উপভোগ করছি। দিব্যাঙ্কা এবং আমি বিষয়টি নিয়ে হাসাহাসি করি। আমরা আইসক্রিম খাচ্ছিলাম আর ভাবছিলাম, ‘যদি আরো দীর্ঘ হয়, তবে আমরা পপকর্ন অর্ডার করব।”

আরো পড়ুন:

বোমা মেরে সালমানের গাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

মানুষ ভাবতেন আমি কেবল চুমু খেতে পারি, অভিনয় নয়: ইমরান হাশমি

খানিকটা ব্যাখ্যা করে বিবেক বলেন, “আমি ইউটিউবে ভ্লগ তৈরি করে থাকি। আমি জানি, ক্লিকবাইট কীভাবে কাজ করে। আপনি চাঞ্চল্যকর কিছু আপলোড করলে মানুষ তা দেখতে আসবেই। কিন্তু এই ধরনের অবাস্তব দাবিকে উৎসাহিত করা উচিত নয়।”

জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘ইয়ে হ্যায় মোহব্বতেঁ’। এ সিরিজের শুটিং সেটে প্রথম দেখা বিবেক-দিব্যাঙ্কার। সিরিজটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন দিব্যাঙ্কা। বেশ পরে পুলিশের চরিত্রে যোগ দেন বিবেক। সিরিজটির শুটিং সেটে তারা পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা অনুভব করেন।

২০১৬ সালের ৮ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে সাতপাকে বাঁধা পড়েন বিবেক-দিব্যাঙ্কা। ঘটা করেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। এতে দুই পরিবারের সদস্য, বন্ধু-বান্ধব ছাড়াও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।  

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ