রাবির ফোকলোর বিভাগের রজত জয়ন্তী কাল
Published: 12th, February 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফোকলোর বিভাগের রজত জয়ন্তী, ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক ফোকলোর সেমিনার ও দ্বিতীয় ফোকলোর অ্যালামনাই পুনর্মিলনী-২০২৫ আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধান অতিথি হিসেবে দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফোকলোর বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো.
ফোকলোর বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নূরুল ইসলাম। উক্ত অনুষ্ঠানে করবেন।
অনুষ্ঠান সূচির প্রথম পর্বে থাকছে সকাল সাড়ে ৮টায় রেজিস্ট্রেশন, সাড়ে ৯টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, ১০টা ২০ মিনিটে বর্ণাঢ্য র্যালি, ১১টা ১৫ মিনিটে শোক সভা, ১১টা ২০ মিনিটে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বৈশ্বিক ফোকলোর শীর্ষক আলোচনা সভা। দুপুর সাড়ে ১২টায় শাহিদা খাতুন মেধা পুরস্কার বিতরণ, ১টায় বিভাগীয় সিনিয়র শিক্ষক ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, দেড়টায় নামাজ ও মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতি।
দ্বিতীয় পর্বে থাকছে বেলা আড়াইটায় স্মৃতিচারণ ও আড্ডা, সাড়ে ৩টায় পিঠা উৎসব, সাড়ে ৪টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং রাত ৯টায় রাতের খাবার।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় ভালোবাসা বিনিময়, স্মৃতিচারণ ও আড্ডা, সাড়ে ১০টায় লোকক্রীড়া, ১২টায় বর্তমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অ্যালামনাইদের মত বিনিময় ও কর্মসংস্থান বিষয়ে পরামর্শ, ১টায় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন কমিটি গঠন ১টা ৪৫ মিনিটে নামাজ ও মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতি, আড়াইটায় আড্ডা ও র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে ফোকলোর বিভাগসহ পুরো সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবন তার সামনের অংশ সাজানো হয়েছে। শেষ মুহূর্তে বিভাগের শিক্ষার্থীরা আলপনায় দিচ্ছেন রঙ-তুলির আঁচড়।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ কল র ব ভ গ র
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর চারপাশে নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা
অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পৃথিবীর চারপাশে ভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের সন্ধান করছিলেন বিজ্ঞানীরা। অবশেষে লুকানো সেই বৈদ্যুতিক শক্তির খোঁজ পাওয়ার দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার একদল বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, নতুন ধরনের এই বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র পৃথিবীর ওপরের বায়ুমণ্ডল জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। শান্ত কিন্তু শক্তিশালী এই বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র পৃথিবীর ওপরের বায়ুমণ্ডলকে প্রভাবিত করতে সক্ষম। পৃথিবীর বায়ু ও মহাকাশের সংযোগে প্রধান ভূমিকা পালনও করে থাকে এই শক্তি। নাসার এনডুরেন্স মিশনের মাধ্যমে এই ক্ষেত্রের খোঁজ মিলেছে।
পৃথিবীর অনেক ওপরে বায়ুমণ্ডল ধীরে ধীরে পাতলা হতে শুরু করে, এর ফলে সেখানে পরমাণু চার্জযুক্ত কণা ভেঙে হালকা ইলেকট্রন ও ভারী আয়নে পরিণত হয়। সাধারণভাবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আয়নকে নিচে টেনে নিয়ে আসে আর ইলেকট্রন হালকা বলে ওপরে ভেসে থাকে। কিন্তু বৈদ্যুতিক চার্জ আলাদা থাকতে চায় না। ইলেকট্রন পালাতে শুরু করলে তার সঙ্গে আয়নকে একসঙ্গে ধরে রাখার জন্য একটি বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি হয়। এই ক্ষেত্র আয়নকে ওপরে ঠেলে দেয় আর ইলেকট্রনকে ধীর করে দেয়। এই ভারসাম্যকে বিজ্ঞানীরা অ্যাম্বিপোলার বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র বলেন। এটি একটি অদৃশ্য টানাটানির মতো কাজ করে। চার্জকে আলাদা হওয়া থেকে রক্ষা করে। পৃথিবী থেকে ২৫০ থেকে ৭৭০ কিলোমিটার ওপরে এই ক্ষেত্রের উপস্থিতি দেখা যায়। এর প্রভাব সূক্ষ্ম, কিন্তু বেশ শক্তিশালী।
নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের বিষয়ে নাসার বিজ্ঞানী গ্লিন কলিনসন বলেন, অ্যাম্বিপোলার ক্ষেত্র কণাকে উত্তপ্ত করার পরিবর্তে শান্তভাবে কণাকে ওপরে নিয়ে যায়, যেখানে অন্যান্য শক্তি সেগুলোকে আরও ওপরের মহাকাশে নিয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখছেন, এই ক্ষেত্র হাইড্রোজেন আয়নকে সুপারসনিক গতিতে পৃথিবী থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী। মাধ্যাকর্ষণের ঊর্ধ্বমুখী শক্তির চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী এই শক্তি।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবাহিত চার্জযুক্ত কণার তথ্য জানতে ২০২২ সালের ১১ মে একটি রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল নাসার এনডুরেন্স মিশন। রকেটটি পৃথিবীর ওপরে ৭৬৮ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছানোর আগে বায়ুমণ্ডলের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। সেসব তথ্য পর্যালোচনা করেই নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: আর্থ ডটকম