নানা বাড়ি যাওয়া হলো না শিশু রোহানের
Published: 12th, February 2025 GMT
কিছুদিন আগে নানার বাড়িতে যাওয়ার জন্য মায়ের সঙ্গে বায়না ধরেছিল শিশু রোহান মিয়া (৯)। কিন্তু, পারিবারিক কাজের চাপে ছেলেকে নিয়ে যেতে পারছিলেন না মোসলেমা বেগম। অবশেষে জেদ সহ্য করতে না পেরে ছেলেকে নিয়ে চার্জার ভ্যানযোগে বাবার বাড়িতে (শিশুটির নানার বাড়ি) রওনা দেন তিনি। কিন্তু, নানার বাড়িতে আর যাওয়া হয়নি তার। পিকনিক বাসের ধাক্কায় পিষ্ট হয়ে লাশ হয়ে ফিরেছে বাড়িতে।
বুধবার দুপুরে লালবাগ-ভেন্ডাবাড়ি জেলা সড়কের রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের শাল্টিপাড়া গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নিহত শিশুর নাম মো.
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের শাল্টিপাড়া গ্রাম থেকে পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ীর চেতনাপাড়ায় চার্জার ভ্যানে যাচ্ছিলেন মোসলেমা। পথে উপজেলার রাঙ্গাপুকুর এলাকায় ভেন্ডাবাড়ি থেকে রংপুরগামী একটি পিকনিক বাস সামনে এসে ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহত ওই ২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মিঠাপুকুর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রোহানের বাবা আক্তারুল ইসলাম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ম্যালা সখ করি ছনলটাক (ছেলেকে) হাফিজিয়া মাদ্রাসায় দিছনু। মানুষ করমো। হামার সখ কোটে গেলো? মোর ছইল কোটে গেলো?’
শিশুটির দাদা রাজা মিয়া বলেন, ‘মোর একটায় নাতী। দিন-আইত (রাত) মোরে কাছে আছিলো (ছিল)। দাদা দাদা কয়া ডাকছিল। আইজ থাকি আর কে মোক দাদা কয়া ডাকপে’?
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
রেডিওর আবেদন কমেনি আব্দুল মান্নানের কাছে
সময়টা ইন্টারনেট আর আকাশ সংস্কৃতির। এ যুগে রেডিওর ব্যবহার শহর তো দূরের কথা, গ্রামেও চোখে পড়ে না। তবে রেডিওর আবেদন একটুও কমেনি ঈশ্বরদী পৌর এলাকার সাঁড়াগোপালপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের কাছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের বয়স ৮০ বছর। তিনি রিকশা-সাইকেলের মেকানিক। সাঁড়াগোপালপুর টিপু সুলতান রোডে রেলের জমিতে তাঁর বসবাস। সামান্য আয়ে জীবনযাপন করলেও রেডিওর প্রতি তাঁর আকর্ষণ কমেনি একটুও। প্রতিদিন টং দোকানে বসে কাজ করার সময় রেডিও ছেড়ে দেন। গান খবর শুনতে শুনতে কাজ করেন। আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বেতার দিবস। এ দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে আব্দুল মান্নানের কোনো ধারণা না থাকলেও রেডিও তাঁর নিত্যসঙ্গী।
১৯৬০ সালে ৯ টাকা দিয়ে ছোট্ট একটি রেডিও কিনেন কিশোর আব্দুল মান্নান। সেই থেকে যন্ত্রটির প্রতি আকর্ষণ বাড়ে তাঁর। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ও রেডিওটি কাছে রাখতেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ‘বিবিসি’ বাংলা বিভাগের খবর শুনেছেন। সেই খবর অন্যদের পৌঁছে দিতেন।
তিন ব্যান্ডের রেডিওর নব ঘোরাতে ঘোরাতে আব্দুল মান্নান বলেন, আগে বেতার বাংলাদেশে ভালো ভালো অনুষ্ঠান হতো। অনুরোধের আসর, ঘণ্টায় ঘণ্টায় খবর হতো। এখন গতানুগতিক কিছু অনুষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেডিও। এর পরও আমি নিয়মিত রেডিও শুনি। বিছানায় গেলে বালিশের পাশে রেডিও না থাকলে ঘুম হয় না আমার।
গবেষক ও কলাম লেখক মোশাররফ হোসেন মুসা বলেন, বেতার এখনও শক্তিশালী হাতিয়ার। জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ সম্পাদন ও দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় বেতারের ভূমিকা অনন্য।