ইলন মাস্কের রোবোট্যাক্সি বাজারে আসবে কবে
Published: 12th, February 2025 GMT
গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়ার্নার ব্রাদার্স স্টুডিওতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রোবোট্যাক্সির আদিরূপ বা প্রোটোটাইপ উন্মোচন করেন মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও মালিক ইলন মাস্ক। অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছিলেন, ২০২৬ সালের প্রথম দিকে রোবোট্যাক্সির উৎপাদন শুরু হবে। তবে হঠাৎ করেই ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, জুন মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের অস্টিনে রোবোট্যাক্সি চালু করতে যাচ্ছে টেসলা।
টেসলা দীর্ঘদিন ধরে ‘অটোপাইলট’ ও ‘ফুল সেলফ-ড্রাইভিং’ (এফএসডি) প্রযুক্তি নিয়ে বিতর্কের মুখে রয়েছে। ইলন মাস্কের সম্পূর্ণ চালকবিহীন এই ট্যাক্সির নিরাপত্তাববস্থা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মনে। টেক্সাসের আইনে নিবন্ধিত ও বিমাকৃত চালকবিহীন গাড়ি সাধারণ গাড়ির মতোই রাস্তায় চলাচল করতে পারে; অর্থাৎ চালকবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামানোর আগে বাড়তি অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আর তাই নিজেদের তৈরি রোবোট্যাক্সি বাজারে আনার জন্য টেক্সাসকেই বেছে নিয়েছেন ইলন মাস্ক।
আইনবিশেষজ্ঞ ব্রায়ান্ট ওয়াকার স্মিথ মনে করেন, টেসলা একবারেই বড় পরিসরে এ প্রযুক্তি চালু করতে পারবে না। তিনি বলেন, ‘সম্ভবত তারা সীমিত অঞ্চলে, ভালো আবহাওয়ায় পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করবে, কিংবা দূর থেকে মানব পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা রাখবে।’
দুই দরজাবিশিষ্ট রোবোট্যাক্সিতে নেই কোনো স্টিয়ারিং হুইল। প্যাডেলও নেই। স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে সক্ষম রোবোট্যাক্সি ট্যাক্সি হিসেবে ভাড়া করা যাবে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মধ্যে রোবোট্যাক্সি বাজারে আনার পরিকল্পনা থাকলেও নানা কারণে তা আনতে পারেনি টেসলা।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক
এছাড়াও পড়ুন:
এই সিয়ামকে আগে দেখিনি, গল্পটিও পরিবারিক, জংলি দেখে মন্তব্য করলেন কাজী হায়াত
আসন্ন ঈদে মুক্তি পাচ্ছে এম রাহিম পরিচালিত ছবি ‘জংলি’। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিটিতে মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ। ছবিটিগত ঈদের সিনেমা হিসেবে সবার আগে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে ছাড়পত্রের জন্য জমা পড়ে এবং প্রদর্শিত হয়। সার্টিফিকেশন বোর্ড সদস্যরা সিনেমাটি দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সবাই জানিয়েছেন জংলি দেশীয় গল্পে দারুণ নির্মাণ দেখিয়েছেন এম রাহিম।
জংলি দেখার পর সার্টিফিকেশন বোর্ডের অন্যতম সদস্য বরেণ্য নির্মাতা কাজী হায়াতের ভাষ্য, ‘ঈদের সিনেমা হিসেবে প্রথম দেখেছি এম রহিম পরিচালিত ও সিয়াম আহমেদ অভিনীত ‘জংলি’। এরপর দেখি দাগি। জংলির গল্পের লাইনআপটা দুর্দান্ত লেগেছে আমার কাছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এই সিনেমায় ভিন্ন এক সিয়ামকে আমরা দেখলাম। এমন সিয়ামকে আমরা আগে দেখিনি। আরও যারা অভিনয় করেছেন তারাও ভালো করেছেন। গল্পটি পরিবার নিয়ে দেখার মত ছবি।’
সিনেমার গল্পের পাশাপাশি তরুণ নির্মাতা এম রাহিমেরও দারুণ প্রশংসা করলেন তিনি। কাজী হায়াত বললেন, ‘নতুন পরিচালক হিসেবে এম রহিম যেটা করেছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। তিনি সব অভিনয়শিল্পীদের থেকে অভিনয়টা আদায় করে নিয়েছেন। ফলে ঈদে দারুণ একটা সিনেমা তিনি নিয়ে আসতে পারছেন।’
জংলি দেখার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগ করা হয় আরেক সার্টিফিকেশন বোর্ড সদস্য অভিনেত্রী কাজী নওশাবার সঙ্গে তিনি বলেন, জংলি তো পুরোপুরি আমাদের দেশি গল্প। ভায়োলেন্সের চেয়ে এই ছবির বড় দিক হচ্ছে বাচ্চা একটা মেয়েকে নিয়ে দারুণ গল্প বুনেছেন নির্মাতা। সিয়াম ডেফিনেটলি ভালো অভিনয় করেছেন, তার চরিত্রটাও দারুণ। চরিত্রটির দারুণ পরিশ্রম করেছে সে। পাশাপাশি বাচ্চা মেয়েটার অভিনয় ও তাকে সাবজেক্ট করে গল্পটা এভাবে এগিয়ে নেওয়াটা দারুণ লেগেছে আমার কাছে। এক কথায় বলতে গেলে জংলি একটি আমাদের পাশেই ঘটে যাওয়া গল্পের ছবি। পরিবার নিয়ে এই ছবি সবার দেখা উচিত।
এদিকে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের উপ-পরিচালক মঈনউদ্দিন জানিয়েছেন, জংলি সিনেমা প্রথম সেন্সরে আসে। এরপর আসে দাগি। দুটোই আমাদের বোর্ডের সদস্যরা দেখেছেন। এরমধ্যে একটি ছবি ইতিমধ্যে প্রক্রিয়াকরণের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, আরেকটি দু-একদিনের মধ্যে দেওয়া হবে। শিগগিরই ছবি দুটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
সিয়াম ডেফিনেটলি ভালো অভিনয় করেছেন, তার চরিত্রটাও দারুণ। চরিত্রটির দারুণ পরিশ্রম করেছে সে। পাশাপাশি বাচ্চা মেয়েটার অভিনয় ও তাকে সাবজেক্ট করে গল্পটা এভাবে এগিয়ে নেওয়াটা দারুণ লেগেছে আমার কাছে।