গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়ার্নার ব্রাদার্স স্টুডিওতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রোবোট্যাক্সির আদিরূপ বা প্রোটোটাইপ উন্মোচন করেন মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও মালিক ইলন মাস্ক। অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছিলেন, ২০২৬ সালের প্রথম দিকে রোবোট্যাক্সির উৎপাদন শুরু হবে। তবে হঠাৎ করেই ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, জুন মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের অস্টিনে রোবোট্যাক্সি চালু করতে যাচ্ছে টেসলা।

টেসলা দীর্ঘদিন ধরে ‘অটোপাইলট’ ও ‘ফুল সেলফ-ড্রাইভিং’ (এফএসডি) প্রযুক্তি নিয়ে বিতর্কের মুখে রয়েছে। ইলন মাস্কের সম্পূর্ণ চালকবিহীন এই ট্যাক্সির নিরাপত্তাববস্থা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মনে। টেক্সাসের আইনে নিবন্ধিত ও বিমাকৃত চালকবিহীন গাড়ি সাধারণ গাড়ির মতোই রাস্তায় চলাচল করতে পারে; অর্থাৎ চালকবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামানোর আগে বাড়তি অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আর তাই নিজেদের তৈরি রোবোট্যাক্সি বাজারে আনার জন্য টেক্সাসকেই বেছে নিয়েছেন ইলন মাস্ক।

আইনবিশেষজ্ঞ ব্রায়ান্ট ওয়াকার স্মিথ মনে করেন, টেসলা একবারেই বড় পরিসরে এ প্রযুক্তি চালু করতে পারবে না। তিনি বলেন, ‘সম্ভবত তারা সীমিত অঞ্চলে, ভালো আবহাওয়ায় পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করবে, কিংবা দূর থেকে মানব পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা রাখবে।’

দুই দরজাবিশিষ্ট রোবোট্যাক্সিতে নেই কোনো স্টিয়ারিং হুইল। প্যাডেলও নেই। স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে সক্ষম রোবোট্যাক্সি ট্যাক্সি হিসেবে ভাড়া করা যাবে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মধ্যে রোবোট্যাক্সি বাজারে আনার পরিকল্পনা থাকলেও নানা কারণে তা আনতে পারেনি টেসলা।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয়করণ দাবিতে এমপিও শিক্ষকদের লাগাতার অবস্থান

এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সরকারি করার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তারা সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, মেডিকেল ভাতা ও উৎসব ভাতা চাচ্ছেন।

বুধবার থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট ঘোষিত এই কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত শিক্ষক অবস্থান নিয়েছেন।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেওয়ার সুস্পষ্ট ঘোষণা ছাড়া প্রেস ক্লাব ছেড়ে যাবেন না এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তিনি সরকারকে দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারীকে প্রেস ক্লাবের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জোটের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রকৌশলী আবুল বাশার, শাহ আলম, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. আবদুল হাই সিদ্দিকী, মো. রবিউল ইসলাম, মো. তোফায়েল সরকার, অধ্যক্ষ আলাউদ্দীন, জাহাঙ্গীর হোসেন, অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, অধ্যক্ষ আবু সায়েম মোল্লা, উপাধ্যক্ষ নুরুল আলম খান, অধ্যক্ষ রুহুল আমিন, মনিরুল ইসলাম, আবদুল হালিম, আফরোজা শ্রাবণ প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ