সোনারগাঁয়ে মহাসড়কের পাশে ৫ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
Published: 12th, February 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে থাকা প্রায় ৫ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন ও হাইওয়ে পুলিশ।
বুধবার উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঞ্জুরুল মোর্শেদ।
অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনার মধ্যে ছিল ফলের দোকান, মিষ্টির দোকান, কাপড়ের দোকান, চায়ের দোকান, জুতার দোকান, কনফেকশনারি দোকান।
কাচঁপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে সড়ক ও জনপদের জমি দখল করে প্রভাবশালী শ্রেণির লোকজন দোকান নির্মাণ করে অবৈধভাবে ভাড়া তুলে আসছিল। ফলে সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন হয়।
এতে মহাসড়ক সংকোচিত হয়ে যানজটে পরিণত হয়। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য অবৈধভাবে গড়ে উঠা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
বসন্তের প্রকৃতিতে রক্তকাঞ্চনের সাজ
বসন্তের প্রকৃতি সেজেছে পলাশ, শিমুলসহ নানা ফুলের রঙে। এর সাথে রং লেগেছে রক্তকাঞ্চনেও। মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাশে রাজনগর উপজেলার নন্দীউড়া গ্রামের হীরা সেনের বাড়িতে শোভাবর্ধণের জন্য পথের ধার ঘেঁষে রোপণ করেন রক্তকাঞ্চনের গাছ। চলতি বসন্তে রঙিন হয়ে ফুটেছে কাঞ্চন। নজর কাড়া সেই ফুল দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন প্রকৃতি প্রেমীরা।
রক্তকাঞ্চনের বৈজ্ঞানিক নাম Bauhinia variegate. Gi cwievi Fabaceae ইংরেজী নাম Camelos foot Tree. এটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় বৃক্ষ। গাছ ১০ থেকে ১২ ফুট লম্বা হয়। মূল কাণ্ডের সাথে একাধিক কাণ্ড দেখা যায়। পাতাগুলো দেবকাঞ্চনের চেয়ে আকারে ছোট, গড়ন গোলাকার, আগার দিকে বিভক্ত। বীজ ও কলমে চাষ হয়।
এর আদি আবাস ভারতীয় উপমহাদেশে। বাড়িতে এ বৃক্ষ শোভাবর্ধনকারী হিসেবে সমাদৃত। তবে পার্ক ও সড়কের দুধারেও লাগানো হয় ওই গাছ। ফুল ফুটলে এ কাঞ্চনের রূপে বিমোহিত হয় মানুষ। বসন্তে প্রায় নিষ্পত্র গাছ গোলাপি-বেগুনি রঙের ফুলে ছেয়ে থাকে। তার পাঁচটি পাপড়ির মধ্যে একটি বড় ও গাঢ় রঙের, তাতে রয়েছে কারুকার্যতা এর ফল শিমের মতো।
রক্তকাঞ্চনের একটি সাদা ফুলের জাতও আছে, ভারি সুন্দর। এলাকায় গেলে দেখা হয় পথচারী কামরান আহমদের সাথে তিনি বলেন, “বসন্তে নানা ফুলে প্রকৃতি সাজে। এর মধ্যে রক্তকাঞ্চন ফুলটা আলাদা ধরনের, দেখতে মনোহরী।”
এসময় কথা হয় এলাকার জুয়েল মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, “হরেক রকম ফুল প্রকৃতিতে দেখা যায়। কিছু কিছু ফুল মানুষের মন ভরে দেয়। নন্দীউড়া গ্রামের হীরা সেনের বাড়ির প্রবেশ পথ দিয়ে যেতে যেতে পাশে চোখ পড়লে মনে হবে অতিথিকে অর্ভ্যথনা জানাতে রক্তকাঞ্চনের দু’টি গাছ দাঁড়িয়ে আছে।”
হীরাসেন বলেন, “বাড়ির শোভাবর্ধনের জন্য দু’টি গাছ কয়েক বছর আগে রোপন করি। এবার রক্তকাঞ্চনের ফুল ফুটেছে। এছাড়াও আমার বাড়িতে আরো অনেক জাতের ফুল গাছ রয়েছে। বিভিন্ন পূজা-পার্বণে বিভিন্ন ধরনের ফুল প্রয়োজন হয়, তাই অনেক জাতের ফুল গাছ লাগাই। রক্তকাঞ্চন অনেকটা বিলুপ্তির পথে। আগের মত এর দেখা মেলে না।”
ঢাকা/আজিজ/এস