রাজশাহীতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা জামায়াতকে সমর্থন করিনি। বিএনপির উদারতার কারণে তারা বাংলাদেশে প্রথম রাজনীতি করার সুযোগ পায়। কিন্তু সব সময় এই দলটি মুনাফেকি করেছে। মুনাফেকি ছাড়া তারা কিছুই করেনি। 

বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাগমারা উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ মণ্ডলের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।

যে দল ছাত্র জনতার ওপর গুলি বর্ষণ করেছে, হত্যা করেছে নির্বিচারে, জামায়াত বলে বসল, তারা আওয়ামী লীগকে মাফ করে দেবে। আবু সাঈদ, মুগ্ধর রক্তকে কিভাবে মাফ করবেন? প্রশ্ন রাখেন তিনি। 

এছাড়াও দলটিকে উদ্দেশ্য করে রিজভি বলেন, শেখ হাসিনা পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে কথা বলছে, উস্কানি ছড়াচ্ছে। সেই ভারত আপনাদের কাছে প্রিয় হয়ে গেলে এটা খুবই দুঃখজনক।

এসময় কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। 

স্মরণ সভায় বিএনপি নেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ জ ম য় ত ইসল ম ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সভায় হট্টগোল

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে যশোরে মতবিনিময় সভায় হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।

নেতা-কর্মীরা জানান, সাংগঠনিক কমিটি গঠন ও কার্যক্রম গতিশীল করতে কেন্দ্রীয় নেতারা যশোরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক জুবায়ের হোসেন ও আবদুস শহীদ নাসিম, সংগঠক সুলতানা খাতুন জান্নাত এবং সদস্য শাহরিয়ার কবির। সভা চলাকালে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সাময়িকভাবে স্থগিত হওয়া সদস্যসচিব জেসিনা মুর্শিদ। তাঁকে উদ্দেশ করে স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। জেসিনা মুর্শিদ অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ না করলে বিক্ষুব্ধ অংশগ্রহণকারীরা সভা বর্জনের হুমকি দেন। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে জেসিনা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

বিষয়টি জানতে চাইলে জেসিনা মুর্শিদ বলেন, ‘অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হওয়ার জন্য কেন্দ্র থেকেও বলা হয়েছিল। কিন্তু অনুষ্ঠানস্থলে গেলে কয়েকজন নেতা-কর্মী আমাকে চলে যাওয়ার শর্ত দেন। তখন আমি আমার সহযোগীদের নিয়ে বেরিয়ে আসি। পরে রাতে কেন্দ্রীয় নেতারা আমার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন।’

জেসিনা মুর্শিদ চলে যাওয়ার পর সভায় ছাত্রসংসদের কমিটি গঠন ও কার্যক্রম নিয়ে নানা পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় নেতারা। বক্তারা বলেন, সংগঠন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকবে। কোনো অপকর্মের স্থান এখানে হবে না। দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তাঁরা।

বক্তারা আরও বলেন, দেশে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আর কোনো জায়গা হবে না এবং কোনো রাজনৈতিক দলকে স্বৈরাচার হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে ছাত্রসমাজকে রাজপথে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকারও আহ্বান জানান তাঁরা।

প্রসঙ্গত, উপজেলা কমিটি গঠনসংক্রান্ত সাংগঠনিক নীতিবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ৪ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জেসিনা মুর্শিদের পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ