বিশ্ব ভালোবাসা দিবস  ১৪ ফেব্রুয়ারি আরমাত্র ২ দিন বাকি। আর এই ভালোবাসা দিবসকে স্মরনীয় করে রাখতে নারায়নগঞ্জজেলার বন্দর উপজেলার ফুলের গ্রাম হিসেবে খ্যাত সাবদীসহ এর আশেপাশের গ্রাম গুলো সেঁজেছে প্রকৃতির বর্ণিল সাঁজে। বিকেল হলে ফুলের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে ফুল প্রেমিরা ছুটে আসে সাবদী এলাকায় ।

এ ব্যাপারে ফুলপ্রেমি সুমনা রহমান বৃষ্টি জানায়, ফুলকে ভালো বাসেনা এমন লোক পৃথিবীতে কম  আছে। ফুল হলো ভালোবাসার প্রতিক,ফুল হলো আস্থার প্রতিক ও ফুল হলো বন্ধুত্বের প্রতিক।ফুলকে ভালোবাসি বলে ফুলের অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য সব কিছু ফেলে রেখে ফুলের গ্রাম হিসেবে খ্যাত সাবদী গ্রামে ছুটে আসি।

এ ব্যাপারে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার জামান প্রধান জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারী মহান ভাষা দিবসকে সামনে রেখে ফুল চাষিরা রাত দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছ তাদরে কাঙ্খিত লক্ষ্যস্থান পুরনের জন্য।

তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে দেরি করে ফুলের চারা রোপন করা হয়েছে। এবার ফুল  চাষীরা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও মহান ভাষা দিবসে প্রায় ১০ লাখ টাকা ফুল বিক্রি র্টাগেট করে মাঠে নেমেছে।

বিভিন্ন তথ্য সূত্রে ও স্থানীয় এলাকাবাসী সাথে কথা বলে জানাগেছে, বন্দর উপজেলার সাবদী, হাজরাদী চাঁনপুর, মাধবপাশাসহ বিভিন্ন এলকার ফুল চাষীরা ফুল চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে।

এখানে প্রচুর পরিমান ফুল চাষের কারনে বন্দর উপজেলার সাবদী ও হাজরাদী চাঁনপুর গ্রামের পাশাপাশি এখন মাধবপাশা এলাকা ফুলের গ্রাম হিসেবে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে ব্যাপক পরিচিত লাভ করেছে। কেননা ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে বিশাল ফুলের বাজারে ব্যাপক চাহিদা মেটাচ্ছে বন্দরে সাবদী ও মাধবপাশা এলাকার ফুল চাষীরা। 

তিনি আরো জানান, গত ৮ বছর ধরে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের মাধবপাশা এলাকায় দেড় বিঘা জমি নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল চাষ করে আসছি। এর মধ্যে জার বরা ফুল, গেন্ধা ফুল, চায়না ফুল, সূর্যমুখী অন্যতম। বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের মধ্যে জার বরা ফুলের  চাষ করে আমি এর সফলতা পেয়েছি। এই ফুলের চাহিদা ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে অনেক বেশী। 

ফুলবাগানের জন্য টাকা খরচ করেছি এই থেকে আমি অনেক উন্নতি করেছি। সরকারি ভাবে  একটু সহযোগিতা পেলে আমি আরো বেশী সফলতা লাভ করতে পারব বলে আশা প্রকাশ করছি। জারবরা ফুল চাষ করতে অনেক পরিশ্রম করার পাশাপাশি এখানে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। 

টাকার অভাবে এখানকার অনেক ফুলচাষীরা এ ফুলের চাষ করতে পারে না।  আমি আমার প্রতিবেশী ও এলাকাবাসীদের আহবান জানাচ্ছি অপনারা এভাবে বসে না থেকে ফল চাষে আগ্রহী হন। ইচ্ছে, শক্তি ও মনোবল ঠিক থাকলে আপনারাও আমার মত ফুল চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন।

এ ব্যাপারে সেনপাড়া এলাকার সমাজ সেবক মাসুদ মিয়া জানান, বিকেল হলেই ফুল বাগান দেখার জন্য জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে  প্রচুর ফুল প্রেমিদের আগমন ঘটে এখানে। ফুল প্রেমিদের আগমন ও ফুল বাগানের সৌন্দর্য তখন একাকার হয়ে যায়।

কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান,  ফুল চাষ করে ইতিমধ্যে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে উল্লেখিত এলাকার ফুল চাষীরা । এখানকার মাটির উর্বরতা হওয়ার কাররেন এখানে প্রচুর পরিমান ফুল চাষ করা হয়। 

ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে ফুল বাজারের পাইকাররা এখন মাধবপাশা, সাবদী ও হাজরাদী চাঁনপুর এলাকায় ফুল নেওয়ার জন্য ভীড় জমাতে দেখা যাচ্ছে। সরকারি সহযোগিতা পেলে এখানকার সাধারন মানুষ ফুল চাষে ব্যাপক ভাবে আগ্রহী হবে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ও ন র য়নগঞ জ ফ ল চ ষ কর ম ধবপ শ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

অন্তর্বর্তী সরকার ভুল সময়ে ভুল নীতি নিচ্ছে: মুস্তফা কে মুজেরি

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ভুল সময়ে ভুল নীতি নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরি।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাস পূর্ণ হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার মনে হয়, এ সময়ে অর্থনীতিতে সফলতা নেই বললেই চলে। আমাদের মৌলিক সমস্যা যেমন উচ্চ মূল্যস্ফীতি অথবা প্রবৃদ্ধির ধীরগতির কারণে অর্থনীতি অনেকটাই স্থবির হয়ে গেছে। অন্যান্য যেসব সমস্যা আছে সেখানেও খুব একটা সফলতা নেই। ফলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।’

মুস্তফা কে মুজেরি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নেওয়া অর্থনৈতিক নীতিগুলোর একটা সাধারণ ধরন রয়েছে। সেটা হচ্ছে, ভুল সময়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া। জানি না, সেটি কেন হচ্ছে। তার একটা বড় উদাহরণ, অর্থবছরের মাঝপথে ভ্যাটের হার বাড়ানো। এটা একটা ভুল সিদ্ধান্ত, ভুল সময়ে নেওয়া হয়েছে। তার পরিণতি আগামী দিনগুলোতে ভালো হবে তা কিন্তু নয়।’

‘ভোক্তার কাঁধে বাড়তি করের বোঝা: উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এ কথাগুলো বলেন অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরি। নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ ২৪ ডটকমের আয়োজনে এই গোলটেবিল বৈঠক আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানের এমসিসিআই সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরি বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে মুদ্রানীতি এককভাবে কোনো ফলাফল আনতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সুদহার ১০ শতাংশে উঠিয়ে রেখেছে। এটি মূল্যস্ফীতিতে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে না। মূল্যস্ফীতি তার নিজের গতিতে চলছে। এতে বরং দেশের কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে। ব্যাংকঋণের সুদের হার বেড়ে গেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। এটি ক্ষতির পরিমাণ বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

বিআইডিএসের সাবেক এই মহাপরিচালক বলেন, অর্থনীতিতে যেসব নীতি নেওয়া হচ্ছে সেগুলো একটির সঙ্গে আরেকটির সম্পৃক্ততা নেই। খুব চিন্তাভাবনা করে নেওয়া হচ্ছে না। হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। যেমন ভ্যাটের হার বৃদ্ধি। এটা একটা হঠাৎ সিদ্ধান্ত। এটা করার পেছনে আইএমএফের রাজস্ব বাড়ানোর ঋণের শর্ত ছিল। রাজস্ব বাড়ানোর সহজ উপায় কী? আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয়ের যাঁরা আছেন, তাঁরা মনে করেছেন, সবচেয়ে সহজ উপায় ভ্যাট বাড়িয়ে দিই। তাহলেই ১২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব বাড়বে। তিনি আরও বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে, সেই আশির দশক থেকে আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংক যেসব প্রেসক্রিপশন দিয়েছে সেগুলো কোনো কাজ করেনি। সবগুলো ব্যর্থ হয়েছে। এবারও ব্যর্থ হতে যাচ্ছে।

গোলটেবিল আলোচনায় কথা বলছেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অন্তর্বর্তী সরকার ভুল সময়ে ভুল নীতি নিচ্ছে: মুস্তফা কে মুজেরি
  • ‘রাষ্ট্র মেরামতে এখনো সফলতা দেখাতে পারেনি অন্তর্বর্তী সরকার’