বন্দরে ছিনতাইকারী সন্দেহে আজমীর আটক
Published: 12th, February 2025 GMT
বন্দরে ছিনতাইকারী সন্দেহে আজমীর (১৮) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে স্থানীয় জনতা।
আটককৃত ছিনতাইকারী আজমীর বন্দর উপজেলার কাজীবাড়ী এলাকার আসলাম মিয়ার ছেলে। আটককৃতকে আজমীরকে বুধবার দুপুরে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এর আগে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪টায় বন্দর থানার নবীগঞ্জ বাগবাড়ি এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে জনতা।
এলাকাবাসী তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দরে বিভিন্ন স্থানে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা আশংকা জনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বুধবার ভোরে নবীগঞ্জ বাগবাড়ি এলাকা থেকে ছিনতাইকারী সন্দেহে আজমীর নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আজম র
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী খলিলের মুক্তির দাবিতে নিউইয়র্কের আদালতের বাইরে শত শত মানুষের বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলকে বিতাড়িত করার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার এই মেয়াদ বাড়ান যুক্তরাষ্ট্রের এক বিচারক। এদিন শুনানি চলাকালে নিউইয়র্কের আদালতের বাইরে শত শত মানুষ খলিলের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
গত বছর কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন খলিল। গত রোববার তাঁকে গ্রেপ্তার করেন মার্কিন অভিবাসন কর্মকর্তারা।
খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করার বিরুদ্ধে গত সোমবার সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেন ডিস্ট্রিক্ট জজ জেসি ফারম্যান। তিনি গতকাল শুনানির পর একটি লিখিত আদেশে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ান।
খলিলকে গ্রেপ্তার করাটা অসাংবিধানিক কি না, তা বিবেচনা করার জন্য আরও সময় নেওয়ার লক্ষ্যে বিচারক এমন আদেশ দিয়েছেন।
গতকাল নিউইয়র্ক শহরের আদালতকক্ষে শুনানি চলার সময় বাইরে খলিলের মুক্তির দাবিতে শত শত মানুষ বিক্ষোভ করেন। তাঁরা মুহুর্মুহু স্লোগান দেন, ‘মাহমুদ খলিলকে এখনই মুক্তি দিন।’
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের একটি নথি দেখেছে রয়টার্স। নথিটির বরাতে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, ২৯ বছর বয়সী খলিলকে একটি আইনি বিধানের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত অভিবাসীদের কারও উপস্থিতিকে যদি মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হচ্ছে না বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে, তাহলে তাঁকে বিতাড়িত করার কথা এই বিধানে বলা আছে।
গতকাল আদালতে খলিলের আইনজীবী রামজি কাসেম বলেন, ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার হওয়ায় তাঁর মক্কেলকে শনাক্ত করে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
খলিলকে গ্রেপ্তারের পর প্রথমে নিউ জার্সিতে আটক রাখা হয়। পরে তাঁকে লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের একটি অভিবাসী আটককেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালতের সবশেষ আদেশের ফলে খলিল সম্ভবত আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত লুইজিয়ানার আটককেন্দ্রেই আটকাবস্থায় থাকবেন। তাঁর আইনজীবীরা চান, তাঁকে নিউইয়র্কে ফিরিয়ে আনা হোক। তাঁকে আটকাবস্থা থেকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হোক।
ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত খলিলের স্ত্রী একজন মার্কিন নাগরিক। খলিল ২০২২ সালে শিক্ষার্থী ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যান। তিনি গত বছর স্থায়ী বাসিন্দা হন।
গতকাল আদালতের সংক্ষিপ্ত শুনানিতে আইনজীবী কাসেম বলেন, লুইজিয়ানার আটককেন্দ্র থেকে তাঁর মক্কেল আইনজীবী দলের সঙ্গে ফোনে মাত্র একবার কথা বলতে পেরেছেন। কিন্তু কথা শেষ হওয়ার আগেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফোনের কথোপকথন সরকারি কর্তৃপক্ষ রেকর্ড করেছে, নজরদারি চালিয়েছে।
খলিলকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট। সংস্থাটি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশে তারা খলিলের গ্রিন কার্ড বাতিল করার পরিকল্পনা করেছে।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারী ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার১০ মার্চ ২০২৫