অপ্রাপ্তবয়স্ককে যৌন হয়রানির ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে রিয়াল ডিফেন্ডারের বিরুদ্ধে তদন্ত
Published: 12th, February 2025 GMT
অপ্রাপ্তবয়স্ক এক মেয়ের যৌন হয়রানির ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের স্প্যানিশ ডিফেন্ডার রাউল আসেনসিওর বিরুদ্ধে। ২১ বছর বয়সী ডিফেন্ডার তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধের জন্য আপিল করেছিলেন। স্পেনের আদালত এ আপিল নাকচ করে আসেনসিওর বিরুদ্ধে তদন্ত জারি রেখেছেন।
চ্যাম্পিয়নস লিগে কাল রাতে প্লে-অফ প্রথম লেগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে রিয়ালের ৩-২ গোলে জয়ের ম্যাচে মাঠে ছিলেন আসেনসিও।
রিয়ালের মূল দলের হয়ে ২২ ম্যাচ খেলা এই সেন্টারব্যাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২৩ সালের জুনে মাদ্রিদের ক্লাবটির বয়সভিত্তিক দলের দুই সাবেক খেলোয়াড় এক নারী ও এক অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন, যার ভিডিও রেকর্ড করা হয় এবং আসেনসিও তা শেয়ার করেছেন। ঘটনাস্থলে তৃতীয় এক সাবেক খেলোয়াড়ও উপস্থিত ছিলেন।
স্পেনের গ্রান কানারিয়া আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন আসেনসিওর আইনজীবী। কিন্তু আদালত মনে করছেন, আসেনসিও ভিডিওটি শেয়ার করেছিলেন কি না, সে বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যাওয়া উচিত।
গতকাল ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের উচ্চ আদালতের প্রেস অফিস বিবৃতিতে জানিয়েছে, আসেনসিওর আইনজীবী দলের আপিল খারিজ করে আদালত তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এ মামলায় চার খেলোয়াড়কে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মুঠোফোনও জব্দ করা হয়।
রিয়ালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হোয়াটসঅ্যাপে ব্যক্তিগত ভিডিও ছড়ানোর বিষয়ে তারা প্রমাণ দাখিল করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে ১৬ বছর বয়সী এক মেয়ের মা যৌন সম্পর্কের ভিডিও ধারণের বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। ভিডিও ধারণে তার সম্মতি ছিল না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে
অস্ত্র মামলায় ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝালকাঠি জেলার সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন ওরফে সৈয়দ মিলনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। বিষয়টি নিশ্চিত করছেন ঝালকাঠির পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মাহেব হোসেন।
এর আগে, আজ ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন হাদিসুর রহমান। বিচারক আবেদনটি নাকচ করেন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় আ.লীগ-ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী আটক
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ হাদিসুর রহমানকে প্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। গত ১৮ মার্চ ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-০১) বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম স্বাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। রায় ঘোষণার সময় হাদিসুর রহমান পলাতক ছিলেন।
সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন ওরফে সৈয়দ মিলন পূর্ব চাঁদকাঠি ইউসুফ আলী খান সড়কের সৈয়দ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত দেড়টায় ঝালকাঠি শহরের ডাক্তার পট্টি এলাকায় হাদিসুর রহমানের মালিকানাধীন সৈয়দ টাওয়ারের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। সেখানে রান্না ঘরের তাক থেকে একটি দেশি তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ হাদিসুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৬ জানুয়ারি ঝালকাঠি সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন অস্ত্র আইনে হাদিসুর রহমানকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ঝালকাঠি থানার ওসি খলিলুর রহমান একই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ৮ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে রায় দেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌশলী পিপি মাহেব হোসেন। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মল্লিক নাসির উদ্দীন কবীর।
ঝালকাঠির পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহেব হোসেন বলেন, “আদালত সুনির্দিষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিকে সাজাপ্রদান করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছেন। আজ হাদিসুর রহমান আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান। বিচারক আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।”
আসামি পক্ষের আইনজীবী মল্লিক নাসির উদ্দীন কবীর বলেন, “আসামির অনুপস্থিতিতে মামলার রায় দেওয়া হয়েছে। আমরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।”
ঢাকা/অলোক/মাসুদ