স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আলোচনার সিদ্ধান্ত হওয়ায় সচিবালয়ের সামনের সড়ক ছেড়েছেন সাবেক বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবার। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সড়ক ছেড়ে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উদ্দেশে হাঁটা ধরেন।

এর আগে ছাত্র প্রতিনিধি মাহিন সরকার সাবেক বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তিনি বিডিআর কল্যাণ পরিষদের প্রতি সহানুভূতিশীল। সংশ্লিষ্ট কমিশনের কাছে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তের জন্য বিডিআর কল্যাণ পরিষদের দাবিগুলো পাঠানো হবে। যদি কমিশনের এখতিয়ার বহির্ভূত হয় সে ক্ষেত্রে নতুন করে কমিটি করে হলেও ইতিবাচক সিদ্ধান্তে আসবেন তারা।’’
 
মাহিন সরকার আরো বলেন, ‘‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়করাও বিডিআর কল্যাণ পরিষদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছেন। তাই জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সচিবালয়ের সামনের সড়ক ছেড়ে সবাইকে শহীদ মিনারে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’’
 
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচি বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত চলমান রাখেন তৎকালীন বিডিআর ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। পরে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের সামনে আগানোর চেষ্টা করেন তারা। এ সময় জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ।
 
এক পর্যায়ে কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে সামনের দিকে এগোতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। সচিবালয়ের সামনে এলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তারা। পরে রাস্তায় বসে পড়েন জাস্টিস ফর বিডিআর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা। প্রতীকী কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় শুয়ে পড়েন অনেকে।
 
সাবেক বিডিআর সদস্য এবং তাদের স্বজনরা জানান, তৎকালীন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল, ক্ষতিপূরণ এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা, জেলবন্দি নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার নিশ্চিত করাসহ আট দফা দাবি তাদের।

ঢাকা/সুকান্ত/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব ক ব ড আর সদস য উপদ ষ ট র র স মন

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পুতিনের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: ট্রাম্প

ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ‘ভালো ও ফলপ্রসূ’ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এই আলোচনার প্রশংসা করেছেন। 

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মস্কোতে পুতিন ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর ট্রাম্প এ কথা বলেছেন। ওই বৈঠকের পর ক্রেমলিন জানিয়েছে, শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য উভয় পক্ষই ‘সতর্ক আশাবাদ’ ব্যক্ত করেছে।

ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে এক পোস্টে লিখেছেন, এই আলোচনা ‘অবশেষে ভয়াবহ ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটানোর খুব ভালো সুযোগ’ এনে দিয়েছে। 

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন যে, পুতিন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আলোচনা বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে ‘ছলচাতুরী’ করতে দেওয়া যাবে না।

এই সপ্তাহের শুরুতে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়ার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। তবে রাশিয়া এতে এখনো রাজি হয়নি।

গত বৃহস্পতিবার পুতিন বলেছিলেন, যুদ্ধবিরতির ধারণা ‘সঠিক এবং আমরা এটি সমর্থন করি। তবে এর ছোটখাটো কিছু জটিলতা আছে।’ তিনি শান্তির জন্য বেশ কয়েকটি কঠিন শর্তারোপ করেছেন। জেলেনস্কি তাঁর এই প্রতিক্রিয়াকে ‘ছলনা’ বলে অভিহিত করেছেন। 

ইউক্রেনের এই নেতা শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একাধিক পোস্টে পুতিনের সমালোচনা অব্যাহত রেখে লিখেছেন: ‘পুতিন এই যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন না। কারণ, এতে তিনি সব হারাবেন। এ জন্যই তিনি এখন যুদ্ধবিরতির আগে থেকেই অত্যন্ত কঠিন এবং অগ্রহণযোগ্য শর্ত দিয়ে কূটনীতিকে ধ্বংস করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন।’

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এর মধ্য দিয়ে স্নায়ুযুদ্ধের পর থেকে পশ্চিমাদের সঙ্গে মস্কোর সবচেয়ে বৃহৎ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে অগ্রসর হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধ চান তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ