যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান অপারেশন ডেভিল হান্টে নতুন করে আরও ৫৯১ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ নিয়ে গত শনিবার রাত থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত বিশেষ এই অভিযানে ২ হাজার ৮৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) যৌথ বাহিনী দেশজুড়ে অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু করেছে। অভিযান শুরুর চতুর্থ দিন; অর্থাৎ মঙ্গল থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত ৫৯১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি চায়না রাইফেল, ২টি এলজি, ৪টি ওয়ান শুটারগান, ১টি ম্যাগাজিন, ৩টি গুলিসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অপারেশন ডেভিল হান্ট ছাড়াও বিভিন্ন মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে এক সভায় এই বিশেষ অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। অভিযান সম্পর্কে এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.

) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ঘোষণা দিয়েছেন, দেশ ডেভিলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন ডেভিল হান্ট চলবে।

৭ ফেব্রুয়ারি রাতে গাজীপুরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে মারধরের শিকার হন ১৫-১৬ জন শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলছেন, শিক্ষার্থীরা ওই রাতে ডাকাতির খবর পেয়ে তা প্রতিহত করতে সেখানে গিয়েছিলেন। তখন তাঁদের মারধর করা হয়।

আরও পড়ুনযারা শয়তান, তাদেরই ধরা হবে, ছোট–বড় দেখা হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স বর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

মেলায় সাজানো বিশালাকৃতির বাঘাইড়, চলছে বিক্রিও 

চার বছর পর এবার বগুড়ার পোড়াদহ মাছের মেলায় প্রকাশ্যে মহাবিপন্ন প্রজাতির বাঘাইড় মাছ আস্ত এবং কেটে বিক্রি করা হয়েছে।

চারশ’ বছরের পুরনো মেলার মূল আকর্ষণ বাঘাইড় মাছ। তাই পাল্লা দিয়ে প্রতি বছর মাছ ব্যবসায়ীরা মেলায় দুই মণ, আড়াই মণ ওজনের বাঘাইড় মাছ উঠাতেন।  তবে বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন ইউনিট বাঘাইড় মাছকে মহাবিপন্ন ঘোষণা করায় গত তিন বছর এই মাছ এভাবে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এবার মেলায় অন্তত ৫টি দোকানে বাঘাইড় মাছ বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখতে দেখা গেছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই মাছ বিক্রি বন্ধে প্রশাসনকে পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

মেলায় ৬৫টি বাঘাইড় মাছ নিয়ে এসেছেন জমির উদ্দিন। বাঘাইড় ছাড়াও তিনি তার দোকানে উঠিয়েছেন আইড়, বোয়াল, চিতল, কাতল মাছ। তিনি জানান, ২০ বছর ধরে তিনি এই মেলায় মাছ নিয়ে আসেন। তিনি যে মাছগুলো নিয়ে এসেছেন, সবগুলোয় যমুনা নদীর মাছ। সব মিলিয়ে তিনি  পাঁচ লাখ টাকার মাছ মেলায় নিয়ে এসেছেন। তবে এবার মেলায় মাছ কম।

আরো পড়ুন:

মেঘনায় ধরা পড়ল ৮ মণের শাপলাপাতা মাছ

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
হাওর পাড়ের জমিতে কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে

তিনি জানান, ঝুঁকি নিয়ে বাঘাইড় মাছ মেলায় এনেছেন। বিষয়টি তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, তিনি ধারণা করেছিলেন বাঘাইড় মাছ মেলায় বিক্রি করতে দেবেন কিন্তু নিয়ে আসার পর শুনছেন, বিক্রি করতে দেবেন না। তাই আপাতত দুটি মাছ উঠিয়েছেন। ৬৫টি বাঘাইড় মাছের মধ্যে সবচেয়ে বড়টির ওজন ৩০ কেজি। সব চেয়ে ছোটটির ওজন ৫ কেজি। বেশির ভাগ বাঘাইড়ের ওজন ২০ কেজির কাছাকাছি। এই মাছগুলোর আকার ভেদে দাম ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি।

বাঘাইড় মাছ নিয়ে আসা আরেক ব্যবসায়ী লাল মিয়া বলেন, যমুনার জেলেদের কাছ থেকে তিনি তিনটি বাঘাইড় মাছ নিয়ে আসেন। এর মধ্যে একটি ৩৫ কেজি ওজনের। সেটি বিক্রি করে ফেলেছেন। আরও দুটি আছে। দুটিই টাটকা মাছ। একটি তো এখনো জীবিত আছে। এটি ২০ কেজি ওজনের। যেটি বিক্রি করেছেন, সেটি ১৬০০ টাকা কেজি দরে ৫৬ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। বাকি দুটিরও দরদাম চলছে। ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি ধরে ছেড়ে দেবেন।

প্রথা অনুযায়ী মাঘের শেষ বুধবারে ইছামতী নদীর পাড়ে এ মেলা বসে। মেলাটি সন্যাস মেলা, মাছের মেলা নামেও পরিচিত। তবে হাল আমলে এসে মেলাটি জামাই মেলা নামে বেশি পরিচিত। যে কারণে প্রথা অনুযায়ী শ্বশুরবাড়িতে সবচেয়ে বড় মাছ কিনে নিয়ে যেতে জামাইদের নীরব প্রতিযোগিতা চলে। 

মেলায় মহাবিপন্ন বাঘাইড় মাছ বিক্রি এবার শিথিল করা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহমান বলেন, ‘‘আমাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ তো কাজ করছে। আর বিক্রি শিথিল বা কঠিন, এটা আসলে কার এখতিয়ার বা কে করবে এটা আমি জানি না। তবে আমি আইন মোতাবেক কাজ করছি।’’

ঢাকা/এনাম/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ