২২ ঘণ্টা তালাবদ্ধ রাখার পর খুলে দেওয়া হয়েছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়। বুধবার সকাল ১০টায় হাসপাতাল প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে এই তালা খুলে দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। 

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে হাসপাতাল ঘেরাও করে তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয়ে তালা দিয়েছিল বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। 

এসময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ২৫০ শয্যা নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.

জাহিদ নজরুল চৌধুরী, সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আলী আকন্দ, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আবু জার গাফফার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নওগাঁর শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি ও রাফিসহ শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা।

বৈঠক শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নওগাঁর শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলের এমপি-মন্ত্রীরা নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে। পুরো হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার কাঠামো নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের পর সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছিলাম। এরপর নানান অজুহাতে হাসপাতাল প্রশাসন বিষয়টি কালক্ষেপণ করেছেন। এর মধ্যে আবার তারা হীরক জয়ন্তী উদযাপনে ব্যস্ত। তাই জোরালো প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয় তালাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। 

তিনি বলেন, তালাবদ্ধ রাখার ২২ ঘণ্টার মধ্যেই বেশ কিছু সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে হাসপাতাল প্রশাসন। পর্যায়ক্রমে সকল সমস্যা সমাধান করবেন এমনটি আশ্বাস দিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক ও আরএমও। তাদের আশ্বাসে এবং রোগীদের স্বার্থ বিবেচনায় তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয়টি আবারও খুলে দেওয়া হয়েছে। যদি এরপরেও সমস্যাগুলোর সমাধান না হয়, আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নওগ সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষকের মার খেয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীর বিষপান, বাঁচাতে পারলেন না চিকিৎসকেরা

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কৃষিজমিতে কাজ না করায় এক শিক্ষক এক শিক্ষার্থীকে বকাঝকা ও মারধর করেছিলেন। এরপর ক্ষোভে বিষ পান করে ওই শিক্ষার্থী। এক সপ্তাহ পর আজ মঙ্গলবার ভোরে সে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর চাচা থানায় মামলা করলে আজ দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ ফোরকান (১৭)। সে বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের বদিউল আলমের ছেলে। ফোরকান দুই বছর ধরে মাদ্রাসাটির শর্টকোর্স বিভাগে পড়াশোনা করছিল বলে জানা গেছে। আর গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক রফিকুল ইসলাম (৩২) কক্সবাজার জেলায় কুতুবদিয়া উপজেলার বাসিন্দা। আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে মাদ্রাসা আরবিয়া খাইরিয়ার শিক্ষক তিনি।

নিহত ফোরকানের চাচার মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার সময় মাদ্রাসার পাশের একটি জমিতে কৃষিকাজ না করায় মোহাম্মদ ফোরকানকে মারধর ও বকাঝকা করেন শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। পরে ওই ক্ষোভে ফোরকান জমির জন্য আনা কীটনাশক খেয়ে ফেলে। এরপর মাদ্রাসার শিক্ষকেরা তাকে প্রথমে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ার পর শিক্ষার্থীর পরিবার ফোরকানকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করায়। আজ ভোরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাসিনার পাশে না থাকলে ক্রসফায়ারে যেতে হত: নজরুল মজুমদার
  • দোয়া কুনুত: বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, ফজিলত ও পড়ার নিয়ম
  • ছবি তুলতে গেলে চটেন শম্ভু, বলেন ‘ব্যাডা, কোনো কাম নাই’
  • আবারো সেই ঘুরে দাঁড়ানো রিয়ালে ধরা ম্যানসিটি 
  • যেভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এল
  • নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে রিমান্ডে 
  • সড়ক বিভাজকে ধাক্কার পর উল্টে গেল ট্রাক, মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
  • হাসির জাদুঘর ‘হাহা হাউস’
  • শিক্ষকের মার খেয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীর বিষপান, বাঁচাতে পারলেন না চিকিৎসকেরা