দাবি পূরণের আশ্বাসে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয় খুলে দিল শিক্ষার্থীরা
Published: 12th, February 2025 GMT
২২ ঘণ্টা তালাবদ্ধ রাখার পর খুলে দেওয়া হয়েছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়। বুধবার সকাল ১০টায় হাসপাতাল প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে এই তালা খুলে দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে হাসপাতাল ঘেরাও করে তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয়ে তালা দিয়েছিল বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এসময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ২৫০ শয্যা নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.
বৈঠক শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নওগাঁর শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলের এমপি-মন্ত্রীরা নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে। পুরো হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার কাঠামো নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের পর সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছিলাম। এরপর নানান অজুহাতে হাসপাতাল প্রশাসন বিষয়টি কালক্ষেপণ করেছেন। এর মধ্যে আবার তারা হীরক জয়ন্তী উদযাপনে ব্যস্ত। তাই জোরালো প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয় তালাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছিলো।
তিনি বলেন, তালাবদ্ধ রাখার ২২ ঘণ্টার মধ্যেই বেশ কিছু সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে হাসপাতাল প্রশাসন। পর্যায়ক্রমে সকল সমস্যা সমাধান করবেন এমনটি আশ্বাস দিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক ও আরএমও। তাদের আশ্বাসে এবং রোগীদের স্বার্থ বিবেচনায় তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয়টি আবারও খুলে দেওয়া হয়েছে। যদি এরপরেও সমস্যাগুলোর সমাধান না হয়, আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্যালেসকে ধসিয়ে লিগে সেরা চারে ম্যানসিটি
মৌসুমে সব কিছু হারিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির চোখ এখন আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। সেজন্য লিগ টেবিলে সেরা চারে থাকা লক্ষ্য তাদের। যদিও পাঁচে থাকলেও চলবে। ওই লক্ষ্যে নেমে লিগের ৩২তম রাউন্ডে ঘরের মাঠে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সিটিজেনরা।
লিগ টেবিলে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে সেরা চারে ঢুকেছে পেপ গার্দিওলার দল। অবশ্য সমান ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে থাকা চেলসির চেয়ে এক ও ছয়ে থাকা নিউক্যাসলের চেয়ে দুই ম্যাচ বেশি খেলেছে ম্যানসিটি।
ঘরের মাঠ ইতিহাদে শুরুতে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যানসিটি। ম্যাচের ৮ মিনিটে এজে ও ২১ মিনিটে রিচার্ড ক্রিস্টাল প্যালেসকে এগিয়ে নেন। এরপর মরণ কামড় দিয়েছে গার্দিওলার দল। ৩৩ মিনিটে সরাসরি ফ্রি কিকে গোল করেন ডি ব্রুইনি। ৩৬ মিনিটে ইলকে গুন্ডোয়ানের পাসে গোল করে দলকে সমতায় ফেরেন নতুন মিশরীয় রাজা ওমর মারমুশ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লিড নেয় ম্যানসিটি। ৪৭ মিনিটে দলকে ৩-২ গোলে এগিয়ে নেন মাতেও কোভাসিচ। এরপর ৫৬ মিনিটে সিটিজেনদের পক্ষে চতুর্থ গোল করেন ম্যাকএটি। তার গোলে সহায়তা দেন দলটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদেরসন। প্রিমিয়ার লিগে গোলরক্ষক হিসেবে সপ্তম অ্যাসিস্ট নিয়ে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। শেষ গোলটি আসে ৭৯ মিনিটে ও’রেলির পা থেকে।
এ নিয়ে চলতি মৌসুমে ম্যানসিটি ৩২ ম্যাচে ১৬টিতে জয় পেয়েছে। হেরেছে ৯টি। বাকি ৭ ম্যাচে ড্র করেছে তারা। ম্যানসিটি তিনে থাকা নটিংহাম ফরেস্ট, পাঁচে থাকা চেলসি, ছয়ে থাকা নিউক্যাসল ও সাতে থাকা অ্যাস্টন ভিলার চেয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে আছে। যেটা পেপ গার্দিওলার দলের জন্য প্লাস পয়েন্ট।