জাপার মহাসচিব মুজিবুলের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা, সাবেক ডিআইজি বাতেনের সম্পদ ক্রোক
Published: 12th, February 2025 GMT
জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু ও তাঁর স্ত্রী রোকসানা কাদেরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া পুলিশের রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আবদুল বাতেন ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো.
মুজিবুল হক চুন্নু ও তাঁর স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন দুদকের পরিচালক আবুল হাসনাত। আবেদনে বলা হয়, সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হক ও তাঁর এপিএস আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডার–বাণিজ্য, জমি দখলসহ দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। দুদক জানতে পেরেছে, মুজিবুল হক, তাঁর স্ত্রীসহ অন্যরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। শুনানি নিয়ে আদালত মুজিবুল হক ও তাঁর স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।
সাবেক ডিআইজি বাতেনের সম্পদ ক্রোক
দুদকের তথ্য বলছে, আবদুল বাতেনের নামে থাকা রাজধানীতে দুটি ফ্ল্যাট, একটি প্লট ও ১৮৬ শতক জমি ক্রোকের আদেশ হয়েছে।
অন্যদিকে পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল বাতেনের দ্বিতীয় স্ত্রী নূরজাহান আক্তারের নামে দুটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গেছে। সেই দুটি ফ্ল্যাটও ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, আবদুল বাতেনের জমির বড় একটা অংশ সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় অবস্থিত। দুটি ফ্ল্যাটের একটি রমনায়, অন্যটি মগবাজারে। এ ছাড়া তাঁর নামে সাতটি ব্যাংক হিসাবের খোঁজ পেয়েছে দুদক। সেগুলোয় ৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা জমা হয়। আর উত্তোলন করা হয় ৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এ ছাড়া বাতেনের দ্বিতীয় স্ত্রী নূরজাহানের চারটি ব্যাংক হিসাবে ৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা জমা হয়। আর তুলে নেওয়া হয় ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ওই সময় পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক ছিলেন মো. আবদুল বাতেন। পরে তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আবদ ল ব ত ন ম জ ব ল হক
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশের তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত
পুলিশের এক উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) ও দুই পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে তাঁরা বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা পাবেন।
এই তিন কর্মকর্তা হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শহিদুল্লাহ, বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান ও নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
আবুল হাসনাত খান সর্বশেষ সিলেট রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয়ে সংযুক্ত ছিলেন। আর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নীলফামারী ইন–সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে স্বাক্ষর করেন জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শহিদুল্লাহর বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেহেতু মো. শহিদুল্লাহকে সরকারি চাকরি আইন (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন)–এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। শহিদুল্লাহ ডিএমপির একাধিক বিভাগে উপকমিশনার ও যুগ্ম কমিশনার ছিলেন।
একইভাবে পৃথক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাগেরহাটের সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ফকিরহাট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি গ্রেপ্তার হন। অন্যদিকে নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গত বছরের ২০ আগস্ট সোনাইমুড়ি থানায় হত্যা মামলা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুজনকেই সরকারি চাকরি আইন (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন)–এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।