গিল-আয়ার-কোহলির ব্যাটে তৃতীয় ওয়ানডেতে ভারতের রান পাহাড়
Published: 12th, February 2025 GMT
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে আগেই সিরিজ বগলদাবা করেছে ভারত। আজ বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) তৃতীয় শেষ ওয়ানডেতেও ব্যাটিংয়ে দাপট দেখালো ভারত। শুভমান গিলের সেঞ্চুরি, বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আয়ারের ফিফটিতে ভর করে ৫০ ওভার সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৫৬ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করেছে। জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ইংল্যান্ডকে করতে হবে ৩৫৭ রান।
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রোহিত শর্মা এই ম্যাচে অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই আউট হন তিনি ব্যক্তিগত ১ রানে। সেখান থেকে গিল ও কোহলি ১১৬ রানের জুটি গড়েন দ্বিতীয় উইকেটে। তাতে ১৮.
এই রানের মাথায় কোহলি ফিরেন ৫৫ বলে ৭টি চার ও ১ ছক্কায় ৫২ রানের ইনিংস খেলে। সেখান থেকে গিল ও আয়ার তৃতীয় উইকেট জুটিতে তোলেন আরও ১০৪ রান। দলীয় ২২৬ রানের মাথায় গিল ফেরেন। তার আগে ১০২ বল খেলে ১৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ১১২ রানের ইনিংস খেলে যান। যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি।
আরো পড়ুন:
বিরুদ্ধ সময় কাটিয়ে সেঞ্চুরিতে রোহিতের আনন্দাশ্রু
দাপুটে জয়ে সিরিজ ভারতের
এরপর আয়ারের ৮ চার ও ২ ছক্কায় করা ৭৮ এবং ৩টি চার ও ১ ছক্কায় লোকেশ রাহুলের ৪০ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত ৩৫৬ রান পর্যন্ত যায়।
বল হাতে ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ ১০ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। মার্ক উড ৯ ওভারে ১ মেডেনসহ ৪৫ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষ নামের মানুষে জগৎ সয়লাব: আফজাল হোসেন
নন্দিত অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন। বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী এ গুনী মানুষটি লেখালেখিও করেন। প্রায় সময়ই তাঁর লেখায় উঠে আসে সবসাময়িক নানা বিষয়। এবার তার লেখায় উঠে এল মাগুরায় নির্যাতিত শিশুর মৃত্যুর বিষয়। আজ শনিবার নিজের ফেসবুকে অভিনেতা লিখেছেন, ‘ছোট্ট আছিয়া সামান্য কয়দিনের দুনিয়াদারী করতে এসে বুঝে গেল, এটা নরক। ভালো করেই জেনে গেছে, মানুষ নামের মানুষে জগৎ সয়লাব- আসল মানুষ তেমন নেই।’
এরপর লেখেন, ‘স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাও আরও এক দফা বুঝিয়ে দিলেন, শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষের কৃতজ্ঞতা বা গৌরববোধ নেই- তার বদলে নানা প্রকারে মানুষ প্রমাণ দিতে চায়, কতটা নিকৃষ্ট তারা হতে পারে!’
অভিনেতার কথায়, ‘চলে গেল আছিয়া। জীবিতকালে তাকে সন্মান দেখাতে না পারি, মৃত্যুর পর অনেকটাই বোঝাতে পেরেছি, সন্মান দেখানোয় আমরা কতটা দক্ষ, আন্তরিক। দুঃখজনক হচ্ছে, দক্ষতা, আন্তরিকতা প্রকাশ করতে আমাদের কোনো না কোনো উপলক্ষ্েযর প্রয়োজন পড়ে।’ তিনি যোগ করেন, ‘নিপীড়ন, অত্যাচার, অবমাননায় কারও মৃত্যু হলে- তখনই সে জীবন সন্মান, মর্যাদাপ্রাপ্তির উপযুক্ত হয়ে ওঠে। তখনই কেবল সে জীবনের প্রতি সংবেদনশীলতা প্রদর্শনের তাগিদ অনুভব করি। আমরা এই মানুষ পরিচয়ের প্রাণীরা অসভ্যতা, বর্বরতায় খুব একটা বিব্রত, পীড়িত, অসন্মানিতবোধ করি না- বয়স বিবেচনায় বর্বরকাণ্ডে সমাজসহ শিউরে উঠি।
তার কথায়, ‘কোনো লজ্জা, ঘৃণা বা অতিরিক্ত বেদনার ঘটনা কেউ বেশিদিন মনে রাখে না। আছিয়াকেও মনে থাকবে না কারও কিন্তু নিজের জীবনের বদলে মানুষ ও সমাজের কুৎসিত রূপ সে খুব বড়, স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিয়ে গেল। বুঝিয়ে দিয়ে গেল, তার জন্ম হয়তো সাধারণ ঘটনা ছিল কিন্তু ছোট্ট সে জীবন মানুষের দায়িত্ব কর্তব্েয নয়, নিষ্ঠুরতা, অমানবিকতাতেই বিশেষ হয়ে উঠতে পেরেছে।’
সবশেষে লিখেছেন, ‘নিকৃষ্ট ও শ্রেষ্ঠত্বের মাঝখানে ভেদ যে বিশেষ নেই, তা কি বোধগম্য হয়েছে আমাদের? হবে কোনোদিনও?
প্রসঙ্গত, মাগুরায় শিশু আছিয়ার ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় ছিল সারাদেশ। ৮ বছরের শিশুটি বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে আছিয়া।