বাগেরহাটের সাইনবোর্ড-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কের চারটি নদী ও খালের উপর সেতু নির্মাণে ধীরগতির অভিযোগ উঠেছে। কার্যাদেশ পাওয়ার তিন বছর পরও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যথাসময়ে নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি। ফলে ভোগান্তি কমছে না সাধারণ মানুষের।

২০২১ সালের ১২ আগস্ট মীর হাবিবুল আলম নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চারটি নদী ও খালের উপর সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পান। সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্ধের পরিমাণ ৪৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। তবে কার্যাদেশ পাওয়ার প্রায় তিন বছর পার হওয়া সত্ত্বেও শরনখোলা উপজেলার বকুলতলা খালের শ্যামবাড়ি এলাকায় নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। তাছাড়া, তাফালবাড়ি খালের উপর নির্মিত সেতুর কাজ মাত্র ৩০ শতাংশ সম্পন্ন করেই নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রেখে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

অপরদিকে, মোরেলগঞ্জের পানগুছি খাল ও শরনখোলার নলবুনিয়া খালের ওপর সেতু নির্মাণ চলছে ধীরগতিতে, এসব সেতুতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।

মোরেলগঞ্জ পৌর এলাকার শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম বলেন, “পানগুছি খালের উপর দিয়ে আমরা যখন স্টিল ব্রিজ পার হই তখন খুবই ভয় লাগে। কোন গাড়ি ব্রিজে উঠলে ব্রিজটি দুলতে থাকে। মনে হয় এখনই ভেঙে পড়বে। দুদিক থেকে একসঙ্গে গাড়ি চলাচল করতে পারে না। ফলে প্রতিদিন জ্যাম সৃষ্টি হয়। পাশেই নতুন সেতুর কাজ শুরু হলেও কবে শেষ হবে, তা আমাদের জানা নেই।” 

শরনখোলার শ্যামবাড়ি এলাকার লিটন হাওলাদারও অবহেলা ও ধীরগতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “কার্যাদেশ পাওয়ার পরও প্রায় তিন বছর পার হয়ে গেছে কিন্তু এখনো সেতুর কাজ শুরু হয়নি। আমরা কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েছি, কাজ দ্রুত শুরু করা হোক। তবে, এখন পর্যন্ত কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।”

নলবুনিয়া এলাকার আবু হোসেন বলেন, “পুরাতন ব্রিজের পাশে নতুন সেতু নির্মাণে যে উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে, তা একদম নিম্নমানের। আমরা চাই উন্নয়ন কাজে ভালো মানের উপকরণ ব্যবহার করা হোক, যেন আমাদের যাতায়াতের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।”

শরনখোলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুদিপ্ত কুমার সিংহ বলেন, “পুরাতন এসব সেতুর জন্য প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। জনগণের দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত নতুন সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করা প্রয়োজন। আমরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।”

বাগেরহাট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, “দেশের প্রেক্ষাপটের কারণে নির্মাণ কাজের সময়সীমা আরও এক বছর বাড়িয়ে দ্রুত কাজ সমাপ্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সময় বাড়লেও নির্মাণ ব্যয়ের বরাদ্দ অপরিবর্তিত রয়েছে। আমাদের আশা, অল্প সময়ের মধ্যেই সেতু নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করতে পারব।” 

নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, “বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।”

ঢাকা/শহিদুল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর খ ল র উপর ব যবহ র ধ রগত

এছাড়াও পড়ুন:

বাগেরহাটে সেতু নির্মাণে ধীরগতি, ভোগান্তি 

বাগেরহাটের সাইনবোর্ড-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কের চারটি নদী ও খালের উপর সেতু নির্মাণে ধীরগতির অভিযোগ উঠেছে। কার্যাদেশ পাওয়ার তিন বছর পরও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যথাসময়ে নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি। ফলে ভোগান্তি কমছে না সাধারণ মানুষের।

২০২১ সালের ১২ আগস্ট মীর হাবিবুল আলম নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চারটি নদী ও খালের উপর সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পান। সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্ধের পরিমাণ ৪৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। তবে কার্যাদেশ পাওয়ার প্রায় তিন বছর পার হওয়া সত্ত্বেও শরনখোলা উপজেলার বকুলতলা খালের শ্যামবাড়ি এলাকায় নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। তাছাড়া, তাফালবাড়ি খালের উপর নির্মিত সেতুর কাজ মাত্র ৩০ শতাংশ সম্পন্ন করেই নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রেখে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

অপরদিকে, মোরেলগঞ্জের পানগুছি খাল ও শরনখোলার নলবুনিয়া খালের ওপর সেতু নির্মাণ চলছে ধীরগতিতে, এসব সেতুতে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।

মোরেলগঞ্জ পৌর এলাকার শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম বলেন, “পানগুছি খালের উপর দিয়ে আমরা যখন স্টিল ব্রিজ পার হই তখন খুবই ভয় লাগে। কোন গাড়ি ব্রিজে উঠলে ব্রিজটি দুলতে থাকে। মনে হয় এখনই ভেঙে পড়বে। দুদিক থেকে একসঙ্গে গাড়ি চলাচল করতে পারে না। ফলে প্রতিদিন জ্যাম সৃষ্টি হয়। পাশেই নতুন সেতুর কাজ শুরু হলেও কবে শেষ হবে, তা আমাদের জানা নেই।” 

শরনখোলার শ্যামবাড়ি এলাকার লিটন হাওলাদারও অবহেলা ও ধীরগতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “কার্যাদেশ পাওয়ার পরও প্রায় তিন বছর পার হয়ে গেছে কিন্তু এখনো সেতুর কাজ শুরু হয়নি। আমরা কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েছি, কাজ দ্রুত শুরু করা হোক। তবে, এখন পর্যন্ত কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।”

নলবুনিয়া এলাকার আবু হোসেন বলেন, “পুরাতন ব্রিজের পাশে নতুন সেতু নির্মাণে যে উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে, তা একদম নিম্নমানের। আমরা চাই উন্নয়ন কাজে ভালো মানের উপকরণ ব্যবহার করা হোক, যেন আমাদের যাতায়াতের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।”

শরনখোলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুদিপ্ত কুমার সিংহ বলেন, “পুরাতন এসব সেতুর জন্য প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। জনগণের দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত নতুন সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করা প্রয়োজন। আমরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।”

বাগেরহাট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম বলেন, “দেশের প্রেক্ষাপটের কারণে নির্মাণ কাজের সময়সীমা আরও এক বছর বাড়িয়ে দ্রুত কাজ সমাপ্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সময় বাড়লেও নির্মাণ ব্যয়ের বরাদ্দ অপরিবর্তিত রয়েছে। আমাদের আশা, অল্প সময়ের মধ্যেই সেতু নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করতে পারব।” 

নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, “বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।”

ঢাকা/শহিদুল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ