Risingbd:
2025-02-12@16:01:34 GMT

চবির সেই প্রক্টরকে এবার কটাক্ষ

Published: 12th, February 2025 GMT

চবির সেই প্রক্টরকে এবার কটাক্ষ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রীর হাতে লাঞ্ছিত হওয়া সহকারী প্রক্টর ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলীকে কটাক্ষ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ‘Cu Nonpolitical Memes’ নামের একটি ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ভুক্তভোগী প্রক্টরকে ‘সহকারী পটখোর’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে।

 র গায়ে থাপ্পড় দিয়ে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠেছে শেখ হাসিনা হলের এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় 

গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ওই পেজটি থেকে ভুক্তভোগী প্রক্টরকে কটাক্ষ করে পোস্টটি করা হয়। এর আগে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমি তাকে লাঞ্ছিত করেন।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) লাঞ্ছিতের ভিডিওটি ভাইরাল হয়। এরপর অভিযুক্ত ছাত্রী আফসানা এমির শাস্তিসহ শিক্ষককে নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো ও কটাক্ষ করার অভিযোগে ওই পেজটির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

কটাক্ষ করে ওই পোস্টে বলা হয়েছে, “নিজের ব্যস্ততাকে কোরবানী করে কুরবান আলী স্যার ননপলের পাঠচক্রে সময় দেবে বলে নিশ্চিত করেছেন। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টায় ভিসি ভবনের ডাইনিং টেবিলে পাঠচক্রটি অনুষ্ঠিত হইবে।”

আরো বলা হয়েছে, “কীভাবে প্রতিপক্ষকে লীগের ট্যাগ দেবেন, কী কী ভাষা প্রয়োগ করবেন বিস্তারিত আলোচনা করবেন স্যার। এই পাঠচক্রে যারা আসবেন, আসার পূর্বে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা হল’ গেটে তালা দিয়ে আসার অনুরোধ রইলো। তাহলে ভাগ্য ভালো হইলে ঐ রাতেই জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের ছাত্রীদের ওপর ট্যাগ প্রয়োগের প্র‍্যাক্টিক্যাল দেখাতে পারবেন মাননীয় ট্যাগ বিশেষজ্ঞ নিজের ব্যস্ততাকে কোরবানী দেওয়া কোরবান আলী স্যার।”

এছাড়া পোস্টে ভুক্তভোগী সহকারী প্রক্টরকে কটাক্ষ করে একটি ছবি যুক্ত করা হয়। সেখানে তাকে ‘সহকারী পটখোর’ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, “ট্যাগ দেওয়ার ১০১টি সহিহ উপায় শিক্ষা দিবেন তিনি।”

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জননেত্রী শেখ হাসিনা হলের নামফলক ও হলের সামনে কংক্রিট নির্মিত নৌকা ভাঙতে যান। এ সময় সহকারী প্রক্টর ড.

মো. কোরবান আলী ঘটনাস্থলে গেলে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে অভিযুক্ত ছাত্রী আফসানা এমি তাকে থাপ্পড় দেন। এরপরও থেমে নেই উশৃংখল ছাত্রীরা। পরে হট্টগোলের এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “নৌকা তোদের কি? তোরা স্বৈরাচারের দোসর।” এরপর আবারো তার উপর চড়াও হন ছাত্রীরা। মূলত এ উক্তি থেকেই ফেসবুক পেজটিতে ওই শিক্ষককে নিয়ে এমন কটাক্ষ করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, যে ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টরের গায়ে হাত তুলেছে। তার বিরুদ্ধে না বলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে লেগে যায় পেজটি। অথচ শিক্ষক ভুক্তভোগী। শিক্ষকের গায়ে থাপ্পড় দেওয়ার ঘটনা ঘটলেও পরে তার একটি মন্তব্য নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানহানি করা হয়। আসল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এমন বয়ান তৈরি করা হচ্ছে। পেজটিতে এর আগেও বিভিন্ন সময় তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট করা হয়েছে। তাই এ পেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সময়ের দাবি।

এ বিষয়ে ফিন্যান্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সানু আক্তার নদী বলেন, ঘটনার পরদিন থেকে কয়েকটা গ্রুপে, বিশেষ করে নন-পলিটিক্যাল মিমস পেজে শিক্ষকদের নিয়ে যেভাবে একের পর এক কন্টেন্ট প্রচার করা হচ্ছিল, তা একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের জন্য অনেক লজ্জার। ঘটনার বিস্তারিত না জেনেই এভাবে একজন শিক্ষককে হেয় করা কোনভাবেই কাম্য নয়। এ পেজসহ আরো যারা এমন অপপ্রচার চালিয়েছে ও কটাক্ষ করেছে, সবাইকে কঠিন শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।”

রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের জয়নুল আবেদীন ফাহিম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে দায়িত্বরত বিভিন্ন শিক্ষককে নিয়ে ননপল পেইজের এসব কটাক্ষমূলক মন্তব্য নতুন নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ব্যক্তির মানহানির পর্যায়ে চলে যায়। হাস্য-রসাত্মক উপায়েও অন্যায়ের সমালোচনা করে থাকেন অনেকে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আবারো সহকারী প্রক্টরদের ‘পটখোর’ নামে অভিহিত করাসহ বিভিন্নভাবে ব্যক্তি আক্রমণ করে যেসব মন্তব্য করা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একইসঙ্গে পেজটি বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত পেইজ থেকে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক পোস্টে বলা হয়েছে, “ঘটনার সময় কুরবান আলী স্যারের ব্যবহার, ট্যাগিং দেখে তিনি যে শিক্ষক অনেকে বোঝেইনি। কেউ কেউ তাকে দারোয়ান ভেবেছে। ট্যাগিং করলে দারোয়ান ভেবে মারা জায়েজ? একদমই না। অনেক দিন আগে দুই নম্বর গেটে ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি দারোয়ানকে মেরেছিল, তখনও তার বহিষ্কার দাবি করেছিল ননপল। একই যুক্তিতে গায়ে হাত তোলার জন্য ওই মেয়েকে বহিষ্কার করা উচিৎ মনে করে ননপল।”

আরো বলা হয়েছে, “যে ইথিক্সে মেয়ের শাস্তি চায় ননপল, একই ইথিক্সে দুইজন সহকারী প্রক্টররের বডি থেকে পদত্যাগ চায়। জঘন্যভাবে এতোগুলো মেয়েকে ট্যাগিং, তুই তোকারি করার পরও তাদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার কোনো গ্রাউন্ড দেখি না।”

ভুক্তভোগী শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. কুরবান আলী বলেন, “আমরা প্রশাসনে এসে কারো পক্ষে কাজ করছি, এমন অভিযোগ বা প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে অনবরত কাজ করে যাচ্ছি। আমরা কারো প্রতিপক্ষ নই।”

তিনি বলেন, “সেদিনের ঘটনা আপনারা সরাসরি ও ভিডিওতে দেখেছেন। শুধু ওই মেয়েটিই নয়, সেখানে আরো মেয়েরা আমার উপর মারমুখী ছিল। তারা আমাকে কোন কথাই বলতে দিচ্ছিল না। তারপরও আমাকে নিয়ে নন-পলিটিক্যাল মিমস পেইজটি থেকে পরপর মিথ্যা অপপ্রচার ও ভিত্তিহীন বিষয় ছড়িয়ে যাচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, “ওই পেইজটি থেকে বেশ কিছুদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি আমাদের একজন সহকারী প্রক্টরকে নিয়ে বাজে শব্দে কটাক্ষ করেছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।”

তিনি বলেন, “আমরা জানি না এ পেজটি কে বা কারা চালাচ্ছেন। পেইজের এডমিনের পরিচয় যে কেউ আমাদের জানাতে পারে। এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ আসেনি। আসলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এম. মিজানুর রহমান, চবি  01600909656

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক ষকক সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

সাবিনাদের চাপে রাখতেই কি বাকিদের সঙ্গে চুক্তি বাফুফের

কোচ পিটার বাটলারের অধীনে অনুশীলন করবেন না বলে ১৮ জন নারী ফুটবলার ঘোষণা দিয়েছিলেন ৩০ জানুয়ারি। সেই থেকে আজ পর্যন্ত বিদ্রোহীরা নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল। অনুশীলনে ফিরতে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের অনুরোধও রাখেননি তাঁরা। এ অবস্থায় বাফুফে তাদের পথ বেছে নিয়েছে। বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের বাইরে রেখে ক্যাম্পে থাকা খেলােয়াড়দের সঙ্গে চুক্তি করেছে। ১৮ বিদ্রোহীসহ ক্যাম্পে আছেন ৫৫ জন। এই ১৮ জনসহ আরও ১ জনকে বাদ দিয়ে বাকি ৩৬ জনের সঙ্গে সোমবার চুক্তি করেছে দেশীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

আরও পড়ুনমেয়েদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ, ছাড় পাননি কোচ বাটলারও০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

চুক্তির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে বাফুফে কিছু বলছে না। চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের নামও তারা প্রকাশ করছে না। তবে ভেতরে–ভেতরে নিজেদের কাজটা এগিয়ে নিচ্ছে। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বাফুফে ভবনের চতুর্থ তলায় থাকা মেয়েদের ক্যাম্প থেকে একজন একজন করে ডেকে দ্বিতীয় তলার সভাকক্ষে এনে চুক্তিপত্রে তাঁদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।

প্রথমে চুক্তি করা হয় সাবিনাদের সঙ্গে বিদ্রোহে অংশ না নেওয়া ১২ জনের সঙ্গে। তাঁরা হলেন আফঈদা খন্দকার, কোহাতি কিসকু, মুনকি আক্তার, শাহেদা আক্তার রিপা, স্বপ্না রানী, ইয়ারজান বেগম, আইরিন খাতুন, অর্পিতা বিশ্বাস, সুরভী আক্তার, আকলিমা খাতুন, হালিমা আক্তার ও সুরমা জান্নাত। তাঁদের মধ্যে প্রথম সাতজন সাফজয়ী দলের।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেয়ালে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, প্রাণ গেল ২ কিশোরের
  • গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেলের বাড়িতে ভাঙচুরের সময় হামলায় আহত একজনের মৃত্যু
  • ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নৃশংস পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল: ফলকার টুর্ক
  • বইমেলায় এস এম জাহিদ হাসানের ‘চলতি পথের বাঁকে’
  • লেখককে ছুটতে হয় নতুন চিন্তার খোঁজে: ফজলুল কবিরী
  • যশোরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ
  • বগুড়ায় স্কুলছাত্র ফাহিম হত্যার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই আদালতে একজনের স্বীকারোক্তি
  • টাঙ্গাইলে আ. লীগের ২১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
  • সাবিনাদের চাপে রাখতেই কি বাকিদের সঙ্গে চুক্তি বাফুফের