ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও চিকিৎসকদের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। চার মাসে আগে বদলি হওয়া আওয়ামীপন্থি চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. গুরুদাস মণ্ডলকে একই পদে পদায়নকে কেন্দ্র করে এমন পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।
 
ওই চিকিৎসককে আওয়ামীপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করে হাসপাতালের অন্য চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেন এবং পরিচালক অধ্যাপক ডা.

কাজী দীন মোহাম্মদ ও যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলমের পদত্যাগের দাবি জানান। এসময় আন্দোলনরত চিকিৎসকদের ওপরে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এসব কারণে বুধবার সকাল থেকেই হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এবং বহির্বিভাগ ছাড়া বাকি চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়। নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে কর্মরত একাধিক চিকিৎসক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক চিকিৎসক সমকালকে বলেন, আওয়ামীপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাচিপ নেতা অধ্যাপক ডা. গুরুদাস মণ্ডলকে প্রায় চার মাসে আগে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি করা হয়। সম্প্রতি তাকে ফের নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হলে বৈষম্যবিরোধী হিসেবে পরিচয় দেওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।

ডা. গুরুদাসকে কেনো ফিরিয়ে আনা হলো জানতে বুধবার সকালে এক দল চিকিৎসক হাসপাতালের পরিচালক কাজী দ্বীন মোহাম্মদের কক্ষে যান। সেখানে বিষয়টি নিয়ে কিছুটা হট্টগোল হয়। পরে চিকিৎসকরা বের হয়ে ৪০২ নম্বর এসে বৈঠক করার সময় হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এবং আউটসোর্সিংয়ের কিছু কর্মচারী তাদের ওপর হামলা করে বলে চিকিৎসকদের অভিযোগ।

কর্মবিরতিতে থাকা একজন চিকিৎসক বলেন, হাসপাতালের পরিচালক কর্মচারীদের লেলিয়ে দিয়েছেন। আউটসোর্সিংয়ের কর্মচারীরা বহির্বিভাগ বন্ধ করে দেয়। এছাড়া ৪০২ নম্বর রুমের সামনে গিয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকে। পরে দুপুরের দিকে আউটডোর এবং জরুরি বিভাগের কার্যক্রম শুরু করেন চিকিৎসকরা। 

হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ একাধিকবার ফোন করেও সাড়া মেলেনি। তবে উপ-পরিচালক ডা. বদরুল আলম মণ্ডল বলেন, চিকিৎসকরা যেহেতু আপত্তি তুলছে গুরুদাস এই হাসপাতালে যোগদান করতে পারবে না।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক চ ক ৎসকদ র চ ক ৎসকর চ ক ৎসক

এছাড়াও পড়ুন:

বিশেষ বিসিএসে ২০০০ চিকিৎসক নিয়োগ, বাড়ছে বয়স

চিকিৎসকদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক সায়েদুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, বর্তমানে চিকিৎসকদের বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার বয়স ৩২ বছর। এটাকে দুই বছর বাড়িয়ে চিকিৎসকদের বিসিএস পরীক্ষার বয়স ৩৪ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনপরিসংখ্যান ব্যুরোতে বড় নিয়োগ, পদ ২৬৬৩ ঘণ্টা আগে

অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, বিগত সরকারের সময় বঞ্চিত হয়ে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের কারণে চিকিৎসকেরা গত বুধবার তাঁদের বেতন-ভাতা নিয়ে ধর্মঘট করেছিলেন। তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে বর্তমান সরকার আন্তরিক। অন্তর্বর্তী সরকার শিগগিরই কিছু সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তাঁদের এসব দাবি পূরণ করার চেষ্টা করবে।

আরও পড়ুনআইইএলটিএস প্রস্তুতি, ইংরেজির স্পষ্ট উচ্চারণের জন্য প্রতিদিন করণীয়৪ ঘণ্টা আগে

সরকারের আশ্বাসের ভিত্তিতে চিকিৎসকেরা গতকাল বুধবার আন্দোলন থেকে সরে এসেছে জানিয়ে বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, ‘তবে এখনো কিছু ইন্টার্ন চিকিৎসক শিক্ষার্থীরা ক্লাশে অনুপস্থিত রয়েছেন। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করছি, সবাই যেন নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন।’ চিকিৎসক এবং রোগীদের সুরক্ষার জন্য আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনটি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উঠবে। এক সপ্তাহের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ার কাজটি শেষ হবে বলেও জানান অধ্যাপক সায়েদুর রহমান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চিকিৎসক-নার্সদের সর্বনিম্ন বেতন ঠিক করে দেবে সরকার: বিশেষ সহকারী
  • বিশেষ বিসিএসে ২০০০ চিকিৎসক নিয়োগের উদ্যোগ
  • বিশেষ বিসিএসে ২০০০ চিকিৎসক নিয়োগ, বাড়ছে বয়স
  • চিকিৎসকদের কর্মবিরিতি প্রত্যাহার
  • নিবন্ধিত ভেটেরিনারি চিকিৎসকরা কি ‘ডা.’ ব্যবহার করতে পারবে? 
  • চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ঢামেক-সোহরাওয়ার্দীর বর্হিবিভাগ সেবা বন্ধ
  • ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ঢামেক-সোহরাওয়ার্দীর বর্হিবিভাগ সেবা বন্ধ
  • কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চিকিৎসকদের মহাসমাবেশ চলছে
  • ইন্টার্নি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে বর্হিবিভাগ বন্ধ