ফরিদপুরে অটোবাইকে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২
Published: 12th, February 2025 GMT
ফরিদপুর শহরের আদমপুর চুনারুঘাটা বেড়িবাঁধ ব্রিজ এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় অটোবাইকের দুই যাত্রী নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় চারজন আহত হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার খলিল মন্ডলেরহাট এলাকার আলী পাটাদারের ছেলে হাসেম পাটাদার (৪০) ও লাল মিয়া শেখের ছেলে লাভলু (২৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, চুনারুঘাটা ব্রিজ এলাকায় একটি ট্রাক অটোবাইকে ধাক্কা দিলে ছয়জন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুইজনের মৃত্যু হয়। আহত চারজন সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরো পড়ুন:
জন সচেতনতা ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব নয়: ইলিয়াস কাঞ্চন
কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় স্কুলশিক্ষক নিহত
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদউজ্জামান জানান, আহত ছয়জনের মধ্যে দুই জন নিহত হয়েছে। চারজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ঢাকা/তামিম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
হাইমচরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৬
জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের হাইমচরের উত্তর আলগী দুর্গাপুর গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ছয়জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে এতথ্য জানান হাইমচর থানার ওসি মহিউদ্দিন সুমন।
আহতরা হলেন- বাচ্চু মিজি (৫০), শাহলম মিজি (৭০), খোরশেদ আলম মিজি (৩৫), নুরুল আমিন মিজি (৭০), মোহাম্মদ আমিন মিজি (৬০) ও ইব্রাহিম মিজি (৫০)।
আরো পড়ুন:
যশোরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ৪
দুই দফা সংঘর্ষ শেষে শান্ত আইডিয়াল ও সিটি কলেজ
এলাকাবাসী জানান, বাচ্চু মিজি এবং নুরুল আমিন মিজির মধ্যে জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। দুই পক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জমির দলিল উঠানোর জন্য বাচ্চু মিজি নিজের পকেট থেকে নুরুল আমিন মিজিকে ২ হাজার টাকা দেন। নুরুল আমিন মিজি দলিলের নকল না দেওয়ায় বাচ্চু মিজির সঙ্গে গত সোমবার সন্ধ্যায় তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিও হয়। পরেস্থানীয় লোকজন বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।
আজ সকালে নুরুল আমিন মিজি, মোহাম্মদ আমিন মিজি ও ইব্রাহিম মিজি তাদের ছেলে ও স্বজনদের সাথে নিয়ে খোরশেদ মিজির ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে উভয় পক্ষের ছয়জন আহত হন।
শাহলম মিজির ছেলে রাকিব বলেন, “বাবা-চাচাকে মেরে নুরুল আমিনরা আমাদের বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করে। আমি তাদের শাস্তি চাই।”
নুরুল আমিন মিজির ছেলে জুয়েল বলেন, “ওরা আমাদের মারধর করে ফাঁসাতে নিজেরাই নিজেদের ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। মূলত আমরা তাদের হামলা প্রতিহত করেছি।”
হাইমচর থানার ওসি মহিউদ্দিন সুমন বলেন, “উত্তর আলগী গ্রামে মারামারির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ছয়জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ