সেন্টমার্টিনে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পরিচ্ছন্নতা অভিযান
Published: 12th, February 2025 GMT
পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ২০০ জন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক এ অভিযানে অংশ নিয়েছেন। চলমান এই অভিযান বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে। এছাড়াও, গত দুই মাস ধরে সাসটেইনেবিলিটি অ্যালায়েন্স দ্বীপে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে গত দুই মাসে বিপুল পরিমাণ ময়লা-আবর্জনা ও সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক সংগ্রহ করে অপসারণ করা হয়েছে। নদী ও সমুদ্র দূষণ রোধে জাহাজ ঘাট থেকে ২৪১ কেজি প্লাস্টিক ও ৮৭ কেজি পলিথিন সংগ্রহ করা হয়। প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোরের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন থেকে ১৪.
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ও প্লাস্টিক দূষণ কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দৈনিক সর্বোচ্চ ২,০০০ পর্যটকের রাতযাপনের সীমা নির্ধারণ করা হয়। এই সময়ে গড়ে ১,৬৯৪ জন পর্যটক দ্বীপে ভ্রমণ করেছেন। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে কয়েকটি জাহাজকে সতর্ক করা হয় এবং দুইটি জাহাজকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, পর্যটক ও স্থানীয়দের সচেতন করতে দ্বীপে তথ্যসংবলিত সাইনবোর্ড স্থাপন ও গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকতের পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তায় বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির অধীনে ১০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ৬ জন লাইফগার্ড সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণের দায়িত্ব আমাদের সকলের। দ্বীপের বাসিন্দাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এ বিষয়ে একযোগে কাজ করবে।
সরকারের এই উদ্যোগের ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা ও টেকসই পর্যটন উন্নয়নের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন টম র ট ন পর ব শ উপদ ষ ট পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
বগুড়ার কাহালুতে ৬ বছর বয়সী দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম নুর ইসলাম (৪০)। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার দায়েরের পর থেকেই পলাতক আছেন তিনি।
গত বুধবার (১২ মার্চ) উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হলে শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে দুই শিশুকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। নুরু ইসলাম একই ইউনিয়নের বাসিন্দা ও পেশায় কৃষিশ্রমিক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুই শিশু বাড়ির সামনে খেলা করছিল। সে সময় খাবারের লোভ দেখিয়ে তাদের নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন নুর ইসলাম। পরদিন দুই শিশুর একজনের জ্বর ও আরেকজনের রক্তক্ষরণ শুরু হলে পরিবার বিষয়টি বুঝতে পারে।
আরো পড়ুন:
ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ: চলন্ত অটোরিকশা থেকে কিশোরীর লাফ
চোখে রাসায়নিক দ্রব্য লাগিয়ে কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার ২
কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, ‘‘দুই শিশু ধর্ষণের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে নুরকে আসামি করে মামলা হয়েছে। শিশু দুটির চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে রাখা হয়েছে।’’
দুই শিশুর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘‘তাদের শারীরিক অবস্থা এখন ভালো। একজনের ব্লিডিং হচ্ছিল, সেটি বন্ধ হয়েছে। আরেকজনের জ্বর ছিল, সেটিও নেই। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’’
ঢাকা/এনাম/রাজীব