ফরিদপুরে ২ শিক্ষার্থীর স্বর্ণ পদক জয়
Published: 12th, February 2025 GMT
ফরিদপুরে গণিতে স্বর্ণ পদক পেয়েছেন সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের গণিত বিভাগের দুই কৃতি শিক্ষার্থী।
এ এফ মজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন ওই কলেজের বিএসসি (অনার্স) ২০২২ ব্যাচের মনিরা আক্তার এবং এম এস সি ২০২১ ব্যাচের খন্দকার ফখরুল আলমকে পুরস্কৃত করেন।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শতাব্দী ভবনে শিক্ষক মিলনায়তনে ফাউন্ডেশনটির উদ্যোগে ও কলেজের গণিত বিভাগের আয়োজনে ১২তম বারের মতো এই পদক প্রদান অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় দুই শিক্ষার্থীকে পৃথকভাবে এক ভরি ওজনের স্বর্ণপদক এবং যথাক্রমে নগদ ১৫ হাজার ও ১০ হাজার টাকা করে তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। মেধার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকবৃন্দ তাদের দুজনকে নির্বাচিত করেন।
ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এম নুরুল আলম বলেন, “এই ফাউন্ডেশন দেশের অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করে আসছে এবং কলেজের মধ্যে একমাত্র ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ রয়েছে। এ এফ মজিবুর রহমানের জীবনের যত অর্জন এই ফাউন্ডেশনে দান করে গেছেন। বাইরে থেকে কোনো ডোনেশন আমরা গ্রহণ করি না।”
তিনি আরো বলেন, “এখন বিজ্ঞান ও গণিতে মানুষের আগ্রহ কমে গেছে। বিজ্ঞানের উৎকর্ষতা না হলে জাতির উন্নয়ন সম্ভব না। তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও গণিত চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ এস এম আব্দুল হালিম। এছাড়া অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি লোনা টি রহমান, উপাধ্যক্ষ মো.
এসময় দুই শিক্ষার্থী অনুভূতি প্রকাশ করে সকল শিক্ষক ও সাফল্যের পেছনে তাদের মা-বাবার অবদানের কথা তুলে ধরেন। এছাড়া কলেজটিতে এ এফ মজিবুর রহমান ভবন নির্মাণের দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, আবুল ফয়েজ মুজিবুর রহমান ১৮৯৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরের গেরদায় জন্মগ্রহণ করেন। ফরিদপুর জিলা স্কুলের পাঠ শেষ করে তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে বিএসসি পাস করেন। এরপর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২০ সালে বিশুদ্ধ গণিতে মাস্টার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য স্যার আশুতোষ মুখার্জির প্রাপ্ত নম্বরের রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড অর্জন করেন।
ঢাকা/তামিম/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ব র রহম ন কল জ র
এছাড়াও পড়ুন:
৬৫৩১ প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করা হয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হওয়া ৬৫৩১ জনের নিয়োগ পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, বেতন ও পদবি নিয়ে কমিটির সুপারিশে শিক্ষকরা সম্মত হলে সেটি বাস্তবায়নে চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি তিনি জানান, ৬৫৩১ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে গঠিত কনসালটেশন কমিটি আটটি বিষয়ে শতাধিক প্রধান ও আনুষঙ্গিক সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাখিল করেছেন। সুপারিশে শিখন মানের স্থবিরতা দূরীকরণ এবং শিশুর শিখন, কল্যাণ ও নিরাপত্তাকে সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে স্থাপন করাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
কমিটির আহ্বায়ক ড. মনজুর আহমদ বলেন, সুপারিশগুলোকে আশু, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে ভাগ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতি ও অসদাচারণ নিরোধ, শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর পেশাগত উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের ভিত্তিমূক দক্ষতা বৃদ্ধিসহ ১৪ টি প্রধান সুপারিশ বর্ণনা করা হয়।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করেন হাইকোর্ট। মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এদিকে এ রায়ের প্রতিবাদে ওইদিনই আদালতের সামনেই বিক্ষোভ করেন নিয়োগ বঞ্চিতরা। এ সময় বিচারককে উদ্দেশ্য করে স্লোগান, আদালতের দরজায় ধাক্কাধাক্কি, আইনজীবীদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয় পুলিশ সদস্যদের। এসময় তড়িঘড়ি করে এজলাস ছাড়েন বিচারপতিরা।
রায়ে নিয়োগ বাতিলের পর থেকে টানা আন্দোলন করে আসছেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা।
বিএইচ