সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদের মার্কিন পরিকল্পনা মোকাবেলা করার লক্ষ্যে একটি জরুরি বৈঠকে বসছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংস্থার অন্যতম সদস্য দেশ মিশর।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মিশর জানায়, গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের তাড়ানোর পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের একটি জরুরি বৈঠকের জন্য একটি প্রাথমিক ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে।

মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি সৌদি আরব, পাকিস্তান, ইরান, জর্ডান ও গাম্বিয়াসহ ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে ফিলিস্তিন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।

বিবৃতি অনুযায়ী, এই আলোচনার ফলে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি কায়রোতে আরব শীর্ষ সম্মেলনের পর ওআইসি মন্ত্রী পর্যায়ের জরুরি বৈঠক করার প্রাথমিক ঐকমত্য হয়েছে। তবে বৈঠকের জন্য কোনো নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।

মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, এই বৈঠকের লক্ষ্য ‘ফিলিস্তিনের স্বার্থে ফিলিস্তিনি, আরব ও ইসলামি দেশগুলোর দীর্ঘদিনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করা এবং সেটা হল ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও নিজ মাতৃভূমিতে বসবাসের অবিচ্ছেদ্য অধিকার সমুন্নত রাখা।’

ইসরাইলের ১৫ মাসের সামরিক আগ্রাসনে সাজানো-গোছানো গাজা এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপ। গত মাসে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে এক যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা। নিজেদের মাতৃভূমিকে নতুন করে গড়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা।

কিন্তু ফিলিস্তিনিদের সেই স্বপ্নপূরণে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। অধিকৃত গাজাকে এবার পুরোপুরি দখলের পায়তারা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার কর্মকর্তারা বলছেন, গাজা দখল করে পুনর্নির্মাণ করবে যুক্তরাষ্ট্র। আর গাজাবাসীকে জর্ডান ও মিশরের মতো দেশগুলোতে পুনর্বাসন করা হবে।

জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর হোয়াইট হাউস সফরকালে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু বাদশাহ তা মানতে রাজি হননি। বলেছেন, তার দেশ ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে সায় দেবে না। বরং ফিলিস্তিনিদের না সরিয়েই গাজাকে নতুন করে সাজানো যেতে পারে।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর ও আনাদোলু এজেন্সি

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: পরর ষ ট র মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ও সংস্কারে মার্কিন অব্যাহত সহায়তা কামনা প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ও সংস্কারে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহায়তা কামনা করেছেন। মঙ্গলবার ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসনের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ সহায়তা চেয়েছেন। খবর বাসসের।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এবং বিশ্বব্যাপী ইউএসএআইডির কাজ স্থগিত করার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডা, রোহিঙ্গা সংকট, অভিবাসন ও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস একটি ঐকমত্য কমিশন গঠন এবং এর তত্ত্বাবধানে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করার জন্য তার সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সংস্কারগুলোর বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর রাজনৈতিক দলগুলো সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জ্যাকবসন জোর দিয়ে বলেছেন, নতুন সরকারের অধীন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া উচিত। তিনি সম্প্রতি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ সম্পর্কেও প্রধান উপদেষ্টাকে জিজ্ঞাসা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি বাংলাদেশি সমাজে পুনর্মিলনের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিশোধের চক্র ভেঙে দেশে শান্তি ও সম্প্রীতির ভিত্তি তৈরি করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা সবাই এই দেশের সন্তান। তাই আমাদের মধ্যে প্রতিশোধের কোনো স্থান থাকা উচিত নয়।’ তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে তাদের অভিযানের সময় যেকোনো মূল্যে মানবাধিকার বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখ রোহিঙ্গার মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য মার্কিন প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মার্কিন সহায়তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত স্বাস্থ্য গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবির জীবন রক্ষাকারী প্রচেষ্টাসহ বাংলাদেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে সহায়তা স্থগিত করার মার্কিন সিদ্ধান্তের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশ ও হাইতির মতো দেশগুলোয় ডায়রিয়া ও কলেরাজনিত মৃত্যু প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনার ক্ষেত্রে আইসিডিডিআরবির ভূমিকা তুলে ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ইউএসএআইডির ক্ষেত্রে যা–ই ঘটুক না কেন, পুনর্গঠন, সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশের মার্কিন সহায়তা প্রয়োজন। তিনি বলেন, এটা এখন বন্ধ করার সময় নয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কোনো সংস্কৃতি অন্যের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়: ফারুকী
  • অর্থবহ সংলাপের বিকল্প নেই
  • বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি বিশ্বব্যাংকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত
  • গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ও সংস্কারে মার্কিন অব্যাহত সহায়তা কামনা প্রধান উপদেষ্টার
  • যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমে বিশ্বব্যাংকের সমর্থন
  • ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক ১৫ ফেব্রুয়ারি 
  • ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক ১৫ ফেব্রুয়ারি
  • জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক ১৫ ফেব্রুয়ারি