ঢাবির জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগে তালা
Published: 12th, February 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের অব্যহতি দেওয়া চেয়ারম্যান ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমকে স্বপদে পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিভাগের কক্ষগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষকদের কক্ষ, অফিসসহ সব কক্ষে তালাবদ্ধ।
এছাড়া, দরজায় পোস্টার সেঁটে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পোস্টারে লেখা, ‘জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড.
জানা গেছে, বুধবার জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সব ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সম্মতিক্রমে পূর্ববর্তী কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তালা লাগিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে প্রফেশনাল মাস্টার্সে পরীক্ষা ছাড়া ছাত্রলীগ কর্মীকে ভর্তির অভিযোগে এনে তাকে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অপসারণ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগের এক শিক্ষার্থী রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “এ অভিযোগের প্রতিবাদে গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিভাগের ৯০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষরসহ উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। পরে প্রশাসন থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী সিদ্ধান্ত জানানো হবে। কিন্তু এখনো কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।”
চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল বলেন, “মীমাংসিত একটি বিষয় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পুনরায় সামনে আনা হয়েছে। চেয়ারম্যানকে পুনর্বহাল না করা অবধি আন্দোলন চলবে। আগামী রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি আমরা। পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত না আসলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
ঢাবি প্রশাসন থেকে কোন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কমপ্লিট শাটডাউন (সকল প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম) কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে নয়’
‘আমাকে বিনা বিচারে জেলে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গেই আমার সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে নয়। সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। ঈসা অভিযোগ করেন আমি নাকি তার বাচ্চা নষ্ট করে ফেলেছি। এটা মোটেও সত্য নয়।’ আদালতে এসব কথা বলেছেন মডেল মেঘনা আলম।
বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন।
‘সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলার’ অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় আজ মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। একই মামলায় তাঁর কথিত সহযোগী সানজানা ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. দেওয়ান সমিরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
শুনানিতে প্রসিকিউটর বলেন, ‘এই আসামিরা অভিনব কৌশল অবলম্বন করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতসহ অ্যাম্বাসিগুলোতে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের হানি ট্র্যাপে ফেলে বিপুল অর্থ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য চক্র দাঁড় করিয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতারণা করে আসছেন। সবশেষ সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। তাঁর কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।’
এ সময় মেঘনা আলমকে ‘মেঘলা’ আলম সম্বোধন করায় শুনানির এক পর্যায়ে আসামি মেঘনা তাঁর নাম ঠিকভাবে উচ্চারণ করতে আইনজীবীকে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘আমার নাম মেঘনা আলম, মেঘলা নয়।’
এদিকে দেওয়ান সমির আদালতকে বলেন, ‘আমাকে মেঘনা আলমের বয়ফ্রেন্ড বলা হচ্ছে। এটা ভুল তথ্য। তাঁর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি সাধারণ একজন মানুষ। দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। আমি মামলার এসব ঘটনার কিছুই জানি না।’
এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার দেখান। একইসঙ্গে দেওয়ান সমিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে এজলাস থেকে হাজতখানায় যাওয়ার পথে মেঘনা আলম বলেন, ‘একমাত্র ঈসার সঙ্গে আমার সম্পর্ক, আর কারও সঙ্গে সম্পর্ক নেই। আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না।’
এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। কথা বলতে নিষেধ করেন।