টেলিপোর্টেশন প্রযুক্তিতে বড় ধরনের সাফল্য পেয়েছেন অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা
Published: 12th, February 2025 GMT
কোনো মানুষ বা কোনো বস্তুকে তাৎক্ষণিকভাবে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্থানান্তর করার ক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তিকে টেলিপোর্টেশন বলা হয়ে থাকে। এ প্রযুক্তিসুবিধা এখনো আবিষ্কার না হলেও সিনেমায় দেখা যায়, বিশেষ কোনো যন্ত্র ব্যবহার করে মানুষ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলে যাচ্ছে। কল্পবিজ্ঞানের অনেক বইয়েও এ ধরনের নানা ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। আর তাই তো দীর্ঘদিন থেকেই বিজ্ঞানীরা টেলিপোর্টেশন প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ করছেন। এবার যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা টেলিপোর্টেশন প্রযুক্তিতে বড় ধরনের সাফল্য পেয়েছেন। অবশ্য মানুষ না তথ্য টেলিপোর্ট করেছেন তাঁরা। বিজ্ঞানীদের দাবি, কোয়ান্টাম কম্পিউটারের মধ্যে ডেটা বিমিং করে টেলিপোর্টেশন প্রযুক্তিতে বড় ধরনের অগ্রগতি অর্জন করা গেছে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, লজিক গেট কম্পিউটার অ্যালগরিদমের মৌলিক উপাদান। ৬ ফুট দূরত্বের দুটি কোয়ান্টাম প্রসেসরের মধ্যে এই টেলিপোর্ট পরীক্ষায় সাফল্য মিলেছে। পরীক্ষার অংশ হিসেবে আলোর কণা যা ফোটন নামে পরিচিত, তা ব্যবহার করে দুটি আলাদা যন্ত্রের মধ্যে কোয়ান্টাম লিংক তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। এই টেলিপোর্টের মাধ্যমে দুটি প্রসেসর তাদের কম্পিউটিং কাজ সম্পূর্ণ করতে একই অ্যালগরিদম ভাগ করে দূর থেকে কাজ করতে সক্ষম হয়েছে। এ অগ্রগতি স্কেলেবিলিটি বা পরিমাপ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করতে পারে। স্কেলেবিলিটি সমস্যা কোয়ান্টাম কম্পিউটার দুনিয়ায় বেশ আলোচিত। কোয়ান্টাম কম্পিউটারে যখন তথ্য বা কাজের মাত্রা বাড়তে থাকে, তখন গুণগত মানে পরিবর্তন দেখা যায়।
ক্রিপ্টোগ্রাফি, অপটিমাইজেশন এবং বড় ডেটা সেট অনুসন্ধানের মতো নির্দিষ্ট কাজের জন্য কোয়ান্টাম কম্পিউটিং বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নতুন এ গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা ছোট যন্ত্রের মধ্যে তথ্য স্থানান্তর করার সুযোগ তৈরি করেছেন। এ আবিষ্কারের মাধ্যমে যেকোনো কোয়ান্টাম ডিভাইস লাখ লাখ কিউবিট তথ্য প্রক্রিয়া করতে পারবে।
২০২৩ সালে বিজ্ঞানীরা আলো ব্যবহার করে একটি ছবি টেলিপোর্ট করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, এবারই প্রথম দীর্ঘ দূরত্বে টেলিপোর্টেশন করা গেছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী ডুগাল মেইন বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় দূরবর্তী সিস্টেমের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া তৈরি করতে কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন ব্যবহার করেছি। নতুন এই অগ্রগতি কোয়ান্টাম ইন্টারনেটের ভিত্তি স্থাপন করতে পারে।’
সূত্র: ডেইলি মেইল
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ধরন র
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ৫ নারী আহত
সোনারগাঁয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৫ জন নারী আহত হয়েছেন। বুধবার সকালে বারদী ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এসময় বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনা উভয় পক্ষ সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের আব্দুল বারেকের সাথে পার্শ্ববর্তী ইয়ানুছ মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে ৮ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে তাদের মধ্যে আদালতে মামলা মোকদ্দমা চলছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে আব্দুল বারেকের লোকজন ওই জমিতে টিনের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে যায়। এক পর্যায়ে ইয়ানুছের নেতৃত্বে আব্দুল হালিম, আলী আজগর, রাসেল, আসিফসহ ২০-২৫জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র দা, টেঁটা, বল্লম, লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল নিয়ে হামলা করে।
এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আব্দুল বারেকের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে ইয়ানুছের লোকজন। সংঘর্ষে বারেক পক্ষের হোসনে আরা, রুনা আক্তার ও হাবিজা বেগম ও ইয়ানুছ পক্ষের সূর্য্যবান বিবি, পারভীন বেগম আহত হয়। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় আব্দুল বারেক পক্ষের তার ছেলে আমির হোসেন ও ইয়ানুছ পক্ষের ইয়ানুছ মিয়া বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা অভিযোগের বাদি মো. আমির হোসেন বলেন, ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ৮ শতাংশ জমি ভোগ দখল করে আসছি। হঠাৎ ইয়ানুছ ও তার লোকজন ওই জমি দাবি করে। ওই জমি নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠকের আয়োজন করা হলেও তারা উপস্থিত হন না। গতকাল বুধবার সকালে টিনের সীমানা প্রাচীর দিতে গেলে অতর্কিত হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসময় তাদের তিনজন নারী আহত হন।
ইয়ানুছ মিয়ার দাবি, আমাদের জমি তারা দীর্ঘদিন ধরে দখলে রেখেছেন। আমাদের এ জমির পক্ষে দলিল পত্র রয়েছে। তারা জোরপূর্বক দখলে রাখতে চাইছে। জমিতে টিনের বেড়া দিতে আসলে আমরা বাধা দিয়েছি। এ ঘটনায় তাদের দুই নারী আহত হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, হামলা ভাংচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।