জীবন খুব ছোট তাই অহংকার করা মোটেই ঠিক নয়: বুবলী
Published: 12th, February 2025 GMT
চিত্রনায়িকা বুবলী এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব। পাশাপাশি গৌতম সাহার কোরিওগ্রাফিতে নিয়মিত কাজ করছেন, সেই কাজের রিলস ও স্থিরচিত্র নিয়মিতই ফেসবুকে পোস্ট করছেন। ফলে সিনেমার চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই তার উপস্থিতি বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে নানা প্রসঙ্গে কথা বলেন বুবলী। সেখানে বুবলী বলেন, আমারদের জীবন খুব ছোট তাই অহংকার করা মোটেই ঠিক নয়। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় মানুষের আচার-আচরণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তো মানুষ, শেষ পর্যন্ত আমাদের মাটিতেই মিশে যেতে হবে। তাই আমাদের উচিত এমন কাজ বা আচরণ না করা যাতে অন্যরা কষ্ট পায়।’
এরপর বুবলী আরো বলেন, ‘আমরা সবাই নিজেদের মতো। কিন্তু আমরা কোথায় যেন ইদানিং প্রশংসা করা ভুলে যাচ্ছি। মানুষের প্রশংসা করাও ভালো আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ।’
ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভালোবাসা মানে আমার কাছে বিশ্বাস, সম্মান আর বন্ধুত্ব। সেটি যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রেই হোক। বাবা-মা, ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী যে কারও ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ভালোবাসা দিবস আলাদা করে পালন করলেও আমার মনে হয়, কাছের মানুষদের জন্য প্রতিদিন ভালোবাসার দিন।
আর আমার কাছের যারা, পরিবারের যারা, তাদের তো ভালোবাসিই। তবে আমার স্পেশাল ভালোবাসা শুধু সন্তানের জন্য।’
এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে বুবলীর দুই সিনেমা ‘জংলি’ ও ‘পিনিক’। সিনেমা দুটিতে তার বিপরীতে রয়েছেন সিয়াম আহমেদ ও আদর আজাদ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
একই ফ্যাসিবাদী আচরণ, একইভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের অন্যায্য ব্যবহার: উমামা ফাতেমা
দেশে একই ফ্যাসিবাদী আচরণ, একইভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের অন্যায্য ব্যবহার হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের পলিসিগুলোই ভিন্নভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন উমামা ফাতেমা। তিনি বলেন, ‘নতুন করে কালচারাল বাইনারি তৈরির চেষ্টা চলছে। এই কাজ আওয়ামী লীগ অনেক সফলভাবে করেছিল। মতাদর্শের সব গ্রে এরিয়াকে মোছার চেষ্টা হতো পপুলিজমের চাপে। হাসিনা যে একটা গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পতিত হবে সেটা অনেকেই টের পাচ্ছিল। কারণ, হাসিনা কালচারাল বাইনারির ওপর ভর করে তার শাসনব্যবস্থাকে আর জায়েজ করতে সক্ষম হচ্ছিল না। তবে হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে এই সাংস্কৃতিক মেরুকরণের অনেক উগ্র প্রকাশ বিনা বাধায় ডালপালা মেলার সুযোগ পাচ্ছে। জুলাই অভ্যুত্থান সফল হয়েছিল কারণ, আওয়ামী ব্যবস্থাগত নিপীড়ন সব সাংস্কৃতিক ব্যবধান মুছে ফেলেছিল।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সমালোচনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র বলেন, ‘রাষ্ট্রের কাজ তো ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থান–পরবর্তী সরকার দেশের মধ্যকার সাংস্কৃতিক বিভক্তিকে রাজনীতিকরণের সুযোগ করে দিচ্ছে যা আওয়ামী লীগের ফিরে আসার জমিন তৈরি করবে। আমাদের ভাই-ব্রাদাররা ভয় পায় লীগ ফেরত আসবে, আওয়ামী লীগ কি প্রক্রিয়ায় ফিরে আসবে তা নিয়ে বিশ্লেষণে ব্যস্ত। ধানমণ্ডি ৩২ ভাঙার পরবর্তী সময়ে দেশের জঘন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উলঙ্গ প্রকাশ ঘটেছে। আওয়ামী লীগকে কাগজে–কলমে নিষিদ্ধের মাধ্যমে কখনোই নিষিদ্ধ করা সম্ভব না। যদি না আওয়ামী লীগের তৈরি করে সাংস্কৃতিক বিভাজন, আওয়ামী লীগের তৈরি করা রাজনৈতিক বিভাজনকে প্রশ্ন না করা যায়।’
উমামা ফাতেমা আরও বলেন, ‘খুব দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়। আওয়ামী লীগের পলিসিগুলোই জাস্ট ভিন্নভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। একই ফ্যাসিবাদী আচরণ, একইভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের অন্যায্য ব্যবহার। আমাদের শহীদেরা নিশ্চয়ই একটা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে জীবন দিয়েছিলেন। নব্বইয়ের অভ্যুত্থানের নির্লজ্জ পুনরাবৃত্তির জন্য জীবন দেননি।’
আরও পড়ুন‘মবে’র মহড়া এখন থেকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করব: উপদেষ্টা মাহফুজ আলম২ ঘণ্টা আগে