বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে একটি পুকুর থেকে আগ্নেয়াস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।

এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের তথ্যমতে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনার সময়, অভিযানের টের পেয়ে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্যাগভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র পুকুরের কচুরিপানার মধ্যে ফেলে যায়।

এয়ারপোর্ট থানার ওসি মো.

জাকির শিকদার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে পাঁচটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো সচল এবং দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। ধারণা করা হচ্ছে, অভিযানের সময় আতঙ্কিত হয়ে অস্ত্রধারীরা এগুলো ফেলে পালিয়েছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

গুমের শিকার মানুষদের মুক্তি অভ্যুত্থানের বড় প্রাপ্তি: মাহফুজ আলম

গুমের শিকার মানুষদের মুক্তি অভ্যুত্থানের বড় প্রাপ্তিগুলোর একটি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ বুধবার ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন শেষে নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, নৃশংস! এটাই আমাদের দেখা সবচেয়ে ভয়ংকর আয়নাঘর। তিন ফুট বাই এক ফুটের সেল। দুই বিঘত জায়গায় টয়লেট। বাকি দুই ফুটে হাঁটু মুড়ে বসে থাকার জায়গা। আমার মনে হয় জুলাই অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তিগুলোর একটি হলো গুমের শিকার মানুষদের মুক্তি। বাংলাদেশে যেন আর কখনো গুমের মতো মানবতাবিরোধী কিছু না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা সরকার গঠনের মাত্র ১৯ দিনের মাথায় গুম কমিশন গঠন করেছি, যারা দিনরাত কাজ করে নৃশংসতার বিবরণগুলো ডকুমেন্ট করেছেন। ২১ দিনের মাথায় আন্তর্জাতিক গুমবিরোধী কনভেনশনে সই করেছি। আজকে মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববাসী দেখবেন হাসিনার নৃশংসতার কিছু নমুনা। আরও শ শ নমুনা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে।

মাহফুজ আলম বলেন, গত ৬ মাস গুম কমিশন গুমের ভিক্টিমদের সাক্ষ্য নিয়ে, তদন্ত করে গুমের স্থান, কাল ও সত্যতা নিরূপণ করেছেন। সে সূত্রে আইসিটি ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। বিচারের কাজও শুরু হয়েছে। গুমের শিকার প্রতিটা মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা গণঅভ্যুত্থানের সরকারের অঙ্গীকার।

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয় উপদেষ্টা আজ বুধবার ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করেছেন। রাজধানীর তিনটি এলাকায় র‌্যাব ও ডিজিএফআইয়ের এসব গোপন বন্দীশালা পরিদর্শনের সময় সঙ্গে ছিল কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিনিধি। পরিদর্শন শেষে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট দেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ