বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে একটি পুকুর থেকে আগ্নেয়াস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।

এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের তথ্যমতে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনার সময়, অভিযানের টের পেয়ে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্যাগভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র পুকুরের কচুরিপানার মধ্যে ফেলে যায়।

এয়ারপোর্ট থানার ওসি মো.

জাকির শিকদার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে পাঁচটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো সচল এবং দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। ধারণা করা হচ্ছে, অভিযানের সময় আতঙ্কিত হয়ে অস্ত্রধারীরা এগুলো ফেলে পালিয়েছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কাশেমের মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে গাজীপুর, রাতেই মশাল মিছিল

গাজীপুরে হামলায় আহত শিক্ষার্থী আবুল কাশেমের মৃত্যুর খবরে ক্ষোভে ফুঁসছে গাজীপপুর। এর প্রতিবাদে বুধবার রাতেই গাজীপুরের শিববাড়ি মোড় থেকে ডিসি অফিস পর্যন্ত মশাল মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা এসেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাজীপুর শাখার আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মুহন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

একই সময়ে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে আবুল কাশেমের দুটি জানাজা হবে।  সাড়ে ১০টায় রাজবাড়ী মাঠে প্রথম এবং বেলা সাড়ে ১১টায় মহানগরীর বোর্ড বাজার-সংলগ্ন আল-হেরা সিএনজি পাম্প মাঠে আবুল কাশেমের দ্বিতীয় জানাজা হবে। সেখানে থেকে পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে। 

আরো পড়ুন:

ফরিদপুরে অটোবাইকে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২

ধামরাইয়ের সড়কে ঝরল প্রাণ

আবুল কাশেমকে শহীদ বর্ণনা করে আব্দুল্লাহ বলেন, গাজীপুরের শহীদ কাশেমকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা হত্যা করেছে। এর প্রতিবাদে আজ (বুধবার) রাতেই গাজীপুরের শিববাড়ি মোড় থেকে ডিসি অফিস পর্যন্ত মশাল ও বিক্ষোভ মিছিল হবে। 

আবুল কাশেম (১৭) গাজীপুর মহানগরীর দক্ষিণ কলমেশ্বর এলাকার জামান হাজীর ছেলে। বুধবার বেলা ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাজীপুরে ক্ষোভ দেখা যায়। আবুল কাশেমের এই মৃত্যু কোনোভাবে মেনে নিতে পারছে না তার পরিবার। 

গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুর মহানগরীর ধীরাশ্রম দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে গেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলা হয়। তাদের আটকে রেখে মারধর করা হয়। এতে আহত হন ২০ জন শিক্ষার্থী, যার মধ্যে গুরুতর জখম হন আবুল কাশেম। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

এ ঘটনার পরদিন শনিবার আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় ২৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলার প্রধান আসামি আমজাদ হোসেন মোল্লা, যিনি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী।

ঢাকা/রেজাউল/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ