ধর্মীয় মর্যাদায় বৌদ্ধদের গুরু দেবতিষ্য লুরির শেষকৃত্য
Published: 12th, February 2025 GMT
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় জামজমকপূর্ণ ও ধর্মীয় আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ মহাযান বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের সংঘরাজ দেবতিষ্য লুরিকে চিরবিদায় জানানো হয়েছে। দিনব্যাপী ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা, ঐতিহ্যবাহী গাড়ি টানাটানিসহ নানা আয়োজন চলে। পরে চেঙ্গী নদীতে বানানো রথে শেষকৃত্য করা হয় এই সংঘরাজের।
সংঘরাজ দেবতিষ্য লুরির মরদেহ গাড়িতে (রথ) চড়িয়ে চিরবিদায় জানান উপাসক-উপাসিকারা। শেষকৃত্য অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে চলে বুদ্ধ মুর্তিদান সংঘদান, অষ্ট পরিখার দান, বৌদ্ধ ভিক্ষু ও লুরিদের পিন্ডদানসহ নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠনিকতা। পরে চলে ঐতিহ্যবাহী গাড়ি টানাটানি।
চাকমা সমাজে যারা বড় ধর্মীয় গুরু বা বিশেষ ব্যক্তিকে স্মরণে রাখা বা তাকে সম্মানের সঙ্গে চিরবিদায় দেয়ার জন্য এই গাড়ি টানা অনুষ্ঠান করা হয়। এটি চাকমা সমাজের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান। এই সংঘরাজের শেষকৃত্য ও গাড়ি টানাটানি উপলক্ষে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দীঘিনালার ১নং নোয়াপাড়া এলাকায় মাঠে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটে।
দেবতিষ্য লুরির অন্ত্যেষ্ট্রিক্রিয়া অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক আনন্দ মোহন চাকমা জানান, চাকমাদের ধর্মীয় গুরু লুরি সংঘরাজকে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় বিদায় দেয়ার জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দেবতিষ্য লুরি ছিলেন নোয়াপাড়া মহাযান রাউলি বৌদ্ধ বিহারের বিহারধ্যাক্ষ লুরি সংঘের প্রধান। তিনি ২০০৯ সালে মে মাসের ২ তারিখে প্রব্যাজ্জ গ্রহণ করেন ও ২০২৪ সালের ২১ ডিসেম্বর মারা যান। তার মৃত্যুরপর মরদেহ এতদিন সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল।
বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের যে দুটি ধারা আছে, তার একটি মহাযান ও অন্যটি থেরবাদী। মহাযান পুরোহিতদের বলা হয় রাউলি, থর বা লুরি। আর থেরবাদীদের ভিক্ষু বা ভান্তে। পার্বত্য চট্টগ্রামে একসময় লুরিদের বেশি দেখা মিললেও কালক্রমে তাদের সংখ্যা কমে গেছে। বর্তমানে দীঘিনালা এলাকায় তাদের বেশি দেখা যায়।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে নজরুল ইসলাম খান বললেন, গণতন্ত্র এখনো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়নি
ছবি: প্রথম আলো