কৃষি গুচ্ছের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু ১৫ ফেব্রুয়ারি
Published: 12th, February 2025 GMT
দেশের কৃষি গুচ্ছভুক্ত নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আবেদন শুরু হবে এবং চলবে ১৬ মার্চ পর্যন্ত। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা । আগামী ১২ এপ্রিল এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এবার কৃষিগুচ্ছের নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ৩ হাজার ৮৬৩টি। গত বছরের তুলনায় আসন বেড়েছে ১৪৫টি। গত বছর আসন সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭১৮টি। এবার কৃষি গুচ্ছের দায়িত্বে থাকবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বাকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, বাকৃবির রেজিস্ট্রার ও কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ড.
আসন বণ্টন: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এক হাজার ১১৬টি, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৪৩৫টি, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৭০৫টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৪২৩টি, চট্টগ্রাম ভেটেনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় ২৭৫টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৫৮০টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১৫০টি, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৯৯টি ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০টি আসন রয়েছে।
আবেদনের যোগ্যতা: ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ২০২০/২০২১/২০২২ সালে এসএসসি/সমমান এবং ২০২৩/২০২৪ সালে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় যারা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সহ উত্তীর্ণ হয়েছেন, কেবল তারাই আবেদন করতে পারবেন। ২০২৩ সালে এসএসসি/সমমান মানোন্নয়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনকারীর এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উভয় ক্ষেত্রে প্রতিটির চতুর্থ বিষয় ছাড়া ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ এবং সর্বমোট জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে।
‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেল পাসকৃত প্রার্থীর ক্ষেত্রে ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায় অন্তত পাঁচটি বিষয়ে এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় বিজ্ঞানের অন্তত দুইটি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় পরীক্ষায় প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ এবং সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রেডের জন্য যথাক্রমে ৫.০০ ও ৪.০০ জিপিএ গণনা করা হবে।
শুধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এবং প্রকৃত উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/পার্বত্য অঞ্চলের অ-উপজাতি প্রার্থীরা উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/পার্বত্য অঞ্চলের অ-উপজাতি কোটায় আবেদন করতে পারবে।
কোটায় আবেদনের ক্ষেত্রে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটার প্রার্থীদের পিতা-মাতার অনুকূলে সরকার কর্তৃক স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্রের সফটকপি এবং (উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/পার্বত্য অঞ্চলের অ-উপজাতি প্রার্থীদের স্ব-স্ব জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত জেলার স্থায়ী বাসিন্দা সম্পর্কিত প্রত্যয়নপত্রের সফটকপি অনলাইনে আপলোড করতে হবে।
নম্বর বন্টন ও পরীক্ষা: ২০২৪ সালের এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী ইংরেজিতে ১০, প্রাণিবিজ্ঞানে ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, রসায়নে ২০ এবং গণিতে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর প্রদান করা হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হবে কৃষি গুচ্ছে।
আগামী ১২ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষা কেন্দ্র: সারা দেশে কৃষিগুচ্ছের পরীক্ষা কেন্দ্র নয়টি। এর মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এ কেন্দ্রগুলোতে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ফলাফল: মোট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সঙ্গে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে ২৫ এবং এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে ২৫ নম্বর যোগ করে ফলাফল প্রস্তুত করে মেধা ও অপেক্ষমান তালিকা তৈরি করা হবে।
ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য https://acas.edu.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। ওয়েবসাইটের ভর্তি নির্দেশিকা অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
ঢাকা/লিখন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ র উপজ ত
এছাড়াও পড়ুন:
গাজা পুনর্গঠনে ৫৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ লাগবে: জাতিসংঘ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ধ্বংসযজ্ঞ কাটিয়ে ওঠা ও পুনর্গঠনের জন্য ৫৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থের প্রয়োজন পড়বে বলে অনুমান করেছে জাতিসংঘ। এই অর্থের মধ্যে প্রথম তিন বছরেই ২০ বিলিয়ন ডলার লাগবে।
তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এই হিসাব উঠে এসেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “গাজা উপত্যকায় স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনের চাহিদা ৫৩.১৪২ বিলিয়ন ডলার অনুমান করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম তিন বছরে স্বল্পমেয়াদি চাহিদা প্রায় ২০.৫৬৮ বিলিয়ন ডলার বলে অনুমান করা হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
গাজা উপত্যকা দখল করবে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
গাজা খালি করার ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখান ফিলিস্তিন-মিশর-জর্ডানের
সংঘাতের ভয়াবহ অর্থনৈতিক ও মানবিক ক্ষতির কথা তুলে ধরে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালে গাজার অর্থনীতি ৮৩ শতাংশ ভেঙে পড়েছে, বেকারত্ব ৮০ শতাংশে পৌঁছেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ২০২৪ সালে দারিদ্র্যতা বেড়ে ৭৪.৩ শতাংশ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা ২০২৩ সালের শেষে ৩৮.৮ শতাংশ ছিল।”
জাতিসংঘের মহাসচিব জোর দিয়ে বলেন, “যুদ্ধবিধ্বস্তা গাজা উপত্যকায় তাৎক্ষণিক মানবিক চাহিদা পূরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি বলেন, “তাৎক্ষণিক এবং স্বল্পমেয়াদি উদ্যোগ হিসেবে, মানবিক সংকটের তীব্র মাত্রা মোকাবিলা করার জন্য জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা প্রদানের ওপর অব্যাহত মনোযোগ প্রয়োজন।”
প্রতিবেদনে দুটি মূল অগ্রাধিকারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে - শক্তিশালী বেসামরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং সাহায্যের নিরাপদ ও বাধাহীন অ্যাকসেস নিশ্চিত করা।
প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, “গাজায় বেশিরভাগ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি, প্রায় ১০ লাখ ১৩ হাজার মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র বা তাঁবুতে রয়েছে, যা পর্যাপ্ত সুরক্ষা প্রদান করে না। স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলো খুবই অপর্যাপ্ত।”
প্রতিবেদনে ডিসেম্বর ও জানুয়ারির শুরুতে হাইপোথার্মিয়ার কারণে গাজায় কমপক্ষে আট শিশুর মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে এবং গাজায় পূর্ণাঙ্গ শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা প্রস্তুত করার জন্য আরো শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছেন গুতেরেস।
তিনি বলেন, “রাজনৈতিক, প্রাতিষ্ঠানিক এবং অর্থনৈতিক সংস্কারেরও প্রয়োজন হবে, তবে সেগুলো অর্জনযোগ্য এবং যথাযথভাবে অর্থায়ন করা উচিত।”
জাতিসংঘের প্রধান জোর দিয়ে আরো বলেন, “গাজাকে অবশ্যই একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে থাকতে হবে, এর ভূখণ্ডে কোনো ধরনের দখলদারিত্ব ছাড়াই। অধিকৃত পশ্চিম তীরের সঙ্গে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ঐক্য বজায় রাখতে হবে।”
ঢাকা/ফিরোজ