লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে বাধার মুখে পড়েছে প্রশাসন। সেখানে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ দুই ম্যাজিস্ট্রেটকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বুকশুলা এলাকায় এমজেএ ব্রিকস-২-এ ঘটনাটি ঘটে। 

জানা গেছে, ইটভাটার মালিক জেলা বিএনপির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম। তিনি উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান। অভিযান চলাকালে তিনি বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারলেও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার এস এম শাফায়াত আখতার নুর, রাকিবুল ইসলাম এবং জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক গোলাম আসিফ রহমান। 
অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার কালীগঞ্জে অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় একটি ইটভাটাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দ্বিতীয় অভিযানে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলমের এমজেএ ব্রিকস-২-এ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাইলে নেতার লোকজন ভ্রাম্যমাণ আদালতকে গালাগাল করেন। এক পর্যায়ে পরিবেশ কর্মকর্তা ও দুই ম্যাজিস্ট্রেটকে অবরুদ্ধ করা হয়। 

এ বিষয়ে কালীগঞ্জের ইউএনও সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, সারাদেশে অবৈধ ইটভাটা বন্ধের অভিযান চলছে। এর ধারাবাহিকতায় উপজেলায় ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে জরিমানাও করা হয়েছে। এমজেএ ব্রিকস-২-এর শুরু থেকে কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। সেখানে অভিযানে গেলে প্রথমে বাধা দেওয়া হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্টদের অবরুদ্ধ করা হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে এমজেএ ব্রিকস-২-এর মালিক উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ অবর দ ধ উপজ ল ব এনপ ইটভ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের লোকসভায় অবৈধ অভিবাসনবিরোধী বিল উত্থাপন

ভারতের লোকসভায় অভিবাসন ও বিদেশি বিল-২০২৫ উত্থাপন করল কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার উত্থাপিত এই বিলে জাতীয় নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টির জন্য কঠোর শাস্তি আরোপ করার কথা বলা হয়েছে। অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশ করলে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৫ লাখ রুপি অর্থদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।

বিলে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ভারতের অখণ্ডতার জন্য হুমকিস্বরূপ কোনো বিদেশিকে প্রবেশ বা থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না। অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা ইমিগ্রেশন অফিসারদের থাকবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও নার্সিং হোমের মতো প্রতিষ্ঠানে থাকা বিদেশি নাগরিকদের তথ্য অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

প্রস্তাবিত এই বিল লঙ্ঘনে কঠোর শাস্তির সুপারিশ করে বলা হয়েছে, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশ করলে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ রুপি অর্থদণ্ড করা হবে। জাল কাগজপত্র ব্যবহার করলে দুই থেকে সাত বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে এক থেকে ১০ লাখ রুপি অর্থদণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া, ভারতীয় ভিসার শর্ত লঙ্ঘন বা অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থান করলে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৩ লাখ রুপি জরিমানা করা হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাল সনদে চাকরির অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
  • ভারতের লোকসভায় অবৈধ অভিবাসনবিরোধী বিল উত্থাপন