শিশুশিল্পী হিসেবে বড় পর্দায় পা রাখেন অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। বেশ কিছু সিনেমা ও ওটিটি কন্টেন্টে কাজের সুবাদে দর্শর্কে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। এসবের মাঝে কাজ ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মাঝে মধ্যে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তবে সমালোচনায় কখনো কান দেন তিনি। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন সমালোচনা নিয়ে মাথা ঘামানোও উচিত নয়।
দিঘী বলেন, ‘সমালোচনায় কখনো কান দিই না। তবে যদি সামনে পড়ে যায়, তাহলে শোনা উচিত। মাথা ঘামানো উচিত নয়। যখন নতুন ছিলাম, তখন সমালোচনা আমাকে অনেক বেশি হিট করত। এখন কারও সমালোচনা করা ট্রেন্ডি হয়ে গেছে। কাউকে নিয়ে নেতিবাচক কথা বললে মনে করেন, তিনি অনেক বোঝেন। অনেক জানেন। অনেকে আরেকজনকে ছোট করে নিজেকে বড় মনে করেন। তাঁরা শোধরানোর জন্য সমালোচনা করেন না।’
কে ভালো চান আর কে খারাপ চান- তা এখন কিছুটা হলেও বুঝতে পারেন দিঘী। কাজের ক্ষেত্রে নিজের বাবাকে বড় সমালোচক মনে মনে অভিনেত্রী।
দিঘীর ভাষ্য, ‘আমি এটা বুঝতে পারি, কে আমার ভালো কিংবা খারাপ চান। যদি ভুল শোধরানোর কিছু থাকে, তাহলে বাসায় বাবা আছেন, যিনি আমার সবচেয়ে বড় সমালোচক, কখন কোনটা করা উচিত, তিনিই আমাকে বলে দিতে পারবেন। বাদ বাকিগুলো না কানে শুনি, না গায়ে লাগাই।’
বর্তমানে ভ্যালেন্টাইন, ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কাজ করছেন। ঈদে তার অভিনীত সিনেমা ‘জংলি’ মুক্তি পাবে। এখানে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক সিয়াম। এছাড়া নতুন কয়েকটি সিনেমা নিয়েও কথা চলছে বলেও জানান তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার মামলা
পটুয়াখালীর দুই সাংবাদিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে মির্জাগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে কামরুজ্জামান জুয়েল নিজেকে মির্জাগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক দিনকাল পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি উল্লেখ করেছেন।
আসামিরা হলেন– দৈনিক সমকালের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি মুফতী সালাহউদ্দিন, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি এম কে রানা ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী এলাকার বাসিন্দা মাসুম হাওলাদার।
গত ১৬ এপ্রিল দৈনিক সমকালে ‘চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধর বিএনপি নেতার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। একই দিন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের অনলাইনে ‘মাসে ৫০ হাজার টাকা না দিলে ব্যবসা বন্ধের হুমকি বিএনপি নেতার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মাসুম হাওলাদার তাঁর ফেসবুকে প্রতিবেদনটি শেয়ার করায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সংবাদগুলো ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এগুলো বাদীর সামাজিক ও রাজনৈতিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে।
এ ব্যাপারে মুফতী সালাহউদ্দিন ও এম কে রানা জানান, কারও মর্যাদা ক্ষুণ্ন নয়, তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদন করেছেন তারা। এমন কিছু না ঘটলে রাসেল মৃধা অভ্যন্তরীণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ার দাবি করে অভিযোগ প্রত্যাহারে কেন থানায় আবেদন করেছেন?
এদিকে মামলাটি নিয়ে পটুয়াখালীর সাংবাদিক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ এবং সাংবাদিকদের হয়রানি করতে এটি করা হয়েছে জানিয়ে দ্রুত মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে তারা।