পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ মামলা থেকে খালাস পাওয়া যুবদল নেতা আজাদ রহমান খোকন (৫২) মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তিনি শহরের কাচারিপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে তিনি মারা যান। 

খোকন কাচারীপাড়া এলাকার পিয়ার আলী মণ্ডলের ছেলে। তিনি ঈশ্বরদী পৌর যুবদলের সাবেক সদস্য এবং শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। এ মামলায় তিনি প্রায় ৫ বছর কারাভোগের পর গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্ত পান। এর পর থেকে তিনি ঈশ্বরদীতে নিজ বাড়িতে ছিলেন।

পারিবার সূত্রে জানা যায়, কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরার পর থেকে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন খোকন। 

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেনে। তিনি বলেন, জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সম্প্রতি তিনিসহ এ মামলার সব আসামিদের উচ্চ আদালত খেকে খালাস দেওয়া হয়। গতকাল মারা যাওয়া যুবদল নেতা খোকনের মরদেহ দাফন করা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন য বদল ন ত য বদল

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রলীগ নেতার লাঠির আঘাতে বিএনপিকর্মী খুন

কক্সবাজারের মহেশখালীতে তুচ্ছ ঘটনার জেরে আব্দুর রশিদ (৫০) নামে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম অমিত হাসান। তিনি স্থানীয় কালারমারছাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক।

আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

নিহত রশিদ কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তরনলবিলা এলাকার লাল মিয়ার ছেলে। দলীয় পদপদবী না থাকলেও তিনি বিএনপির কর্মী  বলে জানা গেছে।

এদিকে ঘটনার পর দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কামরুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণে করেছে পুলিশ।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত রশিদ নিজ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় একই এলাকার ছাত্রলীগ নেতা অমিত হাসানের সঙ্গে সরকার পতন ও দলীয় বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় রশিদকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন অমিত। এতে মাটিতে লুটে পড়েন রশিদ। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিতে গেলে পথেই তার মৃত্যু হয়।

নিহত রশিদের ভাতিজা জাহেদুল ইসলাম জানান, তার চাচার সঙ্গে কোনো পূর্ববিরোধ ছিল না অমিতের। তবে অভিযুক্ত অমিতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কাইছার হামিদ জানান, প্রতিপক্ষের হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়াও মূল অভিযুক্ত অমিতকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ