সৃজনশীলতার বিস্তার এবং মননশীল পাঠক তৈরিতে দেশের নবীন-প্রবীণ লেখকদের রচনা তুলে ধরতে কথাপ্রকাশ-এর যাত্রা শুরু হয় ২০০২ সালে। বাংলা সাহিত্যকে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে নানামুখী উদ্যোগ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একক উদ্যোগে ‘কথাপ্রকাশ বই উৎসব’ আয়োজন ছাড়াও, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বইমেলায় অংশ নিয়ে সুনাম অর্জন এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বীকৃতি লাভ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে দেশের স্বনামধন্য এই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী জসিম উদ্দিনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তাপস রায়। 

রাইজিংবিডি: দেশের প্রকাশনাশিল্প অনেক দূর এগিয়েছে। কথাপ্রকাশ এই যাত্রার সহযাত্রী। বিশেষ করে প্রবন্ধসাহিত্যে আপনাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা লক্ষ্য করা যায়।  এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি।  

জসিম উদ্দিন: কথাপ্রকাশ শুরু থেকেই প্রবন্ধের বইয়ের প্রতি বেশি মনোযোগ দিয়েছে, এটা সত্যি। কারণ, আমরা মনে করি, প্রবন্ধ মানুষের চিন্তা সমৃদ্ধ করে। কথাসাহিত্য বা কবিতাও তা করে, তবে সেগুলো পাঠকের উপলব্ধি যতটা তীব্র করতে পারে, চিন্তা করার সক্ষমতা ততটা হয়তো বাড়াতে পারে না। তাছাড়া প্রবন্ধ সমাজ ও ব্যক্তির মনন জাগিয়ে তুলতে সহায়ক। যে জাতি যত বেশি চিন্তা করতে পারে তারা তত উন্নত। সেই বিবেচনায় আমরা প্রবন্ধসাহিত্যে জোর দিয়েছি।

আরো পড়ুন:

সাতক্ষীরায় একুশে বইমেলা শুরু 

বইমেলায় হট্টগোল, উপদেষ্টা ফারুকীর কড়া বার্তা

রাইজিংবিডি: পাণ্ডুলিপি পড়ে বই নির্বাচন। প্রফেশনাল পাবলিশারদের একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বই প্রকাশ করতে হয়। পাণ্ডুলিপি নির্বাচনে কথাপ্রকাশ কীভাবে কাজ করে?

জসিম উদ্দিন: আমরা পাণ্ডুলিপি পড়েই বই নির্বাচন করি। কখনো নির্দিষ্ট বিষয় চিন্তা করে তারপর সেসব বিষয়ে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের অনুরোধ জানাই। যেমন এ বছর বইমেলায় কথাপ্রকাশ মনোবিশ্লেষণ নিয়ে কয়েকটি বই প্রকাশ করেছে। এই সিরিজে এ বছর ৪টি বই প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া আমরা প্রতিটি পাণ্ডুলিপি সম্পাদনা করি। এ জন্য আমাদের একটি সম্পাদনা পরিষদ আছে। কথাপ্রকাশ মনে করে, কোনো বই ভালো হয়ে উঠবার জন্য সেটি সম্পাদনা করা খুবই জরুরি। নন-ফিকশন তো বটেই, ফিকশনও সম্পাদনা করা দরকার। কথাপ্রকাশের যেকোনো বই দেখলেই সম্পাদনার বিষয়টি বুঝতে পারা যাবে।

রাইজিংবিডি: যে কথাটি খুব বেশি শোনা যায়- ‘পাঠক কমছে’। এখানে রিডিং সোসাইটি গঠনে পাবলিশারদের কী ভূমিকা থাকা উচিত বলে মনে করেন?

জসিম উদ্দিন: পাঠকের সংখ্যা কমছে- এটা অনেকেই বলেন। তবে, আমার মনে হয় বই যদি মানসম্পন্ন হয় তাহলে পাঠক তা গ্রহণ করবেন। সেজন্য সম্পাদনার বিষয়টি থাকা দরকার। পাঠক তৈরি করাও দরকার। এই দায়িত্ব যেমন লেখকের, তেমনি সম্পাদকের এবং প্রকাশকেরও। কোন ধরনের পাঠকের জন্য একটি বই লেখা হচ্ছে সেটা যেমন লেখককে ভাবতে হবে, তেমনি সম্পাদনার ক্ষেত্রে দেখতে হবে বইয়ের বিষয় অনুসারে পাঠকের চাহিদা পূরণ হচ্ছে কি না। যেমন শিশুদের বইয়ের ভাষা নিশ্চয় বড়োদের বইয়ের ভাষার মতো হবে না। একইভাবে বিষয় অনুসারে ভাষা, ইলাস্ট্রেশন, প্রচ্ছদ, এমনকি বইয়ের লেআউট বিবেচনায় নিতে হবে। বইয়ের সঙ্গে যেন পাঠকের আনন্দ যুক্ত করা যায়, সেটা ভাবা দরকার। সেক্ষেত্রে প্রকাশকের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, প্রকাশকই তো বইটা পাঠের উপযোগী করে উপস্থাপন করেন।

রাইজিংবিডি: বুক মার্কেটিং মূলত পাবলিশারের কাজ। এখানে লেখক কীভাবে সহযোগিতা করতে পারেন?

জসিম উদ্দিন: এখন তো ফেসবুকসহ অনেক রকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জয়জয়কার। প্রযুক্তি অনেক কিছু সহজ করে দিয়েছে। বইয়ের মার্কেটিং অফ লাইনের চাইতে অনলাইনে এখন অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্রকাশকরা সেসব করে থাকেন। এখানে লেখকও অংশগ্রহণ করতে পারেন। নিজের বইয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা, বন্ধু, শুভানুধ্যায়ীদের সেসব পোস্ট ট্যাগ করার মধ্য দিয়ে সহজেই কাজটি করা যায়। 

বাংলাদেশের অনেক লেখক এ বিষয়ে অগ্রসর। আবার অনেকেই মনে করেন, বুক মার্কেটিং তাঁর দায়িত্ব নয়। আমরা মনে করি, এটা লেখক-প্রকাশক উভয়েরই দায়িত্ব। কারণ হলো, একজন লেখকের হয়তো এক-দুইটা বা তিন-চারটা বই একই সময়ে প্রকাশিত হয়। কিন্তু একজন প্রকাশককে একই সঙ্গে অনেক বই প্রকাশ করতে হয়। সেগুলো প্রচারসহ নানা কাজ থাকে প্রকাশকের। তাছাড়া প্রতিটি বই প্রকাশকের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। সব বইই প্রকাশককে সমানভাবে প্রচার করতে হয়। সেক্ষেত্রে লেখক যদি নিজের বইয়ের বিজ্ঞাপন প্রচার করেন, তাহলে আরও ব্যাপক পাঠকের কাছে সংবাদটা পৌঁছে দেওয়া যায়।

রাইজিংবিডি: একটি ভালো বই অনেক সময় ‘টার্গেট অডিয়েন্সের’ কাছে পৌঁছতে পারে না। বইমেলার ভিড়ে ভালো বই হারিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য কী করা উচিত? 

জসিম উদ্দিন: ভালো বই পাঠক ঠিকই খুঁজে বের করেন বলে আমার মনে হয়। তবে প্রচার করাও খুব দরকার। ‘টার্গেট অডিয়েন্সের’ কাছে পৌঁছে দেবার জন্য বোঝা দরকার কোন বই কোন ধরনের পাঠকের জন্য প্রকাশিত হয়েছে। যিনি ফিকশনের পাঠক, তাকে নন-ফিকশন বইয়ের তালিকা পাঠালে টার্গেট অডিয়েন্স পাওয়া যাবে না। সেজন্য বইয়ের বিষয়টা প্রকাশককে আগে বুঝতে হবে। অনেক সময় প্রকাশকদেরও এই বোঝাপড়ার জায়গায় ঘাটতি থেকে যায়। সেটা দূর করা দরকার।

রাইজিংবিডি: কথাপ্রকাশ ‘শৈশবপ্রকাশ’ থেকে শিশুকিশোরদের উপযোগী বই প্রকাশ করছে। কিন্তু এ ধরনের বই প্রকাশ বরাবরই এক্সপেনসিভ। আপনি আলাদা করে শৈশবপ্রকাশের উদ্যোগ নিলেন কেন?

জসিম উদ্দিন: আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ- এই কথাটি আমরা সবাই জানি। আমরা এটা বিশ্বাস করি, ধারণ করি। সেজন্য শিশুদের বই প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছি। শিশুদের হাতে তাদের পছন্দের বই তুলে দিতে পারলে তারা মূল্যবোধ শিখবে, চিন্তা করতে পারার সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিশ্বজুড়ে শিশুদেরই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় এই কারণে যে, তারাই তো একসময় রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে শুরু করে মানুষের কল্যাণের জন্য সবকিছু করবে।

শিশুদের বই যেহেতু আকর্ষণীয় হতে হয়, রঙিন ছবি তারা পছন্দ করে, ফলে সেগুলো এক্সপেনসিভ। কিন্তু শিশুদের বই প্রকাশ করাটাকে আমি কোনো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে করিনি। শিশুরা ভালো মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে এটাই আমার চাওয়া। সে কারণে শৈশবের বইয়ের মূল্য তুলনামূলকভাবে কম। তবে শৈশবপ্রকাশ অর্থনৈতিকভাবে সফল না হলেও বইগুলো শিশুদের মানসিক বিকাশে সহায়ক হলে আমার শ্রম সার্থক হবে বলে মনে করি।

রাইজিংবিডি: সাহিত্যে নতুন আরও কী ধরনের লেখা আসা উচিত বলে মনে করছেন?

জসিম উদ্দিন: কথাপ্রকাশ যেহেতু প্রবন্ধসাহিত্যের প্রতি বেশি জোর দেয়, সেখানে নতুন নতুন বিষয় যুক্ত হতে পারে, যেগুলো পাঠকের চিন্তা উসকে দিতে পারবে। যেমন সারা বিশ্বে সাম্প্রতিক কী কী বিজ্ঞানের চর্চা হচ্ছে, দর্শন, ইতিহাস, প্রযুক্তির বিকাশ, শিল্পকলা, সংস্কৃতি ইত্যাদির নতুন নতুন দিক নিয়ে বই হতে পারে। নন-ফিকশনের ক্ষেত্রেও একই কথা। নতুন ধরনের কথাসাহিত্য রচিত হওয়া দরকার। কেবল বাংলাদেশের সাহিত্যের অনুকরণ নয়, বিশ্বসাহিত্যের নতুন কী পরিবর্তন ঘটছে সেদিকেও দৃষ্টি দেওয়া দরকার। সেজন্য নন-ফিকশন ও ফিকশনের গুরুত্বপূর্ণ বই অনুবাদ করা প্রয়োজন।

রাইজিংবিডি: অনেকেই বলেন, প্রকাশনা এখন লাভজনক নয়, অথচ প্রতি বইমেলায় আমরা দেখি প্রকাশক বাড়ছে- এটা কেন হচ্ছে বলে মনে করেন?

জসিম উদ্দিন: প্রকাশনা একটা শিল্প। বাণিজ্যও বটে। এটা অস্বীকার করা যায় না। কেননা, প্রকাশককেও তো খেয়ে-পরে বাঁচতে হয়। তবে এটাও ঠিক যে, বই প্রকাশ করে আমাদের মতো দরিদ্র দেশে টিকে থাকা খুবই কঠিন। যারা প্রকাশক হচ্ছেন তাদের সবারই হয়তো বইয়ের প্রতি একটা গোপন ভালোবাসা আছে। তা না হলে তারা কাপড়ের ব্যবসা করতে পারতেন, রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা করতে পারতেন। তা না করে বই প্রকাশ করছেন। এতে বোঝা যায় বইয়ের প্রতি গোপন প্রেম না থাকলে সেটা সম্ভব নয়।

তারা//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল বই শ শ দ র বই র বইয় র ন ফ কশন প রবন ধ র জন য স জন য ধরন র দরক র বইম ল

এছাড়াও পড়ুন:

জেনে নিন, জান্নাতি ২০ সাহাবির নাম

ইসলামের ইতিহাসে সাহাবিদের অবদান অতুলনীয়। তাঁরা ছিলেন রাসুল (সা.)-এর সবচেয়ে নিকটতম সঙ্গী, যাঁরা ইসলামের প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় অসাধারণ ত্যাগ ও নিষ্ঠা প্রদর্শন করেছিলেন।

তাঁদের মধ্যে কিছু সাহাবি জীবদ্দশায়ই রাসুল (সা.)-এর মাধ্যমে জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন। এই সাহাবিদের মধ্যে ‘আশারায়ে মুবাশশারা’ বা জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন সাহাবির নাম সহিহ হাদিসে স্পষ্ট উল্লেখ আছে।

এ ছাড়া বেশ কয়েকজন সাহাবিকে আল্লাহর রাসুল বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে জান্নাতি হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

আশারায়ে মুবাশশারা: জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ সাহাবি

‘আশারায়ে মুবাশশারা’ অর্থ সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন। এই ১০ জন সাহাবি জীবদ্দশায় রাসুল (সা.) থেকে জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন।

একটি হাদিসে সাঈদ ইবনে জায়িদ (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘১০ জন জান্নাতে যাবে: আবু বকর জান্নাতি, ওমর জান্নাতি, উসমান জান্নাতি, আলী জান্নাতি, তালহা জান্নাতি, জুবাইর ইবনুল আওয়াম জান্নাতি, আবদুর রহমান ইবনে আউফ জান্নাতি, সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস জান্নাতি, সাঈদ ইবনে জায়িদ জান্নাতি এবং আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ জান্নাতি।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৬৮০)

আরও পড়ুনতিরন্দাজ এক সাহাবী১৩ নভেম্বর ২০২৩

এই ১০ সাহাবিকে ‘আশারায়ে মুবাশশারা’ হিসেবে গণ্য করা হয়। তাঁদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় হলো—

১. আবু বকর আস-সিদ্দিক (রা.): ইসলামের প্রথম খলিফা, রাসুল (সা.)-এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী পুরুষ।

২. ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.): দ্বিতীয় খলিফা, যিনি ইসলামি রাষ্ট্রের বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

৩. উসমান ইবনে আফফান (রা.): তৃতীয় খলিফা, যিনি কোরআনের সংকলন ও প্রমিতকরণে অবদান রাখেন।

৪. আলী ইবনে আবু তালিব (রা.): চতুর্থ খলিফা, রাসুল (সা.)-এর চাচাতো ভাই ও জামাতা।

৫. তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রা.): প্রথম দিকের ইসলাম গ্রহণকারী ও বদর যুদ্ধের বীর।

৬. জুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা.): রাসুল (সা.)-এর চাচাতো ভাই ও বীর যোদ্ধা।

৭. আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.): প্রথম আটজন ইসলাম গ্রহণকারীদের একজন, দানশীলতার জন্য বিখ্যাত।

৮. সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.): কাদিসিয়া যুদ্ধের নায়ক এবং প্রথম দিকের মুসলিম।

৯. সাঈদ ইবনে জায়িদ (রা.): প্রথম দিকের মুসলিম ও সাহাবিদের মধ্যে বিশিষ্ট।

১০. আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ (রা.): ‘আমিনুল উম্মাহ’ (উম্মাহর বিশ্বস্ত) হিসেবে পরিচিত।

আরও পড়ুনমহানবী (সা.) এবং এক কুস্তিগিরের গল্প১০ এপ্রিল ২০২৫জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত অন্যান্য সাহাবি

আরও কয়েকজন সাহাবি জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছিলেন, যদিও তাঁদের নাম একত্রে এক হাদিসে উল্লেখ নেই, তবে বিভিন্ন হাদিসে পৃথকভাবে এসেছে। যেমন

১১. খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ (রা.): রাসুল (সা.)-এর প্রথম স্ত্রী। হাদিসে আছে, জিবরাইল (আ.) তাঁকে জান্নাতে মুক্তার প্রাসাদের সুসংবাদ দিয়েছেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩,৮২০)

১২. ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ (রা.): রাসুল (সা.)-এর কন্যা, যিনি জান্নাতি নারীদের সরদার হবেন। (জামে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৭৮১)

১৩. হাসান ইবনে আলী (রা.): রাসুল (সা.)-এর নাতি, জান্নাতের যুবকদের সরদার। (জামে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৭৮১)

১৪. হোসাইন ইবনে আলী (রা.): রাসুল (সা.)-এর নাতি, জান্নাতের যুবকদের সরদার। (জামে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৭৮১)

১৫. আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.): সাবেক ইহুদি পণ্ডিত, যিনি ইসলাম গ্রহণের পর জান্নাতের সুসংবাদ পান। (জামে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৮১৬)

১৬. উক্কাশা ইবনে মুহসিন (রা.): বদর যুদ্ধের সাহাবি, যিনি জান্নাতের সুসংবাদ পান। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৪)

১৭. জায়েদ ইবনে হারিসা (রা.): রাসুল (সা.)-এর পালিত পুত্র, যিনি কোরআনে যার নাম উল্লেখ আছে এবং জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন। (সুরা আহজাব, আয়াত: ৩৭)

১৮. আয়েশা বিনতে আবু বকর (রা.): রাসুল (সা.)-এর স্ত্রী, যিনি জান্নাতি নারীদের অন্যতম। (ফাতহুল বারি, ইবনে হাজার আসকালানি, পৃষ্ঠা: ৭/১২৩, দারুল মা’রিফা, ১৯৮৯)

১৯. আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.): প্রথম দিকের মুসলিম, যিনি জান্নাতের সুসংবাদ পান। (জামে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৮০০)

২০. বেলাল ইবনে রাবাহ (রা.): মুয়াজ্জিন এবং প্রথম দিকের মুসলিম, যিনি জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২,৪৫৮)

কিছু সূত্রে হজরত হোসাইন ইবনে হারিস (রা.), আউফ ইবনে উসাসা (রা.) বা ইয়াজিদ ইবনে রুকাইশ (রা.)-এর নামও উল্লেখ করা হয়, কিন্তু সহিহ হাদিসে এই নামগুলোর স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। (মান বুশশিরা বিল জান্নাহ মিন গাইরিল আশারাহ, পৃষ্ঠা: ৫৫, দারুল উলুম প্রকাশনী, ২০১৫)

আরও পড়ুনসাহসী সাহাবি হজরত যুবাইর (রা.)০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ