বিপিএল খেলে পাকিস্তান দলে আকিফ
Published: 12th, February 2025 GMT
এবার বিপিএলের অন্যতম সেরা পারফর্মার তিনি। ১১ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ২০টি। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৬.৮৯ করে। রংপুর রাইডার্সে খেলা আকিফ জাভেদ বোলিং করেছেন ম্যাচের সবচেয়ে কঠিন সময়গুলোতে। বিপিএলের এমন পারফরম্যান্সে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান জাতীয় দলে ডাক পেলেন আকিফ।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তান দলে সুযোগ পেয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। আকিফ দলে ঢুকেছেন পাকিস্তান পেসার হারিস রউফ চোট পাওয়ায়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে সাইড স্ট্রেইনের চোটে পড়েন হারিস।
চিকিৎসকেরা হারিসকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। আশা করা হচ্ছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগেই সুস্থ হয়ে উঠবেন। পাকিস্তানের সবচেয়ে দ্রুতগতির বোলারের বিশ্রামে কপাল খুলেছে আকিফের।
জাতীয় দলে প্রথমবার ডাক পেলেও আকিফ পাকিস্তান ক্রিকেটে নতুন কেউ নন। তাঁর প্রথম শ্রেণি ও লিস্ট এ ক্রিকেটে অভিষেক ২০১৯ সালে। প্রথম শ্রেণিতে ২৩ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৫২টি।
আরও পড়ুননাজমুল বললেন, চ্যাম্পিয়ন হতেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যাচ্ছেন১ ঘণ্টা আগেলিস্ট এ ক্রিকেটেও আহামরি কিছু করতে পারেননি। ৩০ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৩৩টি। পিএসএলে ৩টি মৌসুমে খেলেছেন। তবে চোখে পড়ার কিছু করতে পারেননি, সব মিলিয়ে নিয়েছেন ১৮ উইকেট।
বিপিএলে ২০ উইকেট নিয়েছেন আকিফ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট ন য় ছ ন ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবার যাত্রী নিয়ে যমুনা রেল সেতু পাড়ি দিলো ট্রেন
বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী নিয়ে যমুনা রেল সেতু প্রথমবারের মতো পাড়ি দিলো ট্রেন। এর মধ্য দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের নতুন রেল যোগাযোগ স্থাপিত হলো।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ১২ মিনিটে যমুনা রেল সেতু দিয়ে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে পাড়ি দেয়।
এই তথ্য নিশ্চিত করেন, যমুনা রেল সেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান । তিনি জানান, সেতুর দুটি লাইনের মধ্যে একটি লাইনে আজ বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালু হলো। পর্যায়ক্রমে শিডিউল অনুযায়ী বাকি ট্রেনগুলো চলবে। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে আর ট্রেন চলবে না।
তিনি আরও জানান, রেলসেতুতে দুটি লাইন থাকলেও আজ একটি লাইন দিয়েই উভয়দিকে ট্রেন চলাচল করবে। কাল ঢাকা থেকে যেতে ডান পাশের লাইন, অর্থাৎ সেতুর উত্তর পাশের লাইনটি দিয়ে ট্রেন চলবে।
১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়।
বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে ২০২০ সালের ৩ মার্চ যমুনা নদীর ওপর উজানে আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর সমান্তরালে ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করে সরকার। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর রেল সেতুরটির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২০২১ সালের মার্চে রেল সেতুর পিলার নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়।
প্রথমে প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা নির্ধারিত হলেও পরে তা ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন এসেছে দেশীয় উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকা। দেশের বৃহত্তর এ রেল সেতুর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে জাপানি কোম্পানি ওটিজি ও আইএইচআই।
রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের এ রেলসেতু ব্যবহারের জন্য ৭ দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হয়। প্রকল্পের শুরুতে এই সেতুর নাম ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত বছরের ডিসেম্বরে সেতুর নাম পাল্টে যমুনা রেল সেতু রাখা হয়।
এনজে