সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের নেতা অধ্যাপক ড. এ এফ এম সাইফুল ইসলামকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপ-উপাচার্য বানানোর চেষ্টার প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এর প্রতিবাদে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন। অধ্যাপক ড.

এ এফ এম সাইফুল ইসলাম স্বৈরাচারের দোসর সাবেক সচিব ড. নাজমানারা খানুমের স্বামী।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা এ গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেন। আগামী ২৪ ঘণ্টা এ কর্মসূচি চলমান থাকবে।

জানা যায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে রাতের ভোটের মূল কারিগর ছিলেন ড. এ এফ এম সাইফুল ইসলামের স্ত্রী ড. নাজমানারা খানুম। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থি সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের নেতা এবং ক্রপ বোটানি অ্যান্ড টি প্রোডাকশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এফ এম সাইফুল ইসলামকে যবিপ্রবির উপ-উপাচার্য বানানোর চেষ্টার খবর জানতে পেরে শিক্ষার্থীরা এ গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন।

কর্মসূচিতে যবিপ্রবির গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সুমন আলী বলেন, “তাকে উপ-উপাচার্য বানানো হলে জুলাই বিপ্লবের ২ হাজার শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে। আমরা এটা মেনে নেব না। শিক্ষার্থীদের এ গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। যাতে তিনি বুঝতে পারেন, শিক্ষার্থীরা কোন স্বৈরাচারের দোসরকে চায় না।”

শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন বলেন, “সারা দেশে যখন ‘ডেভিল হান্ট’ চলছে, তখন আমরা কোন ‘ডেভিল’কে যবিপ্রবিতে পুনর্বাসন হতে দেব না। সকল শিক্ষার্থীকে আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে সবাই এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। অন্যথায়, ডেভিলরা যবিপ্রবিতে পুনর্বাসিত হবে।”

আওয়ামী শাসনামলে ২০১২ সালে স্ত্রী ড. নাজমানারা খানুমের লবিংয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন ড. সাইফুল। তিনি আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের প্যানেল থেকে দুইবার সিকৃবির সিন্ডিকেট সদস্য (২০১৪-১৬ ও ২০২২-২৪ সাল) নির্বাচিত হন। এছাড়াও ২০১৫-১৭ সালে কৃষি অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ উপ চ র য ব ন ন

এছাড়াও পড়ুন:

উত্তরপ্রদেশের রাস্তায় প্রকাশ্যে নারীর হিজাব খুলে হেনস্থা

উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরে জোর করে এক নারীর হিজাব খুলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একইসময় ওই নারীর পাশে থাকা পুরুষ সঙ্গীকেও লাঞ্ছিত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ উৎকর্ষ স্মল ফাইন্যান্স নামে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

গতকাল সোমবার ওই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা। তবে, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতোমধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। 

ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুরুষ জোর করে নারীর হিজাব খুলে ফেলছে। অন্যরা তাকে এবং তার সঙ্গে থাকা পুরুষকে গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে।

খবরে বলা হয়েছে, মুজাফফরনগরের খালপাড় এলাকার একটি গলিতে এই ঘটনাটি ঘটে। ২০ বছর বয়সী নারী ফারহিন ও শচীন নামে এক ব্যক্তি ঋণের কিস্তি তুলতে যাচ্ছিলেন। মায়ের নির্দেশে শচীনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন ফারহিন। পথে ৮-১০ জন পুরুষের একটি দল তাদের ঘিরে ধরে। এ সময় ফারহিন ও শচীনকে লাঞ্ছিত ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে।

পুরো ঘটনাটি একজন পথচারী মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেন এবং পরে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে এবং দুজনকে নিরাপদে থানায় নিয়ে যায়। ফারহিনের অভিযোগ দায়েরের পর ভারতীয় ন্যায় সংহিতার প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

মুজাফফরনগর সিটি সার্কেল অফিসার (সিও) রাজু কুমার সাও বলেন, গত ‌১২ এপ্রিল আনুমানিক ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার দিকে ভবন এলাকার একজন হিন্দু পুরুষ ও খালপাড়ের একজন মুসলিম নারী ঋণের কিস্তি আদায় করে সুজদু থেকে ফিরছিলেন। দরজি ওয়ালি গলিতে স্থানীয় কিছু লোক তাদের থামিয়ে মারধর করেন। ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ উৎকর্ষ স্মল ফাইন্যান্স নামে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত।

সিও রাজু কুমার সাও বলেন, ভিডিও থেকে আরও লোককে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে, তারপরই গ্রেপ্তার করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ