ইতিবাচকতা এমন এক জিনিস, যা চাইলে সবচেয়ে খারাপ কিছু থেকেও বের করে ফেলা যায়। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন উদাহরণ হতে পারেন এই বিষয়ে। বিপিএলের শেষ আট ম্যাচে ফরচুন বরিশালের একাদশে জায়গা হয়নি তার। এ নিয়ে চারদিকে নানা শোরগোল—অথচ তিনি কি না এতেও ইতিবাচক কিছুই খুঁজে পেলেন!

বিপিএলের শেষদিকে নাজমুলের অনুশীলনের ঠিকানা বদলে গিয়েছিল। ফরচুন বরিশালের সঙ্গে একাডেমি মাঠ নয়, তিনি অনুশীলন করেছেন ইনডোরের মাঠে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফদের সঙ্গে। ম্যাচ না খেলার ইতিবাচক দিকটা তিনি খুঁজে পেয়েছেন এখানেই।

কীভাবে? চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে তাই ব্যাখ্যা করেছেন নাজমুল, ‘ম্যাচ খেলতে পারি নাই, এর ভেতরেও ইতিবাচক কিছু দিক ছিল। নিয়মিতই অতিরিক্ত ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছি। কীভাবে আরেকটু প্রস্তুত হতে পারি, ওখানে কোচরা সাহায্য করেছে। পাশাপাশি আমি ফিটনেসটা নিয়েও কাজ করেছি। বিপিএলের ওই সময়টা খুব ভালো প্রস্তুতি নিতে পেরেছি। আশা করছি যে যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটা ভালো যাবে।’

জাতীয় দলের অধিনায়ক হয়েও বিপিএলে নিয়মিত দলে সুযোগ পাননি নাজমুল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে কৃষকের জন্য বরাদ্দ সার বিক্রির চেষ্টা

ফরিদপুরে বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বরাদ্দ করা সরকারি সার বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ সময় স্থানীয়রা হাতেনাতে আটক করলে চেয়াম্যানের এক সহযোগী ও ভ্যানচালক সার ফেলে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও কৃষি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে ৩ বস্তা ইউরিয়া সার ও ৩ বস্তা ডিএপি সার জব্দ করে নিয়ে যায়।

সোমবার দুপুর ৩টার দিকে ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের কানাইপুর বাজারের খুচরা সার বিক্রেতা মনোরমা এন্টারপ্রাইজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই দোকানে সারগুলো বিক্রির চেষ্টা করা হয়েছিল।

স্থানীয় বাবু সরদার নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ইউনুস নামে এক ব্যক্তি ভ্যানে করে সারগুলো নিয়ে আসেন। তিনি মনোরমা এন্টারপ্রাইজের সন্টুর দোকানে বিক্রির চেষ্টা করেন। এ সময় দোকানদার সার কিনতে অস্বীকার করলে আমি গিয়ে দেখি সরকারি সার। এ সময় ইউনুস দৌড়ে পালিয়ে যান। আমি পুলিশকে খবর দিই। পরে পুলিশ ও কৃষি কর্মকর্তারা সার নিয়ে যান।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি জেলা পাট অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে কানাইপুর ইউনিয়নে ২৪০ জন কৃষকের মাঝে বিতরণের তালিকা করা হয়। সম্প্রতি বরাদ্দকৃত সার ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হয়। তবে এসব সার বিতরণ করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছুই জানেন না সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লতিফা আক্তার। 

এসব সার বিতরণের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জেলা পাট অধিদপ্তরের উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম দাবি করেন, ৬ এপ্রিল কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২৪০ জনের মধ্যে ২০০ জনের মাঝে সার বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষকের মাঝে ৬ কেজি ইউরিয়া, ৩ টিএসপি, ৩ কেজি ডিএপি সার বিতরণ করা হয়। এছাড়া বাকি ৪০ জন কৃষক না আসায় সারগুলো পরিষদে রাখা হয়। পরবর্তীতে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করার কথা রয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. আলতাভ হুসাইন বলেন, আজ বন্ধের দিন থাকায় বলা যাচ্ছে না, আমার পরিষদের সার কিনা। কারণ, চাবি রয়েছে সচিবের কাছে। পরিষদ খুললে গোডাউন দেখে বলতে পারব। 

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনকে পাঠানো হয়েছে। তারা সারগুলো জব্দ করে নিয়ে এসেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ