বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, বছরে কোটি টাকা আয় করেন, এমন ৬৭ শতাংশ মানুষ করজালের বাইরে। দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের আয় কোটি টাকার বেশি হলেও তাঁরা করজালে নেই। এমন ফাঁপা করজাল বা ক্ষুদ্র করজাল দিয়ে কর-জিডিপির অনুপাত বাড়ানো যাবে না।

আজ বুধবার প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের এক অনুষ্ঠানে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এ কথাগুলো বলেন। ২০১৮ সালের সিপিডির একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে কোটি টাকা আয় করা মানুষের করজালের বাইরে থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪ ডটকম ‘ভোক্তার কাঁধে বাড়তি করের বোঝা: উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে। গুলশানের এমসিসিআই সম্মেলনকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সম্প্রতি শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক-কর বাড়িয়ে সরকার দুর্নাম নিল বলে মন্তব্য করেন খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য থেকে গত ছয় মাসে ৮৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি আছে। আইএমএফ চাপ দিচ্ছে রাজস্ব বাড়াতে। তাই করজাল না বাড়িয়ে সরকার পরোক্ষ কর বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক বলেন, রাজস্ব বৃদ্ধি করার জন্য সরকারের অন্য কোনো বিকল্প ছিল কি না, তা দেখতে হবে। কারণ, শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক-কর বাড়ানোয় ১১ হাজার বা সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার বাড়তি রাজস্ব পাওয়া যাবে বলা হয়েছে। এতে রাজস্বের ঘাটতি তেমন একটা পূরণ হবে না।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য, ২০ থেকে ২৫ ধরে কর প্রশাসন অটোমেশন করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। সংস্কারে যেন কর প্রশাসনের কোনো আগ্রহ নেই। এখানে ব্যক্তিস্বার্থ জড়িত থাকতে পারে। নিজেদের এমন অসংগতি দূর করতে না পারলে কিংবা নিয়মের প্রতিপালন করতে না পারলে কর আদায় বাড়বে না।’

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বা রাজস্ব খাতে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের প্রত্যাশা করেন খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের উদ্যোগ নিলে পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার এসে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে পারবে। তিনি সম্পদ কর আরোপের পক্ষেও মত দেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা অংশ নেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ডিজিটাল লেনদেন বাড়াতে ইউসিবি ও প্রাণের চুক্তি

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ ডিজিটাল ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট আরও সহজ, স্বচ্ছ ও শক্তিশালী করতে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তির মাধ্যমে ভোক্তা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) জন্য ডিজিটাল লেনদেনের সুযোগ বাড়বে। গতকাল ইউসিবির প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ইউসিবির চেয়ারম্যান শরীফ জহিরের উপস্থিতিতে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদ এবং প্রাণ-আরএফএলের গ্রুপ চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী। এ সময় উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইউসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই চুক্তির মাধ্যমে আমরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য ডিজিটাল লেনদেনের সুযোগ সম্প্রসারণ করতে পারব, যা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরও গতিশীল করবে। ইউসিবির মতো আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব আমাদের ডিজিটাল রূপান্তরের লক্ষ্য আরও এগিয়ে নেবে।’ ইউসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ইউসিবি পরিপূর্ণ আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে লাখো মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। দুটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগ ভবিষ্যৎ ডিজিটাল অর্থনৈতিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে এক মাইলফলক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিজিটাল লেনদেন বাড়াতে ইউসিবি ও প্রাণের চুক্তি