উৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হলো যমুনা গ্রুপের বোলিং প্রতিযোগিতা
Published: 12th, February 2025 GMT
উৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হলো যমুনা গ্রুপের উদ্যোগে বার্ষিক বোলিং প্রতিযোগিতা-২০২৫। মঙ্গলবার দেশের অন্যতম শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কের প্লেয়ার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত দুদিনব্যাপী এই খেলা শেষ হয়। এতে চ্যাম্পিয়ন ভোগ লাইফস্টাইল লাউঞ্জ অ্যান্ড ফিউচার ফিটনেস এবং রানার্সআপ অ্যাকাউন্টস-এ সহ চূড়ান্ত পর্বে খেলা ছয়টি দলের হাতে ট্রফি ও অর্থপুরস্কারের রেপ্লিকা তুলে দেন সানোয়ারা গ্রুপের পরিচালক কামরুল ইসলাম ও যমুনা গ্রুপের পরিচালক ইয়াসিন ইসলাম নাজেল।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যমুনা গ্রুপের পরিচালক ইয়াসিন ইসলাম নাজেল বলেন, ‘এখানেই শেষ নয়। বোলিংয়ের পর এবার ফুটবলের পালা। আপনারা সবাই প্রস্তুত থাকবেন যমুনা গ্রুপের ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য। শিগগিরই আমরা এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করব।’
আগের দিন যমুনা ফিউচার পার্কের প্লেয়ার্স ক্লাবে যমুনা গ্রুপের ২০টি দলের অংশগ্রহণে শুরু হয় বোলিং প্রতিযোগিতা। প্রাথমিক লড়াই শেষে শীর্ষ ছয়টি দল ওঠে চূড়ান্ত পর্বে। দলগুলো হলো- ভোগ লাইফস্টাইল লাউঞ্জ অ্যান্ড ফিউচার ফিটনেস, অ্যাকাউন্টস-এ, হোলসেল ক্লাব, যমুনা ফ্যান কস্টিং অ্যান্ড কিউসি, হুরাইন এইচটিএফ এবং অডিট। কাল ছয় দলের মধ্যে চূড়ান্ত পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ১৩৯৩ পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভোগ লাইফস্টাইল লাউঞ্জ অ্যান্ড ফিউচার ফিটনেস। অ্যাকাউন্টস-এ দল ১৩৫৫ স্কোর করে রানার্সআপ হয়। এছাড়া ১৩২৭ পয়েন্টে যমুনা ফ্যান কস্টিং অ্যান্ড কিউসি দল তৃতীয়, ১৩২৩ পয়েন্টে হোলসেল ক্লাব দল চতুর্থ, ১২৯০ পয়েন্টে হুরাইন এইচটিএফ দল পঞ্চম এবং ১১৮৮ পয়েন্ট পেয়ে ষষ্ঠ হয়েছে অডিট দল। চ্যাম্পিয়ন দল তিন লাখ, রানার্সআপ দল দুই লাখ, তৃতীয় হওয়া দল এক লাখ এবং চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ দল যথাক্রমে ৭৫, ৫০ ও ২৫ হাজার টাকা করে প্রাইজমানি পেয়েছে। এছাড়া ছয়টি দলকেই দেওয়া হয়েছে আকর্ষণীয় ট্রফি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শাল-গজারি বনে রং ছড়িয়ে বিদায় নিচ্ছে বসন্ত
প্রকৃতি থেকে বসন্ত বিদায় নিচ্ছে। আসছে গ্রীষ্ম। বসন্তের বিদায়বেলায় বিস্তৃত সবুজ শাল-গজারি বনে বাসন্তী রং ছড়াচ্ছে হলদে শাল-গজারি ফুল। গাজীপুরের অধিকাংশ এলাকাজুড়ে এখন বসন্তের এই রং উৎসব চলছে। বিশেষ করে শ্রীপুর, গাজীপুর সদরের একাংশ, কাপাসিয়ার একাংশ ও কালিয়াকৈর উপজেলার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে চলছে এই রঙের উৎসব।
শ্রীপুরের কর্ণপুর থেকে বরমী কিংবা হায়াতখার চালা থেকে গোসিংগা আঞ্চলিক সড়কের মতো অনেকগুলো সড়ক ভ্রমণ এখন যে কাউকে এক ব্যতিক্রমী বসন্তের অভিজ্ঞতা দেবে। বিশেষ করে এ সময় মাওনা থেকে কালিয়াকৈর উপজেলায় যাতায়াতের সড়কপথের পুরোটাই ফুলে ছেয়ে থাকে। এসব সড়কে ভ্রমণ করলে দেখা যায়, দুই পাশে শুকনা পাতার ওপর ছড়িয়ে আছে কাঁচা হলুদ রঙের শাল-গজারি ফুল। সঙ্গে আছে মোহনীয় গন্ধ।
শাল-গজারি বনের কোনো একটি গাছের মাথায় উঠে চারদিকে তাকালে মনে হবে, বনের গাছপালার ওপর কেউ যেন হলুদ রঙের মাদুর বিছিয়ে রেখেছে। ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে মৌমাছিসহ নানা কীটপতঙ্গ। পাখিদের ওড়াউড়িতে বনজুড়ে যেন এক মহোৎসব চলছে। পাখির ডানা ঝাপটানো কিংবা হঠাৎ একটু দমকা বাতাসে গাছ থেকে নিচে ঝরে পড়ে হলুদ শাল-গজারি ফুল। বসন্তে গাছের সব পাতা ঝরে যাওয়ার পর গাছে থাকা হলুদ ফুলগুলো এক অনন্য সৌন্দর্য ছড়ায়।
প্রতিবছর বসন্তের মাঝামাঝি থেকে শাল-গজারিগাছে ফুল ফুটতে শুরু করে। এরপর গাছ থেকে অপরিণত অবস্থায় বেশির ভাগ ফুল নিচে ঝরে পড়ে। থেকে যাওয়া ফুলগুলো বড় হয়। বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এসব ফুল পরিণত হয়ে যায়। তখন এর রং হয় কিছুটা বাদামি।
পরিণত ফুলের আবার অন্য রকম সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্য আছে। এসব ফুলের এক পাশে থাকে বীজ। আর অন্য পাশে ফুলের পাপড়ির মতো ছড়ানো বড় বড় পাতলা পাপড়ি। একসময় গাছ থেকে বীজসহ এসব ফুল ঝরে পড়ে। তখন বীজের এক পাশে থাকা পাপড়ির মতো অংশ বাতাসে ঘুরতে ঘুরতে এলোমেলোভাবে দূরদূরান্তে বীজগুলোকে ছড়িয়ে দেয়।
বসন্তের এ সময় শাল-গজারি বনে বিভিন্ন ফুল ফোটে। এগুলোর মধ্যে আছে কনকচাঁপা, জারুল, শিমুল, শেফালি, শিরীষ, মান্দার, কামিনী, অতসী, দাঁতরাঙা, কাঞ্চন, বেলি, শটি, রঙ্গনসহ নানা ফুল।
শাল-গজারি বনের বর্ণিল বিভা বসন্তের সৌন্দর্যে যোগ করে নতুন মাত্রা