‘আমার কোনো মতামত নেই’—রিকি পন্টিংয়ের কথার পরিপ্রেক্ষিতে এটুকুই বলার আছে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের। অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের তেমন সম্ভাবনা দেখেন না, এমনই বলেছেন কাল রাতে আইসিসি রিভিউয়ে। বাংলাদেশের চেয়ে আফগানিস্তানকেই এগিয়ে রেখেছেন পন্টিং।

এ নিয়ে অল্পতে থামলেও নাজমুল পরে শুনিয়েছেন বড় স্বপ্নের কথাই। দরজায় কড়া নাড়ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। গত পাঁচদিন এ নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। এই টুর্নামেন্টের সবশেষ আসরে বাংলাদেশ খেলেছে সেমিফাইনালেও।

এখানে যে আটটা দল আছে, সবাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্য। এই আটটা কোয়ালিটি দল। আমি বিশ্বাস করি আমাদের দলের এই সক্ষমতা আছে।নাজমুল হোসেন, অধিনায়ক, বাংলাদেশ

এবার লক্ষ্যটা কী? মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্নের উত্তরও ছোট করে দিলেন নাজমুল। তবে বললেন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে যাচ্ছি।’  তাঁর এই এক বাক্যের উত্তরে ভড়কে যাওয়াই স্বাভাবিক। তবে পরে ভিন্ন প্রশ্নে এমন কথা বলার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন নাজমুল, ‘আমার কাছে এরকম কোনো কিছু মনে হয় না। এখানে যে আটটা দল আছে, সবাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্য। এই আটটা কোয়ালিটি দল। আমি বিশ্বাস করি আমাদের দলের এই সক্ষমতা আছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাড়িতে ঢুকে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় এক তরুণের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৫ জানুয়ারি উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের একটি গ্রামে ঘটে এ ঘটনা। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বিশিষ্টজন বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করেন বলে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ। এ বিষয়ে তারা সোমবার গোপালগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে শংকর পাণ্ডের (২৩) বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে বাড়িতে রেখে ২৫ জানুয়ারি জমিতে কাজ করতে যান তার মা-বাবা। প্রতিবেশী শংকর পাণ্ডে বাড়িতে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে মা-বাবা স্থানীয় এক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়ে আসেন। 

মেয়েটির বাবার ভাষ্য, বিষয়টি তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহাবুব মোল্লা ও এলাকার বিশিষ্টজন বাবু দফাদারকে জানান। তারা সালিশে সমাধানের আশ্বাস দিলে মামলা করেননি। কয়েকদিনেও বিচার না করায় সোমবার মেয়েটির মা বাদী হয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। 

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে শংকর পাণ্ডের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তারা আত্মগোপনে আছেন। 

ইউপি সদস্য মাহাবুব মোল্লা বলেন, ‘এ ঘটনা শোনার পরে আমি তাদের বাড়িতে গিয়েছি। তবে বিষয়টি মীমাংসার কোনো আশ্বাস দিইনি।’

কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদের কাছে বুধবার বিকেল পর্যন্ত আদালত থেকে মামলার কোনো কপি আসেনি। তিনি বলেন, মামলার কপি হাতে পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ