পুড়িয়ে মারতেই পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড, অভিযোগ কাফির পরিবারের
Published: 12th, February 2025 GMT
আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নূরুজ্জামান কাফির গ্রামের বাড়িতে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। অগ্নিকাণ্ডের সময় তাদের ঘরের দরজা ও জানালা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ তাদের।
কাফির বাবা এ বি এম হাবিবুর রহমান (৫৯) জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় ঘরের ভিতর ছিলেন তিনি, কাফির মা হাসিনা বেগম (৫৪), বড় ভাই নুরুল্লাহ আল মামুন (৩১), ভাবি আনিছা আক্তার (২৫), ভাইয়ের ছেলে নুরুল হুদা আলভি (৪) এবং দুই মাস বয়সী উম্মে হানি। কাফির বাবা ধোঁয়া দেখে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি বুঝতে পারেন। তারা ঘর ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, ঘরের পিছনের ও সামনের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। পরে ঘরের দরজা ভেঙে কোনোরকমে বাইরে এসে প্রাণে রক্ষা পান তারা।
তিনি রাইজিংবিডিকে বলেছেন, “আমাদের পুড়িয়ে মারার জন্যই এভাবে বাইরে থেকে দরজা আটকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি পরিকল্পিত ঘটনা।”
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় নূরুজ্জামান কাফির গ্রামের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি দল প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন এ বি এম হাবিবুর রহমান। কারা এ অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে, সেটি জানাতে পারেননি তিনি।
কাফির বড় ভাই নুরুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, “আমার ছোট দুটি বাচ্চা। এক জনের বয়স মাত্র দুই মাস। আমরা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছি। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন।”
প্রতিবেশী ওয়ালি উল্লাহ ইমরান বলেছেন, “এটি পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড। বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগানো ছিল। ফলে, ঘর থেকে কেউ সহজে বের হতে পারেননি। শেষ মুহূর্তে দরজা ভেঙে সবাই বের হতে বাধ্য হন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।”
কলাপাড়া থানার অফিসার জুয়েল ইসলাম বলেছেন, “ঘটনাটি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।”
ঢাকা/ইমরান/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, হাসনাতের হুঁশিয়ারি
গাজীপুরে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী আবুল কাসেম খাঁনের (১৭) মৃত্যু হয়েছে। তিনি অনুশীলন প্রি-ক্যাডেট একাডেমির অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
বুধবার বিকেল ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত কাসেম গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকার মৃত জামাল হাজীর ছেলে।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থী কাশেমের মৃত্যুর ঘটনায় কড়া বার্তা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে হাসনাত বলেন, গাজীপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত কাসেম শহীদ হয়ে গেছেন। প্রতিবিপ্লবের প্রথম শহীদ আমার এই ভাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইন্টেরিম, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করো,করতে হবে।’
গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রমের দক্ষিণখানে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরে ওইদিন দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আহতদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।