গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় লিফলেট বিতরণকালে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় বিজয় বাড়ৈ নামে এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার বিকেলে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া বাজার থেকে বিজয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ডুমুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও লেবুতলা গ্রামের বিমল বাড়ৈর ছেলে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সম্পৃক্ততা থাকায় বিজয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় টুঙ্গীপাড়া খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের লিফলেট বিতরণ করছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লিফলেট বিতরণ করা বন্ধ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। সেখান থেকে আওয়ামী লীগ কর্মী সন্দেহে সাফায়েত গাজী নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছিলে পুলিশ। এ সময় তাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের গাড়ি আটকে ভাঙচুর করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ১৭১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয়ে ৩৫০ জনকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন এসআই রাব্বি মোরসালিন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতির বক্তব্য, সমালোচনা

কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নীলিমা চৌধুরীর উপস্থিতি ও বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা চলছে।

গতকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কক্সবাজার সফরে আসেন। দুপুর পৌনে ১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে তারা কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান।

সফরের অংশ হিসেবে কক্সবাজারের বিয়াম ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নীলিমা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন এবং বৈঠকে বক্তব্য রাখেন। এরপর থেকে ছাত্র প্রতিনিধি ও সচেতন মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন।

জাবেদ ইকবাল নামের একজন ফেসবুকে লেখেন, প্রধান উপদেষ্টার অনুষ্ঠানে প্রবেশের ব্যবস্থা কে করলো এবং কীভাবে বক্তব্য রাখলো? তদন্ত পুর্বক সহযোগিতাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

রেজাউল করিম রেজা নামের এক পর্যটন সংগঠক মন্তব্য করেন, ‘‘এদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিতে গিয়ে পর্যটন নিয়ে মতবিনিময় সভা হলেও  আমরা পর্যটনের লোকজন কথা বলার সুযোগ পাইনি।’’  

তবে তিনি একজন উন্নয়নকর্মী হিসেবে ব্যাপারটি স্বাভাবিক চোখে দেখেছেন অনেকে। 

শাখাওয়াত হোসাইন সুজন নামের একজন ফেসবুকে মন্তব্য করেন, উনি একজন মানবিক নেত্রী, মানুষের জন্য কাজ করেন। তাকে নিয়ে এমন মন্তব্য খুবই দুঃখজনক। তাহলে তো দেশটা একটা গোষ্ঠীকে দিয়ে দিতে হবে।

নীলিমা চৌধুরী আওয়ামী রজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন বলে জানা যায়। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে তার একনিষ্ঠ প্রচার-প্রচারণার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এ ব্যাপারে নীলিমা চৌধুরীর মুঠোফোনে সংযোগ না পাওয়ায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

কক্সবাজার সফরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস উখিয়ায় এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতার করেন।

ঢাকা/তারেকুর/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ